স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না পুতিন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিরাপত্তা জনিত কঠোরতার কারণে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এবং ইন্টারনেট থেকেও দূরে থাকেন।

 

২০১৮ সালে বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে বৈঠকে কুরচাতভ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান মিখাইল কোভালচুক বলেছিলেন, “প্রত্যেকের পকেটেই একটা করে স্মার্টফোন আছে।”

 

উত্তরে পুতিন বলেছিলেন, “আপনি বললেন সবার স্মার্টফোন আছে। কিন্তু আমার কোনো স্মার্টফোন নেই।”

 

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “যত দূর জানি, প্রেসিডেন্ট পুতিনের কোনো ফোন নেই। স্মার্টফোন ব্যবহার করলে ব্যক্তির গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে। আর এটি বিশেষ করে যেকোনো শীর্ষ নেতার জন্য বড় বিপদ ডেকে আনে।”

 

পুতিন একবার রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে বলেছিলেন, “ক্রেমলিনের ভেতরে মুঠোফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করি না। যদি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয়, তবে আমি দাপ্তরিক ফোন লাইন ব্যবহার করি।”

 

ক্রেমলিন একই সঙ্গে সরকারের কেন্দ্র ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের বাসভবন।

 

পুতিন বহুবার স্বীকার করেছেন, আধুনিক প্রযুক্তিতে তিনি খুব একটা পটু নন। অনলাইনে সহজলভ্য কিছু বিষয় নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালে স্কুলশিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন বলেন, “আমি খুব কমই ইন্টারনেট ব্যবহার করি।”

 

ইন্টারনেটের সমালোচনাও তিনি করেন। একে তিনি সিআইএ-এর বিশেষ প্রকল্প বলেছেন এবং এটিকে অর্ধেকটা পর্নোগ্রাফি বলেও মন্তব্য করেন।

 

মূলত নিরাপত্তার কারণেই তিনি মুঠোফোন এড়িয়ে চলেন এবং বলা হয় যে, তার আশপাশে ফোন বা ইন্টারনেট-সংযুক্ত অন্যান্য গেজেট থাকলেও তা তার কাছ থেকে দূরে রাখা হয়।

 

পুতিন যখন অন্য কোনো দেশে সফর করেন, তখন তার নিরাপত্তা দল ব্যাপক সতর্কতা নেয়। তিনি যে হোটেলে থাকবেন, যে খাবার খাবেন, তার আসার আগেই সবকিছু সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করা হয়। তিনি যে এলাকায় থাকেন, সেগুলোও নিরাপদ কিনা, তা নিশ্চিত করতে তার নিরাপত্তা কর্মীরা জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার করে নেন।

 

শুধু তা-ই নয়, পুতিনকে যে খাবার পরিবেশন করা হয়, তা বিষক্রিয়া বা দূষণের কোনো সম্ভাবনা দূর করার জন্য বিশেষভাবে পরীক্ষা করা হয়। সূত্র: এএফপি