
চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ২৭, ২০২৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছাড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম বাঁশখালী দারুল ইসলাহ দাখিল মাদ্রাসা মসজিদে ছাত্রশিবিরের বৈঠকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, ছাত্রশিবিরের বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের মারামারিতে ছাত্রশিবির ও জামায়াতের ৪ নেতাকর্মী আহত হয়। পরে রাতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে মীমাংসা করার জন্য স্থানীয় মোশাররফ আলী হাটে বৈঠকে বসে। এ সময় মীমাংসা না হয়ে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়ন-মণি ও স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী মো. তায়েব, এনামুল হক ও তানভীর হাসান এবং ছাত্রশিবিরের বাঁশখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারি আজগর হোসাইন, জামায়াত কর্মী মো. রাকিব আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার (ওসি) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এখনও পর্যন্ত এলাকাটি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাঁশখালী থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আরিফুল্লাহ বলেন, “মাদ্রাসা ছুটির পর বিকেলে পাশের মসজিদে পবিত্র কুরআন ক্লাসের আয়োজন করেছিল শিবির। সেখানে ছাত্রদল হামলা করে আমাদের কর্মী রাকিবকে আহত করে। রাতে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য গেলে সেখানেও আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আবারও হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।”
বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার লোকমান আহমদ বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, শিবিরের বৈঠকে বিএনপি নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের হামলায় আমাদের ৪ থেকে ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।”
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু সুধাংশু শেখর হাওলাদার বলেন, “স্থানীয় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টার ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওই এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।”