ইজরায়েলি হামলায় গাজায় ১৯ হাজার ৯৩২ শিক্ষার্থী নিহত

ইজরায়েলি বাহিনীর ২ বছরের গণহত্যায় গাজায় ১৯ হাজার ৯৩২ শিক্ষার্থী নিহত ও ৩০ হাজার ১০২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।

একই সময়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইজরায়েলি হামলায় ১৪৮ শিক্ষার্থী নিহত ও ১ হাজার ৪৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। এই অঞ্চল থেকে ৮৪৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এছাড়া গাজা ও পশ্চিম তীরে ১ হাজার ৩৭ শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিহত হয় ও ৪ হাজার ৭৫৭ শিক্ষক আহত হয়। সেই সঙ্গে এই পেশায় থাকা অন্তত ২২৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়।

গাজায় সরকারি স্কুলের ১৭৯টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৩টি ভবন ধ্বংস করা হয়। বোমা বা ভাঙচুরের ফলে ১৮টি সরকারি স্কুল ও ১০০টিরও বেশি জাতিসংঘের স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পশ্চিম তীরে ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ হেবরনের দক্ষিণে ইয়াত্তা শহরের আমিরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তুবাসের আকাবা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে দিয়েছে।

ফিলিস্তিনের ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ বারবার আগ্রাসন ও ভাঙচুরের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজাজুড়ে ইজরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইজরায়েল ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল।

ইজরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায়। ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইজরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।