পরিণতি

উপন্যাস ৭

সুলতানা পারভীন

প্রকাশিত : জুলাই ১৭, ২০১৮

দু’দিন পর।
বীথিটা এখন কিছুটা ভালোর দিকে। তবে মেয়েটার মুখ দেখেই বোঝা যায়, সারাক্ষণ কিছু একটা ভাবছে। কী ভাবছে, কেন ভাবছে, কী হয়েছে বা কে কী বলেছে বা কেন বলেছে কিছুই বলছে না।

যা হোক। বাবাও এখন অনেকটা সুস্থ। রিলিজ করতে কোনো সমস্যা নেই। বাবাকে বাড়িও দিয়ে আসতে হবে। অফিসের ছুটিও শেষ। সেটা অবশ্য ব্যাপার না। বড় সমস্যা হলো বীথিকে নিয়ে। আবার কী করে বসে কখন, ঠিক নেই!

হসপিটালে বসে বসে এসব ভাবছি। এমন সময় মেহেরের কল এল। ভাইয়া, তুই ভাবিকে কি বলেছিস?
বীথিকে? কই? কী আবার বললাম!
ভাবিকে এ ক’দিন কল করে পাচ্ছি না। কী হয়েছে বল।
আসলে বীথি একটু অসুস্থ।
একটু অসুস্থ নাকি বেশি? ঠিক করে বল।
কেন?
ভাবি তো এমনি এমনি আমার কল রিসিভ না করার মতো মেয়ে না।
বললাম না তোকে...
তুই ভাবির বাসায় গেছিস?
হুঁম।
আজ গেলে আমার সাথে কথা বলিয়ে দিবি কিন্তু।
আচ্ছা দেব। এখন রাখ।
আর ভাবিকে বলবি, আমি রাগ করেছি।
আর কিছু?
না, রাখছি।
ওক্কে।

আজ বীথির বাসায় যেতে যেতে সন্ধ্যা হলো। হসপিটালে একটু কাজ ছিল। বাসায় গিয়ে দেখি, নেহা আর বীথির অন্য বান্ধবীরা বীথিকে ঘিরে বসে আছে। এর মধ্যেও বীথি চুপ করে বসে আছে। আমাকে দেখে সবাই উঠে যাচ্ছে দেখে হেসে বললাম, আরে তোমরা কোথায় যাচ্ছ? বসো বসো।
আমাদের সামনে তো আপনি বীথিকে বকা দিতে পারবেন না।
ওমা! বকা দিতে যাব কেন?
আজকে আবার কী নাটক করছে দেখেন, আবার খাচ্ছে না।
বীবথি?
বীথি দুর্বলভাবে একটু হাসার চেষ্টা করল, কি?
কি বলছে আপনার বান্ধবীরা?
ওসব কিছু না।
খাচ্ছো না কেন?
তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও। ওদিকে একজন তোমার উপর রাগ করে বসে আছে।
কে?
আগে খাও। নইলে বলছি না।
বলো না প্লিজ।
জ্বি না।

বীথিটা কোনোমতে হালকা খেলে ওকে মেহেরের সাথে কথা বলিয়ে দিলাম। বীথি আমাকে রুম থেকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে মেহেরের সাথে কথা বলল প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা। কি এতো কথা বলল কে জানে!

চলবে