নাঈম আল ইসলাম মাহিনের পুথিকাব্য ‘শিশু মোহাম্মদ (স.)

উড়ে যায় ভোকাট্টা ঘুড়ি স্মরণের সীমানা পেরিয়ে পুরোনো অনেক কিছু মুছে যায় সংঘাতে-সংগ্রামে কিছু তো থাকেই নামে কি বেনামে বায়োস্কোপের পর্দায় ভেসে ওঠা কত কত মুখ

কত বুক তুমি ঝাঁঝরা করবে আমরা যে অগণিত সাহসে মোড়ানো এই বুকে আজ অধিকার বিম্বিত

তারুণ্যে আজ স্ফূলিংগ সত্যের উন্মেষ নতুন স্বপ্নে নতুন গন্ধে নতুন বাংলাদেশ

রাজকোষ চেটে চেটে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন একেক জন রিপ ভ্যান উইঙ্কল! দীর্ঘ ঘুম ভেঙে সেই বুদ্ধিজীবীগণ দেখলেন— রাজ্য বিক্রি হয়ে গেছে খুব সস্তায়, গণমানুষের দামে

হঠাৎ কোনও রাতে গোপনে, ভ্যান ড্রাইভার নান্টুর বউয়ের পাশে গিয়ে শুয়ে থাকতো চুপে। বিভিন্ন রূপে তার কাছে হাজির হতো দিন কোনও কোনও দিন খেতের কাজ

ঘৃণা ক‌রি সেইসব বু‌দ্ধিজীবী‌ শিক্ষক শিল্পী সা‌হি‌ত্যিক‌দের যারা আমার সন্তান আমার শিক্ষার্থী‌দের বু‌কে গু‌লি করার প‌ক্ষে সম্ম‌তি‌ দি‌য়ে‌ছিল বিবৃ‌তি প্রদা‌নের মাধ‌্যমে হত‌্যাকাণ্ড চা‌লি‌য়ে পুনরায় আন্দোলন‌কে দমন কর‌তে বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় বন্ধ ক‌রে দি‌তে চায় যারা

শৈশবের খুশির মতোই কাঠবাদাম, করমচা, বকুলের ফল কুড়িয়ে কোচড়ে না গুঁজে যৌবনে আমি কেবল উপচে পড়া প্রতিশ্রুতি গুঁজে রাখি মনের ভাঁজে

আমার বঙ্গীয় স্ত্রীর কাঠের আলমারিতে ছ`টি তাক, মাঝে মাঝে দেখে ভীষণ অবাক হই এ-কারণে, ওখানে বাহিত হচ্ছে ছয় রকমের ঢেউ