আবু তাহের সরফরাজের পাঁচটি ছড়া

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৭, ২০২২

ছায়াবীথি দেখবে ছবি

 

ছায়াবীথি দেখবে ছবি

আঁকুন কিছু রফিক নবী।


একটি গাছে জবাফুল

ছায়াবীথির কানে দুল।


আঁকুন নদী ছিপছিপে

যা পেরোতে হয় জিপে।


বাঁশবাগানে নিঝুম চাঁদ

আঁকুন তো এই চাঁদনি রাত।


খসখসে কাঠপেনসিল

আঁকতে পারেন গাঙচিল।


গাঙ পেরোলেই ছোট্ট গাঁ

রঙ তুলিতে আঁকুন তা।


ছবির কবি রফিকুন

ছায়াবীথি হেসেই খুন।

 

ছায়াবীথি পড়ছে বই

 

ছায়াবীথি পড়ছে বই

এই বইতে ছবি কই?


চওড়া নদী বাঁশের সাঁকো

যেমন খুশি তেমন আঁকো।


এই যে তোমার লেখার খাতা

ছবির রঙে রাঙাও পাতা।


এসব ছবি বইতে দেব

ছড়ার কথায় মিলিয়ে নেব।


তারপরে তা ছায়াবীথি

পড়বে বাবার ছড়াগীতি।

 

ছোট সে

 

ছোট সে তবু ভাবে,

হয়ে গেছি বড়

ছোট ছোট ঘাসফুল

এনে করে জড়ো।

 

খেলে বসে মাটিতে

দুধ খায় বাটিতে।


উলটে গেলে দুধের বাটি

মায়ের হাতে খেয়ে চাটি

কেঁদে উঠে বলে সে, মামাকে

মনি কও আমাকে।

 

বিমানের চাকা

 

পেয়ে গেলে লটারি

এক কোটি টাকা

দুই পায়ে লাগাবো

বিমানের চাকা।


আকাশের নীল দেশে

মেঘ হয়ে ভেসে ভেসে

নেড়েচেড়ে দেখব,

কিসে তা ঢাকা।

 

আকাশের ওই পারে

কেউ যেন ডাক ছাড়ে

কী যেন বলে সে,

যায় না তো আঁকা।

 

কান পেতে শুনে তা

লিখি এই কবিতা

ছায়াবীথি পড়ে কয়,

এইভাবে ছড়া হয়।

 

ভূতের গল্প

 

ভূত নেই, আছে তবু ভূতেদের গল্প

ছায়াবীথি পড়ে আর ভয় পায় অল্প।


নেই মানে, একেবারে নেই কিরে কিছু?

ঘুটঘুটে রাত আসে মাথা করে নিচু।

 

হিসহিস শব্দে বয়ে যায় হাওয়া

বাঁশবনে ভূতেদের পিছু করে ধাওয়া।


রাতজাগা প্যাঁচা ডাকে আমবনে ওই

বল দেখি ছায়াবীথি, ভূত থাকে কই?

 

ভূত নেই, আছে তবু ভয় শিরশির

ভয় পেলে ছায়াবীথি হয়ে যায় বীর।