ইভিএমের পক্ষে রায় দিলো ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : এপ্রিল ২৯, ২০২৪

লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম বাদ দিয়ে ভোট গণনার পুরনো ব্যালট পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার এই রায় দেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার দ্বৈত বেঞ্চ।

রায়ে দুই বিচারপতি বলেন, “আমরা বিস্তারিতভাবে সমস্ত প্রটোকল, সমস্ত টেকনিকাল দিক মিলিয়ে দেখেছি। একটা সিস্টেমকে (ইভিএম) কিছু না জেনে সেটাকে ভেঙে দেওয়াটা ঠিক হবে না।”

এরই মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মোট সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এ নিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

১. ভিভিপ্যাট ও ইভিএম সংক্রান্ত নির্দেশিকা। সিম্বল লোডিং ইউনিটকে অন্তত ৪৫দিন স্টোর করে রাখতে হবে। মেশিনে সিম্বল লোড করার পরে এই নির্দেশিকা মানতে হবে। বিশেষত ১ জুন যেদিন ভোট পর্ব শেষ হয়ে যাবে তারপর থেকেই এই সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষিত করে রাখতে হবে। এমনকি এই সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। সেখানে প্রার্থীর সইও রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

সেই সিল করা ইভিএমগুলো স্টোর রুমে রাখতে হবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে অন্তত ৪৫দিন ওই ইভিএমগুলোকে রাখতে হবে।

সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছেন, ইভিএমের মাইক্রো কন্ট্রোলারকে পরীক্ষা করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের টিম দিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রার্থীদের অনুরোধ এলেই তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই যাচাইয়ের ব্যাপারটির জন্য যে খরচ করা হবে তা বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকেই। তবে ইভিএমে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে।

২. ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছেন, ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের যে ব্যবস্থা থাকে সেটা গণনা করার জন্য কোনও মেশিনের ব্যবস্থা করা যায় কি না সেটা দেখা যেতে পারে।

১৯ এপ্রিল ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ৪ জুন ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচিত হতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

২০০০ সাল থেকে ভোটের রেকর্ড রাখতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে আসছে ভারত। তবে সম্প্রতি ভোট গনণায় এই সিস্টেমের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।