চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা, সরকারের বিবৃতি
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ০৬, ২০২৫
চট্টগ্রাম-৮ আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণা অনুষ্ঠানে সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তাৎক্ষণিক তদন্তে পাওয়া গেছে, এরশাদ উল্লাহ এই হামলার টার্গেট ছিলেন না; বিক্ষিপ্তভাবে ছোড়া একটি গুলি তার শরীরে এসে বিদ্ধ হয়। সরকার এই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে আহত এরশাদ উল্লাহর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে সরকার।
অপরাধমূলক এ কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ জানানোর পাশপাশি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী সবার নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে সরকার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের কোনো স্থান নেই। সিএমপি এরই মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার সকল রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের শান্ত থাকার, সংযম প্রদর্শনের এবং ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচন যেন শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায্যতার পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।
সারাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তবর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণেরও নিশ্চয়তা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন হামজারবাগ চালিতাতলী এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এরফানুল হক শান্ত।























