‘ইজরায়েলের নিরাপত্তা ১ ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে’

ইজরায়েলের নিরাপত্তা ১ ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম। মঙ্গলবার এক টেলিভিশন ভাষণে ‘হাজ রমজান’ নামে পরিচিত ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শহিদ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ ইজাদির শাহাদতের ৪০তম দিন উপলক্ষে তিনি একথা জানান।

শেখ নাঈম কাসেম বলেন, “আট মাস ধরে ইজরায়েল যেভাবে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসেছে, সেই নিরাপত্তা মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে। ইজরায়েলি নেতারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে, প্রতিরোধ শক্তি অস্ত্র না ছাড়া পর্যন্ত তাদের আগ্রাসন বন্ধ হবে না। আমরা যদি আমাদের অস্ত্র হস্তান্তর করিও, তবুও দখলদার ইজরায়েলের আগ্রাসন থামবে না।”

তিনি আরও বলেন, “লেবাননে প্রতিরোধ শক্তি সুসংহত, দৃঢ় এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে। আজ আমরা শহিদ জেনারেল ইজাদির চেহলাম উপলক্ষে একত্রিত হয়েছি। তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনের পক্ষে জীবন উৎসর্গকারী ইরানি শহিদ।”

হিজবুল্লাহ নেতা আরও বলেন, “হাজ রমজান সবসময় ফিলিস্তিনের বিভিন্ন প্রতিরোধ গোষ্ঠীর ঐক্যের পক্ষে ছিলেন এবং হিজবুল্লাহ যেন তাদের পাশে থাকে তা নিশ্চিত করতেন। তিনি আল আকসা অভিযানকে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করতেন। তিনি ইমাম খোমেনি ও ইমাম খামেনির প্রতিও গভীর ভালোবাসা পোষণ করতেন।”

বৈরুত বন্দরের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, “হিজবুল্লাহ আবারও এ ঘটনার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। মার্কিন দূত টম ব্যারাকের প্রস্তাব ইজরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করে, কিন্তু লেবাননের প্রতিরক্ষার চাহিদাকে উপেক্ষা করে।”

তিনি আরও বলেন, “হিজবুল্লাহ কখনোই লেবানন সরকারের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেনি। যুক্তরাষ্ট্র চায় না লেবানন সেনাবাহিনী এমন কোনো অস্ত্র অর্জন করুক, যা ইজরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদি হিজবুল্লাহ অস্ত্র ছেড়ে দেয় তাহলে লেবাননকে কে রক্ষা করবে?” সূত্র: মেহের নিউজ