আশিক আকবর

আশিক আকবর

আশিক আকবরের কবিতাগুচ্ছ

প্রকাশিত : অক্টোবর ২২, ২০২০

কবি

মিথ অব সিসিফাস না পড়েই,
আত্মহত্যার আগেই,
বালিশের পাশে প্রথম পাণ্ডুলিপিটি রেখে দিয়েছিল।
রাগী তরুণের প্রতিবাদী বিড়ির ধোঁয়ায় প্যারিসের পানশালা যখন আড্ডা মুখর,
তখনও খবর পাওয়া যায়নি তার।
আর গরু চড়ানো রাখাল কবিটি তখনো বাঁশি বাজায় পাহাড়ি জঙ্গলে,
ভেরলেন, ও পল ভেরলেন,
ক্যান ডাকলে তাকে প্যারিস রাক্ষসে?
আর সেই গুলির কথা কী মনে রেখেছে বুর্জোয়া কাব্য পৃথিবী?
খনি শ্রমিকের ডেরায় ক্লান্ত শান্ত মানুষটির মধ্যে আমাদের কবি কই?
নারী ব্যবসার অন্ধকারে ও কি আপনি?
না-না,
অন্য কেউ, অন্য কেউ আমি।
ভেরলেন বন্ধু, আমি সেই কবি নই,
হতেই পারি না।
বর্ষ বর্ষ পর খনির কাব্যহীনতার ঊষর প্রান্তর থেকে যে ফিরে আসে,
সে কবি নয়।
কোমর পেটিকার সামান্য মোহর, হাসপাতাল বেডে তাকে পারেনি বাঁচাতে।
মা-মা,
গরু চড়াতে চড়াতেই পাখির ডাক শুনে শুনে,
বনের দিকেই বাঁশি বাজাতে চলে যাই!
রেবো আমি, রেবোই, কবি।

রাখী

দে           দে          কি        ঐ         ঐ
খ            খা          ছু
তে           র                       টু          টু
                           য          কু          কু
দে            অ          দি
খ             ধি                       ধ          চি
তে            ক          দে         রে          র
                            খি      
                                          রা         ব  
                                          খি         ন্ধ
                                                       ন
                                                       রা
                                                       খী

কবির কবর

পদ্মাকে বিশ্বাস নেই,
আমার কবর যেন হয় দীর্ঘস্থায়ী শুষ্ক জায়গায়।
ঊনচল্লিশে একবার সে সরিয়েছে আমার ঘর,
আবারো সরাতে পারে।
বলেছিলেন ওমর আলী,
‘এদেশে শ্যামল রঙ রমণীর সুনাম শুনেছি’র কবি।
তিনি খেসারি ডালের ফুলে ডানাঅলা নীলপরি দেখেছেন।
অকপটে বলেছেন, শহর ইয়ারদের সামাজিক স্বাচ্ছন্দ্য দেয়নি তাকে গ্রাম।
তিনে কলেজে পড়াতেন,
ব্যাগে জামা জুতো ভরে চরের কাদামাটি পার হতেন।
শহরে ঢুকে জামা জুতো পরে ক্লাসে ঢুকে লেকচার দিতেন।
তিনি মনে করতেন,
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা আছে তার কবিতার।
তবে ঐ পুরস্কার পাওয়ার জন্যে রবীন্দ্রনাথের মতো তৎপরতা ছিল না তার।
আর নোবেল কমিটিও,
তৃতীয় বিশ্বের অনেক কবির মতোই তাকেও খুঁজে নেয়নি।
কিন্তু নাছোড় আ. আ.
কবি ওমর আলীর দীর্ঘস্থায়ী উষ্ণ অঞ্চলের কবরের খোঁজ নিতে চায়।
যেখানে পদ্মার জলের থাবা ভাঙবে না কবির কবরের ঘর।

বয়েৎ ১

ঝরা                গাছের           অনেক
পাতাটির          শেষ              সময়ই
সাথে                কথা              ভাবি
                        কি

বয়েৎ ২

বনের             তার
পাখি কে         ডানা
খাঁচা              থাকে
বন্দি
করলেও

চকোলেট

বোনের ভ্যানিটি ব্যাগে কনডমের প্যাকেট দেখে
চকোলেট খাওয়া ছাড়লেন ন্যুট হামসুন
ততদিনে বড় বোন হ্যারিসিয়া,
সংসারের অভাবের হা দেখে দেখে নিজেই হা করাতে অভ্যস্ত হয়েছে
শেষদিকে যখন পাগল হয়ে যাচ্ছেন
ডাক্তারদের কাছে খুব চকোলেট খেতে চাইতেন
নোবেল পুরস্কার পাওয়া
জুতা সেলাই ও বাস কন্টাকটরের কাজ করা
হিটলারের প্রতি সমর্থন
নোবেল পুরস্কার কেড়ে নিয়ে আটকে রাখা
এ সব তুচ্ছ করা ন্যুট হামসুন
মানষিক ভারসাম্যহীনতা লৈআ ফিরলেন বড় বোনে
যে কিনা পুরুষদের কনডম পরিয়ে তার জন্যে চকোলেট আনতো