গাজা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদে ভোট, চাপে যুক্তরাষ্ট্র

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা বাড়ানোর দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নতুন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর হুমকি সত্ত্বেও পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ওয়াশিংটন চাপের মুখে পড়েছে। গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার পর আগস্টে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী ১০টি সদস্য দেশ এই খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু করে।

এই প্রস্তাবে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের পথ খুলে দেওয়ার পাশাপাশি ‘দুই পক্ষের মধ্যে তাৎক্ষণিক, নিঃশর্ত ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ এবং একইসঙ্গে জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এর আগে আরেকটি খসড়া প্রস্তাবে শুধু মানবিক সহায়তার ওপর জোর দিয়েছিল, যা কিছু সদস্য রাষ্ট্র যথেষ্ট মনে করেনি।

কূটনৈতিকদের মতে, এই নতুন পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোকে উপেক্ষা করার একটি সচেতন প্রচেষ্টা। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে বাধ্য করা হবে, এরপরও তারা ভেটো ব্যবহার করলে বিশ্ববাসীর সামনে তাদের অবস্থান খোলাসা হয়ে যাবে। পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে।

ফলে বাকি ১৪ সদস্য দেশের মধ্যে এ নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। কারণ তারা গাজার জনগণের দুর্ভোগ কমাতে ইজরায়েলকে চাপ দিতে পারছে না। এরই মধ্যে একটি জাতিসংঘ-অনুমোদিত তদন্ত কমিশন গাজায় ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ এনেছে।

১২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভোটে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাস হয়েছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ১৪২টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়, বিপক্ষে মাত্র ১০টি এবং বিরত থাকে ১২টি দেশ। প্রস্তাবটি উত্থাপন করে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।

উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার ইজরায়েলের পক্ষে নিজেদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে গাজা সংক্রান্ত প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে শেষ ভেটোটি ছিল জুনে। আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনেও এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র: এএফপি