
ইমরান খানের দলের শতাধিক নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ০১, ২০২৫
পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ১০৮ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের মে মাসে দুর্নীতির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন ইমরান খান। এর প্রতিবাদে শুরু হয় দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভ।
আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে ৫৮ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ৫৮ জনের মধ্যে সংসদ সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারাও রয়েছেন। বাকি ব্যক্তিদের ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, অভিযুক্তদের মধ্যে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআইর জাতীয় ও সিনেটের নেতা ওমর আয়ুব খান ও শিবলি ফারাজ রয়েছেন।
রায়ে বলা হয়েছে, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাদের মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
আদালতের এ রায়ের নিন্দা জানিয়ে পিটিআই এক্স পোস্টে লিখেছে, “পাকিস্তানের বিচারিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, এত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে যে (সংসদের) উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতাদের কেবল এই ভিত্তিতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে যে, তারা ইমরান খানের রাজনৈতিক বক্তব্য, জনপ্রতিনিধিত্ব ও সাংবিধানিক সংগ্রামের অনুগত মিত্র ছিলেন।”
আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে বলেও জানিয়েছে পিটিআই।
ইমরান খানের মিডিয়া উপদেষ্টা জুলফি বুখারি বলেছেন, “শেষ শাস্তির রায় গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন। একের পর এক বিরোধী নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করা যে কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য শুভ লক্ষণ নয় এবং এটি আমাদের এরই মধ্যে ভঙ্গুর গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
উল্লেখ্য, ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। দুর্নীতি, ভূমি জালিয়াতি ও সরকারি গোপন নথি ফাঁস করার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি তিনি। আলাদাভাবে একই দাঙ্গার সাথে জড়িত অভিযোগেও বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি।
ইমরান খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আমার দলকে নির্মূল করার জন্য সেনাবাহিনী-সমর্থিত অভিযানের অংশ।” সূত্র: বিবিসি