‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটা রাজনৈতিক দলের মিলন মেলা’

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ১৮, ২০২৫

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান একটা রাজনৈতিক দলের মিলন মেলা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম। শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড়ের টুনিরহাট শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে টুনিরহাট গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটা দায়সাড়া ভাব দেখা গেছে। সেইফ এক্সিট মানে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে, এমন নয়। এখানে সেইফ এক্সিট দেখা গিয়েছে কোনোমতে জুলাই সনদ নামকাওয়াস্তে স্বাক্ষর করে নির্বাচনের দিকে যেতে পারলেই হলো! এতে সংস্কার হোক আর না-হোক।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকুক আর নাই থাকুক। পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার তা বাস্তবায়ন করুক বা না-করুক। তাদের কাজ কোনোমতে স্বাক্ষর করে যেতে পারলেই হলো। আমরা তো তাদের কাছে নতুন করে কিছু চাইনি।”

সারজিস আলম বলেন, “এই সনদে চেয়েছি, প্রধান উপদেষ্টা এটার আদেশ জারি করবেন। আমরা ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জারি এগ্রি করি না। আমাদের আহ্বায়ক অনেক আগে থেকেই বলেছেন আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি। ঘোষণাপত্রেও ছাড় দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “ঘোষণাপত্র নামকাওয়াস্তে একটা রিটেন পেপার হয়ে বসে আছে। কোনো কার্যকারিতা দেখছি না। এরকম যদি সনদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে দেখা যাবে, কিছুদিন পর অভ্যুত্থানটাই নাই। আবার কিছুদিন পরে দেখা যাবে, এই অভ্যুত্থানে যারা যোদ্ধা ছিলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কায়দায় অভিযুক্ত করে একেকজনকে মামলা দেয়া হবে। এই কাজগুলো হবে।”

সারজিস আলম বলেন, “জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে অতিথিদের আসনে থাকার কথা ছিলে জুলাই যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারদের। কিন্তু আমরা দেখলাম, একটা রাজনৈতিক দলের চুক্তির মিলন মেলা। না এখানে কোনো জুলাই যোদ্ধা বা শহিদ পরিবারের জন্য মর্যাদার আসন আছে, না কোনো ব্যবস্থা আছে।”

তিনি আরও বলেন, “একটা একটা পরিস্থিতিতে তাদের নিজের একটা ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সেখানে দেখিয়েছে। কিন্তু এটাকে সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে হোক বলেন বা নিজেরাই বলেন, অন্যভাবে ডিল করতে পারতো। কিন্তু তারা যেভাবে সেখানে লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ারশেল ছুড়েছে, রাবার বুলেট ছুড়েছে।”

সারজিস বলেন, “এগুলো খুবি অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। এই কালচারগুলো আমাদের যারা জুলাইয়ের যোদ্ধা ছিল তাদের সঙ্গে কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। এর জবাব কিভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেবে এবং এর দায় কিভাবে তারা নেবে, এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছ থেকে নেয়া উচিত।”