কামরুজ্জামান কামু
কামরুজ্জামান কামুর একগুচ্ছ কবিতা
প্রকাশিত : জুন ২০, ২০২০
সাব্রিনা সাব্রিনা
একটি স্বপন দেখে
ঘুম ভেঙে গিয়াছে আবার
ঘুমখানি ভাঙে কেন
রুমখানি চারকোণা
তাতে ঢুকেছে করোনা
মীরজাদী কোলে ক`রে কিট
আইইডিসিয়ারে বসে ফিট
হয়ে পড়ে গিয়ে মরে গিয়ে
জেগে উঠে পুনরায়
বলে কোথা কোন ছার করোনা
আমি যারে দেখি নাই
সে ততোটা বড় না
খুবই ছোট। এত ছোট
চোখেই তো পড়ে না
আসলে করোনা রোগে
কোনো লোকই মরে না
হাউ আর ইউ মীরজাদী
সাব্রিনা সাব্রিনা
মুজতবা
সবচেয়ে হাসিখুশি
বিনম্র বদন
আহা মুজতবা
চলে গেল আজ
এই ভোরের পাখির গান
অর্থহীন লাগে
ঘরের বিড়ালটির
ম্যাঁও ম্যাঁও ডাকে
জেগে উঠে শুনি
মুজতবা মারা গেছে
তবু এই সময়ের
ফ্যাকাশে আলোর মতো
তার মুখ
হেসে ওঠে অসহায়
বেঁচে থাকা মানুষের
হৃদয়ে হৃদয়ে
কোনো মাত্র কাঁদিবার নাই
নিজেই নিজের মৃত্যু কোলে নিয়ে
কবিতা লেখার কাজ মূলত কঠিন
যারা কবি তারা সেটা পারে
সেই কাজ সকলে পারে না
সেই কাজ বিরাট ব্যাপার
সেই কাজ বাঁকা রাস্তা ঘোরা মাত্র
বিশাল পাহাড়
সেই সে বিরাট কথা বড় বড় মানুষের
বৃহৎ বেদনা
পৃথিবীতে রয়ে যাবে
কিন্তু দেখো একদিন
পড়ে থাকবে ভূমণ্ডল
হাঁস পাখি গবাদি পশুর দল
কোনো মাত্র কাঁদিবার
মানুষ রইবে না
পুত্র নয় কন্যা নয় মাতাপিতা নয় কেহ
কেহ নয় কেহ নয়
কোনোকিছু নয় শুধু
নদীর পারের বালু
অকারণে ক্ষয়
মরে যাব ভাই
বসে ছাদের কিনারে
ভাবছি পড়ে যাব যদি
তবে ছাদ থেকে কেন
এই সামান্য বিল্ডিংবাড়ি
ছাদে গরুও চড়ে না
যে, দড়ি ছিঁড়ে এসে তারা
খেয়ে যাবে টবের পেয়ারা
ছাদ এত ছোট কেন বাল
জোরে একটা দৌড় দিলে
নিচে পড়ে যাব কোনো
সবজি বিক্রেতার ঘাড়ে
এটা কোনো কথা হলো
আমি পড়লে আরও উঁচু
মাউন্ট এভারেস্ট থেকে
লাফ দিয়ে পড়ে গিয়ে
মরে যাব ভাই
আগুনবসন্ত
শতবস্তু ক্ষয় করি
জয় করি সহস্র নগর
এই সোনার সিন্দুক
রাজমুকুটের মণি;
তোমারে সকলি মম
দিয়া যাইতে চাই—
আকাশসাগরমাটি
বেলের ফুলের রেণু
সাততারা, মদের গেলাস
উত্তপ্ত তাতানো ধনুক;
হেন আগুন লাগাইছ তুমি
সাম্প্রতিককালে—