ঋত্বিক ঘটকের গল্প ‘কমরেড’

দুপুরের রোদ মরে যাচ্ছে। ঘোষ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে আছে আকবর। আজকের দিনটা অন্যদিনের চেয়ে বেশ উজ্জ্বল। বাতাসে নতুন এক ধরনের গন্ধ। আশ্চর্য মাদকতাময়। আলোটাও কেমন যেন অন্যরকম।

স্বর্গরাজ্যে সেদিনও সকাল হয়েছে। অরুণ সূর্যদেবকে তাঁর সাত ঘোড়ার রথে চড়িয়ে দৈনন্দিন সফরে বেরিয়েছেন জয়া-বিজয়া নিজেদের বাড়ি ছেড়ে শিবের আলয়ে এসে পার্বতীকে সাজাবার জন্য ফুল তুলছেন।

যৌনতার মিলিত শক্তির পরাক্রমে মেয়েটাকে সে শুইয়ে দিল বিছানায় এবং খুলতে শুরু করলো তাকে ঢেকে রাখা অজস্র কাপড় চোপড়ের স্তূপ

বাড়ি থেকে বেরুতে প্রায়ই হোঁচট খাই। প্রথম পদক্ষেপেই পাথরটা তার অস্তিত্বের কথা প্রবলভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়। কদিন ধরেই ভাবছি, কী করা যায়!

নিজের মৃত্যু কামনা করো কেন? আমি মরে গেলেই সব ঝামেলা চুকে যায়। বলো যদি আমি এখনই আত্মহত্যার জন্যে তৈরি রয়েছি। এখানে আমার পাশেই আফিমের কৌটা রয়েছে। এক তোলা আফিমই যথেষ্ট।

বহুদিন পরে গাঁয়ের স্টেশনে পা দিয়ে নকুড় অচেনা এক দেশে আসার মতো এক মুহূর্ত অবাক হয়ে রইল। যে গ্রামকে সে ছেড়ে গিয়েছিল, এ সে গ্রাম নয়। রেল লাইনের পশ্চিম দিকটা অবশ্য বরাবরই খানিক শহর-পানা জায়গা

দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে একটু সুস্থ হলেন মালেক দিনার। মাংস খেতে খুবই ইচ্ছে হলো তার। দুর্বল দেহ নিয়ে তিনি বাজারে এলেন। মাংস কিনে বেরিয়ে গেলেন। মাংস-দোকানি জানতো, দরবেশ মাংস খান না। কী রকম খটকা লাগল তার

যে শোনে সেই বলে, হ্যাঁ, শোনবার মতো বটে! বিশেষ করে আমার মেজমামা। তার মুখে কোনো কিছুর এমন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা খুব কম শুনেছি। শুনে শুনে ভারী কৌতূহল হলো