ডেঙ্গুতে চলতি বছর মারা যেতে পারে ৪০ হাজার মানুষ: প্রতিবেদন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : এপ্রিল ২৮, ২০২৪

দেশজুড়ে বেড়ে চলছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত বছর ডেঙ্গুতে মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন। ৬৪ জেলায় প্রায় সোয়া তিন লাখ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।

দেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্য দেশেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যেতে পারে।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন বলছে, একটি স্ত্রী এডিস মশা যদি ফ্ল্যাভিভাইরাস প্যাথোজেন বহন করে এবং এ অবস্থায় কাউকে কামড় দেয় তাহলে ভুক্তভোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সংক্রমণ লক্ষণ ছাড়াই চলে গেলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু ক্ষেত্রে ব্রেকবোন ফিভার দেখা যায়, যা গুরুতরভাবে জয়েন্টে ব্যথা, রক্তক্ষরণ এমনকি মাঝে মাঝে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়।

ডেঙ্গুর আফটার-ইফেক্টও যন্ত্রণাদায়ক। ইউনাইটেড স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন মনে করে সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এদিকে ২০২৪ সালে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ হিসাবে, সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্রাজিলের মানুষ।

ডেঙ্গুর মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরেই ভালো কাজ করছে সিঙ্গাপুর। দেশটি স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে নিয়মিত মনিটরিং করছে। তাছাড়া কোথাও পানি জমেছে কিনা তার খোঁজ করা, লার্ভা সংগ্রহ এবং দায়ীদের জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। মশার কেন্দ্রস্থলগুলোতে নিয়মিত ওষুধ ছেটানো হয়।

২০১৬ সাল থেকে সিঙ্গাপুর আরেকটি উচ্চ প্রযুক্তির ডেঙ্গু প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। প্রতি সপ্তাহে এটি ওলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত ৫০ লাখ মশা ছেড়ে দেয়, যা ডেঙ্গু সৃষ্টিকারী ভাইরাস ছড়াতে বাধা দেয়। এতে বছরে দেশটির প্রায় ৩৫ লাখ ডলার খরচ হয়। এখনো ডেঙ্গুর কোনো ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি, তবে এক্ষেত্রে চেষ্টা চলছে।