শামীমা জামানের গল্প ‘সোনার পুতুল’

নির্মাণাধীন বিল্ডিঙের ভেতরে ময়লার বালতি হাতে নিয়ে হেঁটে যায় সেলিনা। আর একটা থান ইট হাতে নিয়ে যায় রফিক। প্রাথমিক আঘাতটার পরে অজ্ঞান সেলিনার নগ্নদেহ দেখে শরীর ঘিনঘিনিয়ে ওঠে ওর।

রোদ চচ্চর হয়ে মাথায় চড়ে যাচ্ছে। ছায়াবীথি আর দাঁড়ায়নি সেদিন। এরপর আর কাউকে সে দ্যাখেনি। তবে একদিন একটা প্রাইভেট গাড়ি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ড্রাইভার ছিল না। রোদে কী সুন্দর যে চকচক করছিল গাড়িটা!

নোংরা দুর্গন্ধের মাঝে টোকানোর কাজ করে চলতো লোকটা। ছালাটা ফুলেফেঁপে উঠছিল। বামদিকে ধীরে বাঁক নিতো শহরটা। বাঁক নিলেও বাড়িঘরের চোখগুলা বন্ধ থাকতো, আর সেতুগুলাও থাকতো বিচ্ছিন্ন।

নিতুর সাঁতার কাটতে দল-বল লাগে না। যদি কেউ থাকে ভালো, না-থাকলেও মন্দ নয়। বরং একা একা সাঁতার কেটেই নিতু শান্তি পায়। নির্জন পানির সঙ্গে প্রাণ খুলে ও যেন কথা বলতে পারে।

ইয়ে মানে...কীভাবে যে কথাটা বলব! আপনাদের বিরক্ত করা ঠিক হচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না। আমার আসলে খুবই দরকারি একটা জিনিস দরকার। ইয়ে মানে... হয়েছে কি, বাসায় একটিও প্যাকেট মানে নিরোধক প্যাকেট নেই।

এক রাজপুত্র আর এক রাখাল, দুইজনে বন্ধু। রাজপুত্র প্রতিজ্ঞা করিলেন, যখন তিনি রাজা হইবেন, রাখাল বন্ধুকে তাঁহার মন্ত্রী করিবেন।

বানর একবার এমন একটা কিছু খেল যেটা আর পেছন দিয়ে বের হচ্ছিল না। এরপর থেকে সে কলা খেলেও সেটা পাছা দিয়ে আগে ঢুকিয়ে দেখে নিত বের হবে কিনা।

আমি বলতে চাইছি না, এই সমুদ্র চিলগুলো কঠোর স্বভাবের। আমি তাদের দেখছি আমার জানালা থেকে। আমি তাদের লক্ষ্য করি যখন লিখতে চেষ্টা করি আমি, তাদের লক্ষ্য করি যখন আমি পায়চারিতে ঘরের এ মাথা ও মাথা করি