
উনিশতম অশ্বারোহী
পর্ব ৪
মলয় রায়চৌধুরীপ্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮
ইউরোপের সংস্কৃতিতে অমন জলবিভাজক দেখা দেয়নি, যার দরুণ একেবারে গেঁয়ো কিশোর জাঁ আর্তুর র্যাবোর মতো মনীষার আবির্ভাব ও স্বীকৃতি ঘটেছিল। খ্রিস্টধর্মের তৃণমূল স্তর থেকে উদ্ভব ও আগমন ঘটেছে, মৌলবাদিতা বর্জিত, উল্লেখযোগ্য কবি ও চিত্রকরের, যখন কিনা নিজেরই ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মধ্যে গৌরব অনুসন্ধান করেছে বাঙালি, অথবা আহ্লাদিত হয়েছে মৌলবাদে আত্মসমর্পণ করে। মুৎসুদ্দি, বেনিয়ান, গ্রাম-ছাড়া ভূস্বামী, উচ্চবর্গের দোআঁশলা মূল্যবোধ দিয়ে গড়ে উঠেছিল বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির মানদণ্ড, অনুশাসন, ক্যানন— যা বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল হিন্দু কলেজ আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহেবি প্রশ্রয়ে। কাজী নজরুল ইসলাম এসেছিলেন এই পরিমণ্ডলের বাইরে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির লৌকিক জগৎ থেকে, এবং সেহেতু উচ্চবর্গের মানদণ্ডে থেকে গেলেন বিতর্কিত ও প্রান্তিক। ইয়ং বেঙ্গলের ঔরসপ্রসূত কাব্যভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর খাঁটি ভূমিজ বাঙালিত্ব স্বাভাবিকভাবে সন্দেহজনক ছিল। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে ততোদিনে সায়েবি অনুপ্রবেশ পুরোদমে ঘটেছে। বিলিতি পুঁজিবাদের প্রথম শিকার ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠের সংস্কৃতি। ইতিহাসের সনাতন ধারাগুলোকে প্রবাহিত রাখতে চেয়েছিলেন নজরুল, তাই তিনি পদে-পদে আক্রান্ত হয়েছেন, নতুন আমদানি-করা আর্টের পৃষ্ঠপোষকদের দ্বারা, ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধিদের দ্বারা, নব্যহিন্দু কর্তাদের দ্বারা, শহুরে সাহিত্যিকদের দ্বারা। নজরুলের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল সাংস্কৃতিক চরিত্রস্বভাবকে পরিত্যাগ করে মেট্রপলিটান সংস্কৃতিতে প্রবেশ করা সম্ভব ছিল না। একই কারণে মেট্রপলিটান সংস্কৃতিতে পালিত আলোচকরা নজরুলের কাজগুলো সম্পর্কে বিব্রত বোধ করেন। দ্বন্দ্বজটিল নজরুলকে বর্গীয়করণ করা তাঁদের পক্ষে দুষ্কর হয়ে গিয়েছিল, এবং এখনও বিদ্যায়তনিক আলোচনাচক্রে তাঁকে ইউরোপীয় ক্যানন প্রয়োগ করে যাচাই করার প্রয়াস হয়। তাঁরা ভুলে যান যে তাঁদের নিজেদের প্রতিস্বটি ইউরোপীয় অধিবিদ্যাগত মননবিশ্ব দ্বারা নির্মিত, সে তাঁরা যতোই ধুতি-পাঞ্জাবি পরে কাঁধে চাদর ফেলে বাঙালি সাজার ভড়ং করুন।
ইউরোপীয় রেনেসাঁসের তিনশো বছর পর সেখানে আরম্ভ হয়ে গিয়েছিল মেট্রপলিসের বা বিশ্বনগরীর যুগ, যেখানে মিশ খেলো পেশাদারদের পেশার সঙ্গে দ্রষ্টাদের দৃষ্টি, তার সঙ্গে রাজনীতিকের রাজনীতি, এবং উদ্ভব হল জগৎসংসার বিষয়ে সুশৃঙ্খল বৌদ্ধিক নিরিখ, যা যুক্তিপ্রতর্কের ধাপ দিয়ে গড়া। সত্যের পরম ও সর্বজনীন মানদণ্ডের সমারোহ প্রতিফলিত হল রাষ্ট্রের বিধানে, বর্গীকরণ প্রক্রিয়ায়, তথ্য সঞ্চয়ে, পৃথগীকরণে, সংজ্ঞা তৈরিতে, সংস্থাপন প্রণালীতে। সত্য ও ক্ষমতার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য হয়ে দেখা দিল মেট্রপলিসে। সেখানে মতবিরোধ মানেই যেন অসত্য। এই ব্যাপারটা হাংরি আন্দোলনের সময়ে ঘটতে দেখেছি। মতবিরোধিতা মানেই হাংরি আন্দোলনকে অনেকে অসত্য সাব্যস্ত করতে চেয়েছিল। মতবিরোধিতা যেহেতু ক্ষমতার বিরোধিতা, তাই মেট্রপলিসে তা হেয়, কেননা ক্ষমতার ধারকদের মতে তা বিশৃঙ্খলর জন্ম দেয়, অনিশ্চয়তার প্রসার ঘটায়। যা অনিশ্চিত তা বর্গীকরণের অযোগ্য, তা অন্যরকম। যারা অন্যরকম তারা পশ্চাদপদ। মেট্রপলিসের কাজ হল এদের তুলে এনে সর্বজনীন ও বিশ্বজনীন করে তোলা। তা না করা গেলে তাদের সমাজের বাইরে রেখে দিতে হবে। যারা অন্যরকম এবং খাপ খায় না, তাদের মাড়িয়ে এগিয়ে যাবে মেট্রপলিস। এগোবার পথে সনাতন আদর্শ ও সংস্কারকে সরিয়ে তার জায়গায় প্রতিষ্ঠা করবে মেট্রপলিসের নতুন আদর্শ ও সংস্কার। ইংরেজরা চারটি মেট্রপলিস প্রতিষ্ঠা করেছিল ভারতীয় উপনিবেশে, যার অন্যতম হল কলকাতা। এই মেট্রপলিসের মূল্যবোধের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারলেন না কাজী নজরুল ইসলাম। মেট্রপলিটান নিরিখে তিনি চিহ্ণিত হলেন ‘বহিরাগত’ ও ‘অন্যরকম’ হিসাবে।
ইংরেজদের মেট্রপলিটান প্রভাবে, ‘কবি’র সংজ্ঞাটি, একটি সাংস্কৃতিক ফাটলের সৃষ্টি করেছিল। তাদের আগমনের আগেকার কবিদের এবং আগেকার কবিত্ব বহনকারী কবিদের একঘরে করে ফেলা হয়েছিল। কবি-র নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী আড়াআড়ি-খাড়াখাড়ি বিভাজিত হয়ে যান বাঙালি কবিরা, এবং এই নতুন সংজ্ঞাটিও ইউরোপীয় ঢঙে ‘ভালো’ কবি, ‘খারাপ’ কবি, বড়ো মাপের কবি, ছোট মাপের কবি ইত্যাদি বিভাজনে সাহায্য করেছে। বাংলা পাঠকৃতি ইউরোপীয় মানদণ্ডে যতো নিখুঁত তা ততো ‘ভালো’, তার রচয়িতা ততো ‘বড়ো মাপের’। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘মুচিরাম গুড়’ থেকে আরম্ভ করে রবীন্দ্রনাথের ‘গোরা’ পর্যন্ত দেখা যায়, কলকাতা মেট্রপলিসে এক নতুন ধরনের বাঙালির উদ্ভব হয়েছে, যাদের সঙ্গে তৃণমূল বাঙালির বিশেষ মিল নেই। কাজী নজরুল ইসলাম পড়ে যান সেই বিভাজনের জাঁতায়। সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকায়তের সঙ্গে মুষ্টিমেয় মেট্রপলিটানের ‘দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে’ অসম্ভব ছিল। অথচ নজরুল পদক্ষেপ করলেন সেই অসম্ভব সংঘর্ষময় এলাকাটিতে। একদিকে বহুত্বময় যৌগিক সংস্কৃতির দ্বারা রূপায়িত তৃণমূল চেতনা, আরেকদিকে সংস্কৃতির আদল-আদরা পালটাবার মসনদি চেতনা। মেট্রপলিটান বাবুরা যখন ইংরেজের শাসন থেকে মুক্তির যুক্তিতর্কে ব্যস্ত, সে সময়ে নজরুল তাঁর কাজগুলোকেই চালিত করেছেন মসনদের বিরুদ্ধে। ইংরেজদের শাসনের ও শোষণের বিরোধিতায় বঙ্গসমাজে একদিকে ছিল তৃণমূল জাতীয়তাবাদ এবং অপরদিকে রক্ষণশীল ইংরেজি-শিক্ষিত ভদ্রলোকের জাতীয়তাবাদ। নজরুলের কৌমসত্তা তাঁকে প্রথমটির বাইরে যেতে দেয়নি। মেট্রপলিসের বাবুকবিদের কোনও হেনস্থা হয় না, কিন্তু কবিতা লেখার দায়ে নজরুলের এক বছর জেল হয়। নজরুলকে দৃষ্টান্তস্বরূপ বিধ্বস্ত করা দরকার ছিল, ইংরেজদের আনা সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক মানদণ্ডকে বঙ্গজীবনে গভীরভাবে চারিয়ে দেবার জন্য।
লোগোসেন্ট্রিক ইংরেজদের কাছে শব্দের নিহিতর্থের খেলার তুলনায় তার ধ্বনির খেলাটি ছিল নিকৃষ্ট, অথচ ক্রিয়াভিত্তিক বাংলা শব্দ তার ধ্বনিকে প্রাথমিক ব্যাখ্যায় প্রয়োগ করে। বাবুকবিরা ধাক্কা খেলেই আশ্রয় নিয়েছেন কবিতায়। কাজী নজরুলল ইসলাম আশ্রয় নিয়েছেন জীবনে। বাবুকবিরা কবিতায় দেখিয়েছেন পারক্য, অস্তিত্বের ফাটল, ব্যক্তিপ্রতিস্বের কাতরতা, আত্মার ক্ষত। এই বোধগুলো কৌমনিরপেক্ষ। নজরুল যৌথতার ভূমিজ বোধ (অনেকে একে বলেন গ্রাম্য, অর্থাৎ খারাপ!) দ্বারা সেগুলোর আস্তরণ গড়েছেন তাঁর পদ্যে, তাঁর গানে। সংঘর্ষের দামামা বাজিয়ে তিনি আড়াল করেছেন তাঁর অন্তরজগতের সন্ত্রাস। তাঁর রচনায় পাওয়া যাবে মরুভূমির ভাবকল্পের স্বাধীনতা। র্যাবেরা মতন লৌকিক সক্রিয় আনন্দ। শরীরের নিজস্ব যাপনবোধ। রাজনৈতিক কবিতা ও গানকে যে-সময়ে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছিলেন নজরুল, বাঙালির রাজনীতিতে সে-সময়ে যে-ঘটনাগুলো ঘটছিল তা ছিল নজরুলের কীর্তির পক্ষে ক্ষতিকর, কেননা সেসব ঘটনা বাঙালির জীবনবোধকে পরবর্তীকালে পালটে দিয়েছিল, এবং সমগ্র সমাজকে ফেলে দিয়েছিল আতান্তরে। ১৯২৪ সালে চিত্তরঞ্জন দাশ ও গান্ধির মতান্তর। ১৯২৫ সালে চিত্তরঞ্জনের মৃত্যু। ১৯৩২ সালে কম্যুনাল অ্যাওয়ার্ড। ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস কর্তৃক ফজলুল হকের দলকে প্রত্যাখ্যান। ১৯৩৯ সালে সুভাষচন্দ্র বসুর কাছে গান্ধির পরাজয় এবং সুভাষের কংগ্রেস ত্যাগ। সে বছরই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীকান্ত মৈত্রের বাংলা ভাগের আন্দোলন। তারপর তো উন্মাদ হয়ে গেলেন নজরুল, নির্বাক হয়ে গেলেন, জগতসংসারের প্রতি সাড়াহীন।
দেশভাগের অব্যবহিত পরের সময়প্রবাহ, পশ্চিমবঙ্গে, নজরুলের প্রতিষ্ঠার অনুকূল ছিল না। প্রথমত, শরৎ বসুকে সরিয়ে মসনদ দখল করেন প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ এবং ব্রাহ্ম বিধানচন্দ্র রায়। দ্বিতীয়ত, পূর্ববঙ্গ থেকে হু হু করে পশ্চিমবঙ্গগামী উদ্বাস্তুদের দুঃখদুর্দশা এক বিমূর্ত মুসলমান-ঘৃণার জন্ম দিয়েছিল সর্বস্তরের বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে, এবং পরবর্তীকালে সাংস্কৃতিক মানদণ্ডটি এঁদেরই অভিজাত গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। মার্কসবাদী কম্যুনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব ক্রমশ দখল করে নেন উদ্বাস্তু নেতারা। স্বভাবতই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, শিক্ষপর্যদ, অ্যাকাডেমি প্রভৃতির চুড়োয় বসিয়ে দেয়া হয় একদা-উদ্বাস্তু উচ্চবর্গীয় কর্তাব্যক্তিদের। উল্লেখ্য যে পূর্ববঙ্গে থাকার সময়ে এই উচ্চবর্গীয় হিন্দু কম্যুনিস্ট নেতারা দেশভাগ সমর্থন করেছিলেন আর দেশভাগ হতেই সবচেয়ে আগে তাঁরাই পালিয়ে আসেন, নিম্নবর্গের মানুষদের অবহেলা করে। কলকাতায় নতুন একটি রাজনৈতিক স্লোগান আসর জমিয়ে বসে। তা হলো, গরিব হওয়া ভালো, উদ্বাস্তু হওয়া ভালো, সর্বহারা হওয়া ভালো, শোষিত হওয়া ভালো। এর দরুণ একটা সময়ে নজরুলের চেয়ে বড়ো করে তুলে ধরা হয় সুকান্ত ভট্টাচার্য, হেমাঙ্গ বিশ্বাস প্রমুখকে। নজরুল থেকে যান কেবল প্রতীকি উপস্থিতি নিয়ে। নজরুলের প্রতি এই কৌম-উপেক্ষা, নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে বাধ্য করে থাকবে উন্মাদ, নির্বাক, বৃদ্ধ কবিকে সে দেশে নিয়ে গিয়ে সন্মান ও প্রতিষ্ঠা দিতে। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে কাজী নজরুল ইসলাম রূপান্তরিত হন সেখানকার এসট্যাবলিশমেন্টের, এমনকী আবছাভাবে ধার্মিক প্রাতিষ্ঠানিকতার, সাংস্কৃতিক প্রতিভূরূপে। মসনদ-বিরোধী কথকের এ এক ভয়াবহ প্রতীকবদল। বাংলাদেশের এসট্যাবলিশমেন্টের সৌভাগ্য যে নজরুল কোনো কিছুর প্রতি সাড়া দেবার অবস্থায় ছিলেন না।
উভয় বাংলায়, দেশভাগের পর, মূল্যবোধের বীভৎস ধ্বংসের পরিপ্রেক্ষিতে, নজরুলের ভূমিজ ইতিবাচক কবিতার অ্যাড্রেনালিন প্রায় অসহ্য হয়ে ওঠে ব্যক্তিপ্রজ্ঞাবাদী মধ্যবিত্ত পাঠকের অবচেতনায়। বস্তুত স্বদেশি আন্দোলনের যাবতীয় দ্যোতকগুলোকে নিজেদের স্মৃতিতে স্থান দিতে ভয় পেতে লাগলেন নাগরিকরা। স্বাধীনতার পর, দুই বাংলাতেই, কবিতা আবৃত্তির জগতে পেশাদার আবৃত্তিকারদের মধ্যে গলা-কাঁপানো নম্র ব্রা্হ্ম ঢঙটি জাঁকিয়ে বসে, যার দরুন নজরুলের উদাত্ত ওজস্বী বজ্রনির্ঘোষ কবিত্ব প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় কণ্ঠস্বরের রেওয়াজ অবলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কিংবা চলে যায় ছেঁদো পার্টিবাজদের এক্তিয়ারে। নজরুল সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েন স্কুলের বালক-বালিকাদের মঞ্চে। অথচ ভারতবর্ষে প্রতিবেশী পাকিস্তান বা চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষ বাধলে বা শহরে দাঙ্গা লাগলে, এসট্যাবলিশমেন্ট ঝেড়ে-পুঁছে বের করে নজরুলের পদ্য ও গান। কণ্ঠস্বরের শব্দাঙ্ক বাঙালির ক্ষুদ্র রাজনীতির ফলে এতই নোংরা হয়ে গেছে যে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে নজরুলের কবিতা আবৃত্তির শব্দাঙ্ককে সেই কলুষ থেকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে, তা আর আদপে নজরুলি থাকে না। দুই বাংলার বর্তমান ন্যায়নৈতিক পরিমণ্ডলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে, নজরুলের স্বয়ম্ভূ তৃণমূল কাব্যভাবনার নিজস্ব মানদণ্ডটি, সাংস্কৃতিক নান্দনিক রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেশ অস্বস্তিকর।
চলবে