বিশ্বাস বনাম জাতীয়তাবাদের সংঘর্ষ

বল‌তে আর ‌দ্বিধার নেই, ক‌রোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূ‌মিকা অকার্যকর। প্রথম থে‌কেই প্রতিষ্ঠানটি ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ এরকম একটা জায়গায় অবস্থান কর‌ছে। ‌

আজকের লকডাউন, করোনা সংকটের সময় দাঁড়িয়ে যখন এ দেশের বিপ্লবী আন্দোলনের কর্মীরা নানারকম কর্মসূচি নিচ্ছেন, তখনো আমরা দেখতে পাবো উপরোক্ত দু’ধরনের কর্মসূচিও সমান্তরালভাবে ক্রিয়াশীল।

বেশিরভাগ লোকজন এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের কারণে COVID 19 থেকে বাঁচতে এবং বাঁচাতে ব্যস্ত। সাধারণ মানুষ কথা বলছে হাত ধোয়া আর সামাজিক দূরত্ব নিয়ে, ডাক্তাররা বলছে উপসর্গ, মেডিসিন আর ভ্যাকসিন নিয়ে।

হার্ড ইমিউনিটি কি পূর্বপরিকল্পিত? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হার্ড ইমিউনিটি আদৌ কার্যকর হবার সম্ভাবনা আছে? বাংলাদেশে লকডাউন আদৌ কার্যকর করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

ইসলামের ভেতরে চিন্তার যে ঐতিহ্য আছে, তার দিকে তো নজর ফিরাতে হবেই ও তাকে পাঠও করতে হবে। আমাদের ইতিহাসে যেসব আলিমরা মানবিক-সম্পর্কের বিবিধ অভিব্যক্তি নিয়ে কাজ করেছে, তাদের পুনর্পাঠ ও পুনর্বিচার জরুরি।

বাংলা‌দেশ যে কী ভয়াবহ অবস্থা তৈ‌রি হয়েছে, সেটা কি বোঝা যা‌চ্ছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং তার স‌ঙ্গে সং‌শ্লিষ্টরা যে সকল প্রস্তু‌তির কথা বারবার ব‌লে‌ছেন, এটা কি তার নমুনা? নি‌জে‌দের দেয়া প‌রিসংখ্যান তো আর তারা উল্টা‌তে পার‌বে না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়তো একটি দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে কথা হচ্ছে। প্রায় একশোটির বেশি প্রতিষ্ঠান করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে এই মুহূর্তে।

পৃথিবীকে গ্রাস করে নেয়া ভাইরাসটি আমাদের জীবনের উপর ফেলেছে নানা প্রভাব। বিজ্ঞানের ভাষ্যমতে, যে ভাইরাস পশুপাখি থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়, তাকে বলা হয় জুনোটিক ডিজিজ