১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে তদন্ত হবে: প্রেস সচিব

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুলাই ০৬, ২০২৫

১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

শফিকুল আলম বলেন, “১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে। এই সময়ে ৩টি বিতর্কিত নির্বাচন ও অসংখ্য মানুষ গুম-খুনের শিকার হয়েছে। বিএনপি বারবার বলছে, তাদের নেতাকর্মীদের নামে ৬০ লাখ মামলা দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এগুলো নিয়ে আমরা কতটুকু সত্য সাংবাদিকতা করেছি, সেই আলাপ এখন হওয়া উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “১৫ বছরের সাংবাদিকতায় ব্যর্থতা ছিল।  ১৫ বছরের সাংবাদিকতা নিয়ে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্তের জন্য আমরা চিঠি লিখছি। জাতিসংঘকে আমরা বলছি, আপনারা বাইরের বিশেষজ্ঞ দেন, তারা তদন্ত করুক- এখানে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে।”

প্রেস সচিব বলেন, “এই জায়গায় কাজ করার খুব প্রয়োজন, তাহলে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ওপর একটা বিশ্বাস তৈরি হবে। আমরা নতুন করে আবার যাত্রা শুরু করতে পারবো।”

তিনি আরও বলেন, “একজন সাংবাদিকের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি অপতথ্য দিচ্ছেন কিনা। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বিগত সরকারের আমলে সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। এই নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে স্বাধীন সাংবাদিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার।”

শফিকুল আলম বলেন, “১১ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার মুক্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য একটা কার্যকর জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করেছে। যাতে সবাই সাংবাদিকতা করতে পারে। এরই মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন অ্যাক্ট করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, কোনো এজেন্সি যাতে গণমাধ্যমকে ভয় দেখাতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গণমাধ্যম স্বাধীন এবং এতে সরকার ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করছে না। গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ কেউ মিথ্যাচার করছে।”

প্রেস সচিব বলেন, “সরকারকে জবাবদিহি করা সংবাদমাধ্যমের কাজ। আমরাও চাই আমাদের সব কাজের সমালোচনা হোক। কিন্তু যিনি মিথ্যা বলছেন, তাকে গণমাধ্যমের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ দিলে তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের জায়গা পেয়ে যাচ্ছেন।”

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। অনুষ্ঠানে সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য আলাদা কমিশন গঠন, সাংবাদিকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আলাদা বেতন কাঠামোর দাবি জানায় সাংবাদিকদের এই সংগঠন।