
পার্শ্বচরিত্র
নাঈমুল হাসান হিমলপ্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
তুলি নিয়ে বসুন। কল্পনা করুন আপনার শৈশব আপনার কৈশোর। সহাস্যমুখের শৈশব থেকে শুভ্র সাদা চুলের বার্ধক্য, সবই আপনার চোখে ভেসে উঠবে। নিজেকে আবিষ্কার করুন, এক বাস্তব সমীকরণ পাবেন পার্শ্বচরিত্রের। ছোটগল্পের বই ‘পার্শ্বচরিত্র’। কিন্তু এ বইয়ের এক একটি গল্প পড়লে মনে যেন উপন্যাস। এ এক বিশিষ্ট স্টাইল লেখকের। আবার আলাদা করে পড়ুন, মনে হবে প্রতিটি বয়সের নিজস্ব সত্তা এসেই যেন কথাগুলো বলে যাচ্ছে। বস্তুত, এটাই লেখকের আলাদা ধরণ।
নেত্রকোনার সাখুয়া ইন্দ্রপুরে জন্মনেয়া লেখক জীগল মণ্ডল পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বড় হয়েছেন নানাবাড়িতে। স্কুলের শুরুটা হয়েছে নেত্রকোনার স্বনামধন্য বিদ্যালয় আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। জিওগ্রাফিতে পড়লেও প্রায় ছয় বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছের লেখা। বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতা থেকে পেয়েছেন সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মাননা ২০১৫ সালে। পেয়েছেন দৈনিক যুগান্তর থেকে শ্রেষ্ঠ গল্পকার হিসেবে সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ সালে।
আলাদা চরিত্র, লেখক এক করেছেন একটি সুতোয়। মানুষের আশপাশের পরিবেশের আকার প্রভাব মিলেমিশে এক অনন্য রূপ ফুটে উঠেছে বইটিতে। সুখদুঃখ মিলেমিশে তুলির আঁচড় টেনেছেন বইতে। আমাদের আশপাশের গল্প ও বাস্তবতা মিলেমিশে ছড়িয়ে গেছে এক একটি গল্পে। কোনও উপদেশ ছাড়াই শেষ করেছেন বইটি। পার্শ্বচরিত্র বইটি বিভিন্ন বিষয় অনুসারে ভাগ করা যায়। ফলে বইটি পড়তে কোনও দ্বিধায় ভুগতে হয় না। পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছ বইটি। কৈশোর এবং শেষবেলা সবই পাবেন এই বইতে। েএকটা পূর্ণ জীবনের প্রতিরূপ।