কালীগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, হাসপাতারে নিতে বাধা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে জাহাঙ্গীর হোসেন। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার মথনপুর গ্রামের নুর ইসলাম নুরোর ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার ১০ নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের মথনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তবে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি জানাজানি হলে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

এরপর সেখান থেকে রাতেই তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটির মা বলেন, “আমাদের বাড়ি জাহাঙ্গীরের বাড়ি পাশাপাশি। ঘটনার সময় আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাঙ্গীরের বাড়ি যায় আমার মেয়েটি।”

তিনি আরও বলেন, “পরে আমি গরুর খাবার দিয়ে ঘরের বাইরে গেলে মেয়ের চিৎকার শুনতে পাই। এরপর এগিয়ে গেলে জাহাঙ্গীর মেয়েকে ছেড়ে দেয়। এরপর মেয়ে বাইরে এসে ওই ঘটনা আমাকে বলে।”

শিশুটির মা বলেন, “মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যে আসব, কিন্তু তারা সবাই আমাকে ও আমার স্বামীকে আটকে রাখে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিচার হওয়ার আশ্বাস দেখিয়ে কোথাও যেতে দেয়নি আমাদের। আমার দেবর ঘটনা শুনে বাড়িতে এসে হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে।”

তিনি আরও বলেন, “এ ঘটনার পর আমার স্বামী বাড়িতে এলে জাহাঙ্গীরের কাছে শুনতে গেলে জাহাঙ্গীর আমার তলপেটে লাথি মারে। আমি ৪ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।”

শিশুটির বাবা বলেন, “ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে মেয়ের মায়ের কাছে ঘটনা শুনি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। ফাঁকা বাড়িতে স্ত্রী-মেয়েকে রেখে কাজে যাই। থানা-পুলিশ না করতে বলেছে। এরপরও আমি বিচার চাই।”

কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”