কাজী নাসির মামুন

কাজী নাসির মামুন

কাজী নাসির মামুনের কবিতা জীবনের সত্য ও সুন্দরের চাষ

নজরুল হায়াত

প্রকাশিত : জুন ০২, ২০২০

তরুণ কবি কাজী নাসির মামুনের `স্পর্শক্ষয় ও আমাদের দিনকাল` এবং `সম্পর্কের তাঁবু` শিরোনামের দুটি কবিতার মোট (তিন+আট) এগারোটা খণ্ড কবিতা আমার সামনে আছে। বলে নেয়া ভালো, যে দুটো কবিতায় একজন কবির পূর্ণাবয়ব আদল খুঁজে পাওয়া যায় না। অবশ্য আমার শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক এবং বাংলাদেশের একজন নমস্য বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম সামদানী কোরায়শীর মতে, একটি অনবদ্য পঙক্তিও একজন কবিকে অমর করে দিতে পারে। সে হিসেবে একটা কবিতাতেও একজন কবিকে আবিষ্কার করা যায়। নিঃসন্দেহে দুটি কবিতায় কোনো কবির সামগ্রিক কাব্যপরিচয় না মিললেও তার চেহারার একটা রেখাচিত্র পাঠকের সামনে হাজির হয়। এই দুটো কবিতা নাসিরের কাব্যচরিত্রের কতটা দখল করে আছে তা আমি বলতে পারবো না। কারণ ওর অন্যসব কবিতার সাথে আমার পরিচয় নেই।

আপাতত এইসব কবিতায় কাজী নাসির মামুনের কাব্যচেহারার যে ছবিটা ফুটে বেরিয়েছে আমার সীমানা ও সীমাবদ্ধতায় আমি তার ছোট ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। বলার অপেক্ষা রাখে না, একালের বহু কবির কাব্যভাষা ও শব্দ নির্বাচন, অলংকরণ, বিষয় পরিবেশনা এবং অন্তস্থ বোধের গ্রন্থনা জটিলতায় আশ্রিত হয়ে থাকে। সেসব কবিতা সাধারণ এমনকি কখনো কখনো বিদগ্ধ পাঠকের কাছেও অপাঠ্য, অবোধ্য ও দুর্বোধ্য হয়ে যায়। নাাসির মামুন এ অভিযোগ থেকে মুক্ত। ওর আঙ্গিক সরল। ছন্দ মুক্তক। যেমনটা একালে হয়ে থাকে সুনির্দিষ্ট পর্ব ও মাত্রানির্ধারিত নয়। ব্যবহৃত শব্দাবলি চেনা, পরিচিতির গণ্ডির মধ্য থেকে আহরিত এবং যোজিত রূপক-উপমাদি পাঠককে কোনো দুর্গম জটিলজটাজালে নিক্ষেপ ও আবদ্ধ করে না।

ওর প্রথম শিরোনামের কবিতা অর্থাৎ `স্পর্শক্ষয় ও আমাদের দিনকাল`র বিষয়, বক্তব্য ও অভীষ্ট লক্ষ্যর সাথে দ্বিতীয় শিরোনাম `সম্পর্কের তাঁবু`র বিস্তর অমিল থাকলেও একটা জায়গায় মিল আছে। আমার কাছে এ জায়গায় মামুনকে অধ্যাত্মানুসারী মনে হয়েছে। জাগতিক যাপন, জীবনের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও বাসনার আড়ালে নাসির এক অলৌকিক সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ওর কবিতার চরিত্র নির্ধারণ ও নির্মাণ করেন। প্রথম শিরোনামের ওর তিনটি কবিতা প্রধানত জীবনকেই উচ্চকিত করে। জীবন মানে ওর চারপাশের বিচিত্র চরিত্র আর মানুষ ওর সামনে কতিপয় প্রবণতার প্রতীক হিসেবে ধরা দেয়। ও কতিপয় বন্ধুর মধ্যে এইসব প্রত্যক্ষ অথবা আবিষ্কার করে এদের মধ্য দিয়ে জীবনের বিচিত্র বর্ণের পরিচয় উদ্ঘাটন করে। জগৎটা যেমন মানুষময়, মানুষ যেমন জীবনময়, জীবন তেমনি তীব্র বাসনাময়। এই জীবনের নানান রং। প্রকৃতির বিচিত্র বর্ণের প্রলেপে মামুন সেসব চিত্র ও গল্প তুলে ধরেন। এতে মামুনের মধ্যে একজন জীবনবাদী কবির পরিচয় ফুটে ওঠে। যেমন:

জীবনের সব ঘূর্ণিব্যাপী
কেবল মানুষ গুঞ্জরিত মনে।
ইচ্ছে করে ফকিরগঞ্জের
টুপটাপ মানুষের ভিড়ে
ঝিমঝিম বৃষ্টির কয়েক ফোঁটা হয়ে বসে থাকি।

এই বসে থাকার মধ্যেই ও আবিষ্কার করে `জীবনের সকল চুমুক`, ও মনে করে জীবন `এইভাবে মধুময় হতে পারে।` যেমন বলেছি ওর বন্ধুরা যাপনলগ্ন জীবনের বৈচিত্র্যের প্রতীক এবং জীবনের সমগ্রতার পরিচায়ক, তেমনটা মেলে ধরেন এইসব চরিত্র চিত্রায়ণে। যেমন ওসমান ওর কাছে `সেই নম্র মুখরতা/পাখির চঞ্চুতে যাকে খাবার ভাবতে ভালো লাগে` আবার জীবনযুদ্ধে পর্যুদস্ত বকুলের পরিচয় ও এভাবে দেয় `বকুলের গল্পগুলো দুমড়ানো/কাগজের ব্যথা নিয়ে সামনে দাঁড়ায়` তারপর আসল বকুলকে হাজির করে। বলে, `বকুল একটা অভিমানী জল। চুইয়ে পড়ছে।...কচুবনে টলটলে পানি/কত ক্ষোভে টুপ করে ঝরে`, অথচ রতন ওর কাছে `স্নিগ্ধতার ভাই`, যাকে ও ব্যাখ্যা করে এভাবে `ওকে আঁজলায় নিয়ে মুখ ধুই।` আবার মিহির হারুনকে ও আবিষ্কার করে নরুন্দি যাবার পথে সূর্যগলা রোদের প্রতীক হিসেবে। ওর কাছে মাসুদকে ছায়ার মতো প্রতিভাত হয়; যে জীবনবাদী। ওর ভাষায় `মাসুদ নিজেই ছায়া/উদ্দিষ্ট স্বপ্নের পিছে যারা ছোটে` তাদের প্রতিনিধি।

ইদ্রিস আলীও এরকম `হাসির বৃত্তান্তভরা উন্মুক্ত মাঠের দিবালোক।` বস্তুত এইসব বিচিত্র গল্প নিয়েই জীবন, মানুষ, জগতসংসার, প্রেম। তবে এ প্রেম কবিকে ভুলের দিকে যাত্রার ইঙ্গিত দেয়। ভ্রান্তি, বিভ্রম মনে হয়। সে কথা ও এভাবে স্পষ্ট উচ্চারণ করে বুঝিয়ে দেয় `প্রেমের ভুলের দিকে যেতে যেতে/আমি একটা কষ্টার্জিত টাকা।` তখন ওর `নিজের ছায়াকেও ও `পর্যুদস্ত` দেখে এবং বিপুল `অপচয়` বলে বোধ করে। এসব অনুভূতি ওকে আধ্যাত্মিকতার দিকে যাত্রা ঘটায় এবং এক অদৃশ্য শক্তির প্রতি আত্মসমর্পিত করে। ওর কাছে সে শক্তি `আত্মার গহিনে বসা নিরূপিত হাত।` এই হাতই কি অপচয়কারী? এখানে দ্ব্যর্থ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। এই হাত অথবা জীবন এইসব দ্বৈত প্রশ্ন ওকে ক্ষরিত করে, বিধ্বস্ত ও পর্যুদস্ত করে এবং তা থেকে উৎপন্ন হয়, `আশ্চর্য ক্ষরণ থেকে কত পাখি/এইভাবে উড়ে উড়ে পালক ঝরায়।/ দহন মলিন ঘরে বসে, আমি/মরা পালকের জানাজা পড়াই।`

সমকাল বিশেষ করে করোনাকাল ওর এ চৈতন্যকে আরো তীব্র ও শাণিত করে। যখন সে দেখে `অনাক্রান্ত মায়ের শরীর/জ্যান্ত ফেলে আসে যে সন্তান বিধুর জঙ্গলে।` তখন এক পাশবিক `স্বার্থের তালা` ও দেখতে পায় মানুষের মধ্যে, আর এইসব ওকে জীবনের আরেকটা রূপ চিনিয়ে দেয়। এই দর্শন ওকে এক দার্শনিক প্রত্যয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় এবং বাধ্য করে উচ্চারণ করতে `নিজের জীবন খুলে গেলে/অন্য কোনো আলোর সহগ/প্রয়োজন নেই; সে কি দেখে না জঠর/পরাক্রান্ত সত্যের সামনে নীরব শিক্ষার্থী।`

ওর দ্বিতীয় কবিতা `সম্পর্কের তাঁবু ` প্রধানত নরনারীর জৈবিক সম্পর্কের— কাম ও প্রেমের উপাখ্যান হলেও নাসির এর মধ্যেও ওর সে চৈতন্য প্রবাহকে সঞ্চারিত করেছেন। অল্পবয়সী দুটো বালিকা যাদের ও বলেছে `ফলিত আগুন` তা ওর কাছে `শস্যযোগ্য নয়।` বিশুদ্ধ জীবনবাদীর কাছে এই বৈরাগ্য মোটেও জীবনসম্মত নয়। এই প্রজ্জ্বলিত নারীর শরীর ওকে শীতার্ত ও অগ্নিদহিত করে, `আকুল একটা নদী মৃতঢেউসহ` প্রবলবেগে স্রোতে ভাসায়, সে স্রোত মুন্নি নামের তরুণীতে প্রত্যক্ষ করে ও, আর বিভূষিত করে মুন্নিকে `শরীরে জলপঙক্তি `হিসেবে; যে ওকে প্রথম প্রেমের পরিভাষা বা পাঠ শেখায়, প্রথম কামজ` কবিতার কথা বলে।/বলে সূর্যোদয়/প্রথম শরীরে এসো/বিদ্ধ হও অগ্নির সংকেতে।` স্পষ্টতই এটা দ্বৈরথ, জীবনের সহজাতের সাথে আপাত মনোবার্ধক্যের দ্বন্দ্বযুদ্ধ। কখনে জেতে পরাঙ্মুখতা, ওর মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক বিবাগী বাউল। এ জায়গায় ও মরমীয়াবাদে আক্রান্ত হয়। মরমীয়াবাদ যা ইরানে— পুরোনা পারস্যে জন্ম নিয়ে পীর, ফকির দরবেশদের প্রচারাভিযানের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিলো তা আরেক ধরনের জীবনবাদ।

এর পোশাকি নাম সুফিবাদ— যা মানুষে মানুষে বৈরাগ্য নয় মিলনের কথা বলে। বর্ণ, গোত্র, পদ-পদবী ও ধন-সমাজ বৈষম্য ঘুচিয়ে মানুষকে এককাতারে দাঁড় করিয়ে দেয়। তখন ও এর মধ্যে `নির্মম ভালোবাসাময় অধিক তিমির’ খুঁজে পায়। সে তিমিরে আলো সহগ। লাইলি মজনুর প্রতীকী প্রেমে যা ঈশ্বরাকাঙ্ক্ষার পরিণতি বা মিলন ঘটায়। ভারতীয় ধর্মবোধেও তা প্রবল নাড়া দেয়। রাধা-কৃষ্ণের লীলাময় কাম ও জৈবরসায়নে এর নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। ওর ভেতরে বসতগড়া প্রেমের বা কামের রক্তমাংশের পুরুষটা জেগে উঠলে ও মুন্নির স্পর্শশাসিত হয়ে `তরঙ্গশাসিত জলে ভেসে যায়।` অথচ এতকিছুর পরে ওর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি `প্রান্তরের রক্তিম পলাশ/মুন্নির শরীরে আমি ফোটাতে পারিনি।` বস্তুত `ফতুর হবার উদ্যত সাহস` ওর ছিল না। বরং `অন্তরে আগুন রেখে মায়ার প্রকোপ` ও `গড়িয়ে` দিয়েছে `মুন্নির দিকে।` এই কাপুরুষতার তত্ত্ব লুকিয়ে আছে ওর আবিষ্কৃত, অধীত, অধিকৃত মরমীয়াবাদে আর তা থেকে উদ্ভূত এইসব পঙক্তিতে `পৃথিবী মুহূর্তকাল; সময় মন্থনে/মানুষ বুদ্বুদ মাত্র। অথচ দাম্ভিক।’ এবং শেষ পর্যন্ত সেই প্রতীতিতেই পৌঁছান কবি যা আগেই নির্ধারিত হয়েছে। এই দাম্ভিকতা মানুষের উপর মানুষের, প্রকৃতি ও বিচরণশীল বিচিত্র বৃক্ষ ও প্রাণের উপর মানুষের আধিপত্য ও হননেচ্ছাজাত।

মরমি কবির অন্তরে তখন পাখির খুনও রক্ত ঝরায়। কবি তা উপশমে রচনা করেন এইসব পঙক্তি ` তবুও দাঁড়িয়ে থাকে আলহেরা নূরানি মাদ্রাসা/যেন তার আসমানি বুক/হাশরের দুর্ভোগ মাটিতে নিয়ে আরোগ্য লাভের নীল সামিয়ানা টানিয়ে রেখেছে।` এসব পঙক্তি আমাদের ফররুখ আহমদের কথা মনে করিয়ে দিলেও ফররুখের সাথে ওর যোজন যোজন দূরত্ব। ফররুখ ইসলামি রেনেসাঁ তথা পুনর্জাগরণের স্বপ্নবিভোর কবি ছিলেন যা সে সময়ের রাজনৈতিক বাস্তবতাজাত দ্বিজাতিসত্তার মর্মমূল উৎসারিত। আর কাজী নাসির মামুন বাল্মীকির মতো মানুষের নিষ্ঠুরতায় ক্লান্ত জাত-ধর্ম-রক্ত-বর্ণ নির্বিশেষ মনুষ্যত্বলালিত মানুষে, জগতের সকল প্রাণে জরে-অজরে মিলনের কবি। ওর প্রেম সে অর্থে মজনু ও রাধিকা। সে অর্থে নাসির মানবজীবনে সত্য ও সুন্দরকে আবাদের কবি। ওর চাষের ভূমি প্রেমের মনোতট।

এ কবিতা শিল্পের এক মোহন মূর্তি। বিশেষ করে যেখানে তত্ত্বের কিম্বা আরোপিত আদর্শের বাইরে জীবন প্রস্ফুটিত পুষ্প হয়ে উঠেছে। নরনারীর উন্মত্ত বাসনার রক্তরঙিন প্রকাশ ঘটেছে। কবিতাটির শরীর জুড়েই নারীর নিজের ভেতরের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবতার ঝংকারময় সঙ্গীত বেজে উঠেছে। তখনই এর কাব্যধর্ম প্রতিহত হয়েছে যখন কবি অতিমাত্রিক আদর্শায়িত হয়ে জীবনধর্ম অস্বীকার করেছে। ওর বেশিরভাগ পঙক্তিই লাস্যময় গতির নিপুণ প্রবাহচঞ্চল। প্রেম ও কামের অন্তর্গাঢ় যে রহস্য উন্মোচন ঘটেছে এ কবিতায় তা এককথায় অনবদ্য।

নাসির মামুনের কবিতা প্রধানত চিত্রময়। চরিত্র অংকনে, দৃশ্য বর্ণনায় নাাসির নানান রং ব্যবহার করেছেন। যদিও সেসব মাঝেমধ্যেই দর্শনাক্রান্ত হয়েছে। যেমন `বৃষ্টি আকাশের প্রেমপত্র /রিমঝিম শব্দের অঝোর/বাক্যে তাকে সারারাত পাঠ করে/কয়েকটি প্রবল উৎফুল্ল ব্যাঙ` অথবা `নশ্বরতা একটা হাসির/গোলাপ, সবার মধ্যে দোলে।` এই বাক্যগুলো যুগপৎ ছবি ও দর্শন। ছবি আঁকাতেও নাসিরের নিজস্বতা আছে। যেমন এই রূপকটা `মাঝে পথ, ঠিক পথ নয়/পিচঢালা একটা ঘোড়ার পিঠ সুদূর পশ্চিমে/ গড়িয়ে দিয়েছে কেউ।` নাসির তত্ত্বকথা বলতে ভালোবাসেন। যেমন `রাষ্ট্র এক বিলম্বিত বুদ্ধির রাখাল।’ যদিও বিলম্বিত শব্দটি অপ্রয়োজনীয়, তবু রাষ্ট্র তো রাখাল বটেই। যেহেতু সব মানুষ নিজের সার্বভৌম ক্ষমতা রাষ্ট্র নামের এক প্রতীকী প্রতিষ্ঠানে জমা রাখে আর নিজেই তার পরিচালক হয়ে ওঠে। আবার ওর উপলব্ধি মানুষের লোলুপতাকে ব্যঙ্গ করে কখনো। যখন ও বলে, `পৃথিবী একটা খাদ্য; কেউ তাকে/সম্পূর্ণ গিলছে, কেউ উগরে দিতেই ভালোবাসে`
তখন শক্তিমানের শোষণের নগ্ন চেহারাটাই উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।

এ আলোচনা আর বাড়াতে চাই না। যদিও আরো কিছু বিষয় এতে সংযুক্ত হতে পারতো। আমার সীমাবদ্ধতা আর পাঠ অযোগ্যতা তাতে বেরিয়ে পড়বে। নাসিরের কিছু চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমার স্পষ্টতই দ্বিমত আছে। জগতকে অনুপভোগ্য ক্ষণকালীন বাস্তবতা মাত্র মানতে আমি রাজি নই। এই বৈরাগ্য আমার কাছে অর্থহীন। নাসির যে কবিতা লিখছে তা নিজেকে জগতে ওর অনুপস্থিতিতেও টিকিয়ে রাখার বাসনাজাত। মানুষ এ কামনার অধীন। তবে এটা কবিতার আলোচ্য নয়। কিন্তু ওর রচিত শিল্প, কবিতার পঙক্তি আমার কাছে রসের আধার। আস্বাদনের সরস মদ্যপদ্য। শিল্পোত্তীর্ণ দ্বিতীয় কবিতাটির জন্য ওকে বিশেষ ধন্যবাদ।

লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক