দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫
দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। শুক্রবারও যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
টানা দুই দিনের শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় যশোরসহ আশপাশের এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে জনজীবন থমকে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, কোথাও কোথাও শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দেশজুড়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় ঠাণ্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট, সোয়েটার ও মাফলারে ঢেকে মানুষজনকে কাঁপতে কাঁপতে পথ চলতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে শীতের কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শ’ মানুষ শ্রম বিক্রির আশায় জড়ো হয়। কিন্তু প্রচণ্ড শীতে সেই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরপরও কাজ না-পেয়ে অনেককে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে। সারা দিন গরম পোশাক পরে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে মানুষজনকে।
সন্ধ্যার পর যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকরা শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ ও গরম পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
























