গাজায় মালয়েশিয়ার মানবিক সহায়তা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ১৮, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির পর মালয়েশিয়া থেকে পাঠানো ৫টি মানবিক সহায়তার ট্রাক রাফাহ সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করেছে। এই সহায়তা পাঠিয়েছে হিউম্যানিটারিয়ান কেয়ার মালয়েশিয়া MyCARE সংগঠন।

MyCARE এর সিনিয়র প্রকল্প ব্যবস্থাপক কামারুল হালিম সাকরানি বলেন, “৫ পাঁচ ট্রাকের মধ্যে ৪টি ট্রাকে ছিল ৮০ টন আটা, আর একটি ট্রাকে ছিল ১,০০০ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী। যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার রিঙ্গিত।”

তিনি আরও বলেন, “সহযোগী সংস্থা আল খাইর বৃহস্পতিবার জানায়, আটা-বোঝাই ২ ট্রাক এরই মধ্যে রাফাহ সীমান্ত হয়ে গাজায় পৌঁছেছে। সব সহায়তা সামগ্রী দক্ষিণ গাজার একটি গুদামে সংরক্ষিত থাকবে এবং সেখান থেকে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন MyCARE এর গাজার মহাব্যবস্থাপক ড. জিয়াদ শেহাদা।

রাফাহ সীমান্ত খোলার পর MyCARE অক্টোবর ২০২৫ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত ২ ধাপে মানবিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যা ড. জিয়াদ শেহাদার নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। পুরো প্রকল্পের মূল্যমান প্রায় ৯ মিলিয়ন রিঙ্গিত RM9 juta এবং এটি ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।

প্রথম ৩ মাসে থাকবে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রকল্প: খাদ্য প্যাকেট বিতরণ, অস্থায়ী আশ্রয়, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ, শিশুদের দুধ প্রদান। পরবর্তী ৬ মাসে থাকবে দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন প্রকল্প: সৌরশক্তিচালিত পানির কূপ ও রক্ষণাবেক্ষণ, শিক্ষা অবকাঠামো পুনর্গঠন।

এছাড়া MyCARE গাজায় চলমান ক্লিনিক সেবা, আয়ের উৎস সৃষ্টির প্রকল্প এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন কার্যক্রমও চালু রাখবে। MyCARE ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট ২৭ মিলিয়ন রিঙ্গিত সহায়তা দিয়েছে।

এর মধ্যে ৮০ শতাংশ গাজাবাসীর জন্য, আর বাকি অংশ বায়তুল মুকাদ্দাস, পশ্চিম তীর ও বিদেশে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ব্যয় করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে MyCARE ৮টি খাতে সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাথমিক পুনর্বাসন ও স্বাস্থ্য সেবা ছিল অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত।

কামারুল হালিম বলেন, “আমরা মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। বিশেষ করে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে।”