গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইজরায়েলে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ২৬, ২০২৫

গাজায় সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ ও হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ইজরায়েলের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভে জিম্মিদের পরিবার ছাড়াও ইজরায়েলের সাধারণ মানুষ অংশ নিয়েছে। দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিস ফোরাম, যারা অনেকদিন ধরে জিম্মিদের মুক্তিতে সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলে আসছে।

তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে সহায়তা করেন এবং হামাসের হাতে আটক জিম্মিদেরকে মুক্ত করতে ভূমিকা রাখে।

ধারণা করা হচ্ছে, হামাস যাদেরকে জিম্মি করে নিয়ে গিয়েছিল তাদের মাঝে ২০ জন এখনো জীবিত। ইজরায়েলের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ চলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দেশজুড়ে মহাসড়কগুলোতে এখন গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।

তেল আবিবের উত্তরে ইয়াকুম জংশনের কাছে কোস্টাল হাইওয়ে বা রুট টুতে বিক্ষোভকারীরা সড়কের মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ায় ওই মহাসড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া মাতান জাঙ্গাউকারের মা আইনাভ জাঙ্গাউকার আজ সকালে সংবাদ সম্মেলনে ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, “৬৯০ দিন ধরে সরকার কোনো সুস্পষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আজ এটা পরিষ্কার যে, নেতানিয়াহু একটি জিনিসকেই ভয় পান আর তা হলো, জনগণের চাপ। আমরা এই যুদ্ধ আরও এক বছর আগেই শেষ করতে পারতাম এবং সকল জিম্মি ও সেনাদেরকে ফিরিতে আনতে পারতাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বারবার বেসামরিক মানুষদের বলি দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন।”

ইজরায়েলজুড়ে এই প্রতিবাদটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন গাজায় নতুন করে ইজরায়েলি বিমান হামলা চলছে এবং ইজরায়েল সেখানে স্থল অভিযান চালানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এর আগে সোমবার দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে ইজরায়েলি হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক ও চারজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। সূত্র: বিবিসি