সাদ রহমানের গদ্য ‘এনসিপির দুর্দশা’

ভদ্র সমাজ সবাইকেই খাইয়া ফেলতে পারে। খাইয়া ফেলেও। কিন্তু যুগে যুগে কিছু মানুষ থাকে ভদ্র সমাজ তাদেরকে খাইতে পারে না। আমাদের বাস্তব ইতিহাসে ব্রাত্য রাইসু সেই বিরল মানুষদেরই একজন

গ্রামে রেডিও ছিল। কিন্তু ঘরে ঘরে ছিল না। ফলে বাড়িতে একটি রেডিও থাকলেও আমাদের প্রিয় অনুষ্ঠানগুলোর সময় রেডিও আমাদের দখলে চলে আসত। মনে পড়ে কতগুলো অনুষ্ঠান আমাদের খুব প্রিয় ছিল

গ্রামীণ জীবনে একজন শিশু কতকগুলো খেলাধুলার ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠতো। যখন ভালো করে হাঁটতেও শিখিনি তখনই কাচা জামবুরায় লাথি দিয়ে শুরু হতো আমাদের ফুটবল খেলা। একজনে শান্তিতে লাথি দিতে পারত না

আমরা তিনজন। হুমায়ূন আহমেদ, মেহের আফরোজ শাওন আর আমি। নুহাশ পল্লীতে আমার প্রথম আসা। উদ্দেশ্য নুহাশ পল্লী ভ্রমণ। আমার পরীক্ষামূলক প্রথম নাটকের শুটিং হুমায়ুন আহমেদের সাথে

অতীতে তার ফ্যাসিবাদের সাঙ্গে ঘেঁষাঘেষির যেমন প্রমাণ আছে, তেমনি তাদের বিরোধিতা করারও প্রমাণ আছে

পাঠশালায় কেবল মাত্র মাতৃভাষায় লিখ‌তে পড়‌তে ও সহজ অঙ্ক কর‌তে শেখান এবং প্রকৃ‌তির স‌ঙ্গে প‌রিচয় ক‌রি‌য়ে দিন শিশু‌কে। সেটাই তার জন‌্য য‌থেষ্ট

এই নির্জনতা হজম করার শক্তি ও সাহস খুব কম মানুষেরই থাকে। কারণ এমন পরিস্থিতিতে রক্ত হিম করে দেওয়ার মতো এক ধরনের ভুতুরে পরিবেশ তৈরি হয়। মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে, রক্তের মধ্যে, চেতনার মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা সৃষ্টি করে

জীবনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে, অনেক প্রতিকূল অবস্থার শিকার হতে হবে, কখনো কখনো সেই প্রতিকূলতা এতটাই প্রবল হয়ে উঠতে পারে যে, অস্তিত্ব বিনাশের আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। কিন্তু তারপরেও বেঁচে থাকাই চূড়ান্ত