‘খুনিদের ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয়’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

খুনিদের ফেরত না দিলে ভারতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “ওসমান হাদির হত্যাকারীরা ভারতে পালিয়ে থাকলে, তাদের ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।”

তিনি আরও বলেন, “এ লড়াই কেবল একজন নেতার হত্যার বিচার নয়, বরং দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ রক্ষার লড়াই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ শুধু আওয়ামী লীগকেই নয়, বরং দেশে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেও রায় দিয়েছে।”

নাহিদ বলেন, “১৯৭১ সালের পর থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা করে আসছে ভারত। বাংলাদেশের প্রায় সব বড় রাজনৈতিক ও সামাজিক লড়াই এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধেই সংগঠিত হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই লড়াই থেকে পিছু হটার আর সুযোগ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “শরিফ ওসমান হাদি এই শাহবাগ থেকেই তার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লড়াই শুরু করেছিলেন। তার লড়াই ছিল ভারতীয় ও বৈদেশিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা শুধু আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করিনি, বরং দেশে বিদ্যমান ভারতীয় এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধেও জনগণ স্পষ্ট রায় দিয়েছে।”

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলবে। তবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা বা গুলি চালানো হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আন্দোলনের ভেতরের ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের নাশকতার চেষ্টা হতে পারে। তাই জাতিকে বিভক্ত না করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করে। এ সময় দফায় দফায় স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ এলাকা। সমাবেশে ডাকসুর সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতারা উপস্থিত ছিলেন।