নাটক ও নাট্যকলা: দীর্ঘ পথ চলা

পর্ব ৬

রাহমান চৌধুরী

প্রকাশিত : জুলাই ২৫, ২০২০

ইসলামের আবির্ভাবে খ্রিস্টান জগত তখন আর তার প্রতিপত্তি বাড়াতে পারলো না। মুসলমানদের প্রভাব বাড়তে থাকলো এবং বিস্তৃত হতে থাকলো। পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য টিকে রইল খ্রিস্টানদের রক্ষণশীল মতাদর্শকে ঘিরে। যদিও অচিরকালের মধ্যে চার্চ এক মহাসত্য উপলদ্ধি করতে পারলো আর তা হলো, ‘নাটকের প্রচারকার্য ও জনশিক্ষার ক্ষমতা’ আছে। ফলে নাটককে তারা ব্যবহার করতে চাইলো খ্রীস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে। ষষ্ঠ শতকের মধ্যে গির্জার ‘মাস’ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে, যেখানে যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার স্মৃতি রক্ষার্থে সকলে সমবেত প্রার্থনায় মিলিত হতো; সেখানে বাইবেলের কাহিনী, যিশুর জীবনী ও খ্রীস্টান নীতিগাথা ইত্যাদি নাটকীয়ভাবে বর্ণিত হতে থাকে। এই মাস অনুষ্ঠান থেকেই পাশ্চাত্যের নাট্যকলা পুনর্জন্ম লাভ করে। সেটা কবে শুরু হয়েছিল নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। সপ্তম থেকে দশম শতকের মধ্যে ল্যাটিন ভাষায় রচিত কিছু সংলাপ পাওয়া গেছে যাতে দুটি চরিত্র রয়েছে। দশম শতক থেকেই চার্চের অধীনে এক নতুন নাট্যধারার আবির্ভাব হয়। বাইবেলের কাহিনী নিয়ে অতি ক্ষুদ্র হয়তো বা চার লাইনের নাটিকা হতো। দশম শতক থেকে সামন্তশ্রেণী গির্জাকে নিরংকুশ সহযোগিতা দান করতে থাকে, কারণ কৃষকদের শোষণ করতে গেলে তাদের ভিতরে ধর্মবোধকে প্রবলভাবে জাগ্রত করা দরকার। গির্জার পরিচালকরাও এটা বুঝতে পেরেছিল যে কৃষকদেরকে গির্জামুখি না করতে পারলে গির্জার অর্থ সরবরাহ ব্যাহত হবে। সাধারণ মানুষকে ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্যই নাট্য মঞ্চায়নের চিন্তা তাদের মাথায় এসেছিল। জনসাধারণের মধ্যে গির্জা মতবাদের অন্ধবিশ্বাস তখনো অক্ষুণ্ণ, যদিও বিত্তবান ও অভিজাতদের মধ্যে খ্রীস্টধর্ম সম্পর্কে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিত্তবান অভিজাতরা নিজেদের সুবিধার জন্য জনসাধারণের ঐ অন্ধ বিশ্বাসকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন বোধ করে।

প্রথমে খ্রীস্টান পাদ্রীরা গির্জার অভ্যন্তরেই এই ধরনের নাট্য মঞ্চায়ন শুরু করে। ঈশ্বরই ছিল তখন নাটকগুলোর দৃশ্যমান বা অদৃশ্য নায়ক। গির্জা একমাত্র সাধুসন্তদের জীবনী, ধর্মীয় উপদেশ, খ্রীস্টপ্রেমমূলক স্তোত্রগান, খ্রীস্টের দৃষ্টান্ত অনুসরণের আকাক্সক্ষা প্রভৃতিকে নাটকের বিষয়বস্তু বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। গির্জার ভিতরে মঞ্চস্থ নাটকগুলোতে পবিত্র কুমারী মেরীর মাহাত্ম্য প্রচার, খ্রীস্টধর্মের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস এবং মৃত্যুর পর শাস্তির ভয় বা ভালোকর্মের পুরষ্কার লাভের আশ্বাস থাকতো। খ্রীস্টধর্মের প্রথম দিকে গির্জার পুরোহিত বা পাদ্রীরাই বিভিন্ন চরিত্রে রূপদান করতো। নাটকের চরিত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরোহিত ও পাদ্রীদের পক্ষে সবগুলো চরিত্রে রূপাদান করা সম্ভব ছিল না বলে গির্জা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ব্যক্তিদেরও অভিনয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে বাধ্য হয়, যাদের পক্ষে ল্যাটিন না জানাই স্বাভাবিক। সে কারণে প্রথম দিকে নাটকে ল্যাটিন ভাষা ব্যবহৃত হলেও একাদশ শতক থেকে নাট্যসংলাপে ল্যাটিন ভাষার প্রাধান্য কমতে থাকে। দেশীয় ভাষায় নাটক রচনা শুরু হয়। শুধু তাই নয়, ধর্মের আলখেল্লায় নাটক সমাজ সত্য প্রচারের দিকে ধাবিত হতে থাকে। নাটক মূলত সমাজ-বাস্তবতার প্রতিভাস। বর্তমান কাল পর্যন্ত কোনো নাট্যকলা কখনোই তাই বাস্তব পটভূমিকে অস্বীকার করতে পারেনি। সুতরাং নাট্য রচনা ও প্রযোজনা সেই বিশেষ যুগের ঘটনাবলী ও প্রয়োজনীয়তার দ্বারা এবং সেই সময়ের গতি প্রকৃতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। নীচের ঘটনাবলীর দ্বারা তা প্রমাণিত হবে।

দশম-একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীর ইউরোপে ক্যাথলিক ধর্মভাবাপন্ন নতুন নতুন রাষ্ট্র গড়ে উঠছিল। ঠিক সেই সময়ে গির্জার ধর্মযাজকরা অনুভব করেন, বিশ্বাসপ্রবণ মানুষদের ধর্মের সত্যাসত্যগুলি সঠিকভাবে অনুধাবন করানো প্রয়োজন। মধ্যযুগের চার্চের এই ধর্মপ্রাণ চিন্তা শিল্প-সংস্কৃতি এবং নাটকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে গির্জার ধর্মযাজকরা দুটি কারণে গির্জার বাইরের মুক্তাঙ্গনে ধর্মীয় নাট্যসম্ভার প্রযোজনা করতে শুরু করেন। প্রথমত গির্জা মনে করেছিল, এভাবে ব্যাপক মানুষের মধ্যে ধর্মের বাণী পৌঁছে দেয়া যাবে। দ্বিতীয়ত যিশু খ্রীস্টের গাথা লোকের কাছে বিশেষ দর্শনীয় হয়ে উঠবে। যাজকবর্গ মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য দৃশ্যকাব্য হিসাবে সৃষ্টি করেন এই নাটক। বাইবেলের কাহিনীকে ঘিরে খ্রীস্টের পুনরুত্থান ছিল সেইসব নাটকের একটি দিক। দশম শতকে বাইবেলের সুসমাচার দিয়ে এর শুরু হলেও দ্বাদশ শতকে তা পূর্ণাঙ্গ নাটক হিসাবে বিকশিত হতে থাকে। নাটকের কাজ সেখানেও ধর্মীয় বিশ্বাস বা অনুভূতি প্রচার, খ্রীস্টের মাহাত্ম্য প্রচার। মধ্যযুগে ইউরোপের ধর্মীয় নাটকের কয়েকটি ধারা দেখা যায়; ধর্মের অলৌকিকতা সম্পর্কিত মায়া নাটক, ধর্মীয় নৈতিকতার নাটক, ক্রুশবিদ্ধ যিশুর যন্ত্রণাভোগ ও মৃত্যু নিয়ে রচিত নাটক।
মায়া নাটক প্রধানত ছিল যিশুর জীবনকে ঘিরে কিংবা বাইবেলের কাহিনী নিয়ে নানা অলৌকিকতায় পরিপূর্ণ। কিন্তু চার্চ তার সংস্কারের আগারে নাটককে দীর্ঘকাল আবদ্ধ রাখতে পারলো না, নাট্যানুষ্ঠান গির্জা প্রাঙ্গণ থেকে লোকালয়ে স্থানান্তরিত হলো। সেক্ষেত্রে ইউরোপের বিত্তবান ও অভিজাতদের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। যাদের হাতে ক্ষমতা ও বিত্তবৈভব ছিল এবং সেকারণেই শিল্পসৃষ্টি ও তার উৎসাহ দানে যাদের অখণ্ড অবসর ছিল, তারা বিভিন্ন কারণে আর খ্রীস্টধর্মে বিশ্বাস রাখতে পারছিল না। গির্জার মতবাদে তারা আর মোটেই আস্থাবান ছিল না। ব্যক্তিগত সুখভোগের অনুভূতি প্রকাশক শিল্পকর্মকে গির্জা মন্দ বিবেচনায় বর্জন করেছিল। খ্রীস্টীয় ধর্মমত বিত্তবানদের সামগ্রিক জীবনধারাকে সমর্থন না করায় সে ধর্মের আনুগত্য স্বীকারে তাদের কোনো লাভ হলো না। ফলে এই সমস্ত বিত্তবানরা সেই দৃষ্টিভঙ্গিকে গ্রহণ করে, যা ব্যক্তিগত সুখ ও ভোগবিলাসিতার মহিমাকে প্রকাশ করে। খ্রীস্টধর্মের সাথে বিত্তবানদের নানা রুচি ও নৈতিকতা নিয়েও বিরোধ বাধে। বহু প্রাদ্রীরও আর গির্জার মতবাদে বিশ্বাস ছিল না, কারণ সে মতবাদ দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। ভিন্ন দিকে গির্জা বিত্তবানদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। খ্রীস্টীয় জাতিসমূহের উচ্চবিত্তরা গির্জা অনুমোদিত খ্রীস্টধর্মে বিশ্বাস হারাবার পর তাদের মধ্যে দু ধরনের শিল্প ধারণা দেখা দিয়েছিল, জনসাধারণের শিল্প এবং মার্জিত সম্প্রদায়ের শিল্প। গির্জার বন্ধন থেকে এভাবেই শিল্পকলা মুক্ত হতে শুরু করে।

বিভিন্ন সামাজিক দ্বন্দ্বে এবং বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নাট্যানুষ্ঠান গির্জার সীমানা অতিক্রম করে যে হারে বাইরে বেরিয়ে পরলো, ধর্মীয় বন্ধন থেকে সেই হারে মুক্ত হতে থাকলো। সেই পর্বেই চার্চের নাটক ধর্মের গণ্ডী পার হয়ে মানবিকতার দিকে, পূর্ণ পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো। পূতপবিত্র ধর্ম প্রচারের তাগিদেই গির্জার অভ্যন্তরে যে নাট্যধারার সূত্রপাত, গির্জার বাইরে তা সাধারণের হাতে ব্যাপক ধর্মনিরপেক্ষ ও হাস্যরসাত্মক আনন্দদায়ক অনুষ্ঠানে পর্যবসিত হলো। বিভিন্ন ধরনের নাট্যচর্চা চার্চের বাইরে গিয়ে নিয়ন্ত্রণের শৃঙ্খল চূর্ণ করলো। যা একদা ঈশ্বর ও ঐশ্বরিক জগতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, সেখানে এসে ভর করলো মানবচরিত্র। মায়া নাটকের বাইবেলের কাহিনীর জায়গায় এলো অন্য একটি ধারা, যেখানে ধর্মের নৈতিকতা বা মানুষের পাপ-পূণ্য কর্ম স্থান পেয়েছিল। নৈতিকতামূলক নাটক খ্রীস্ট ধর্মের সন্তদের নিয়ে রচিত হতো। নাটকের প্রথম অংশে মূল চরিত্রের প্রথমে পাপ করা দেখানো হতো, দ্বিতীয় অংশে থাকতো বিস্ময় বিমূঢ় পাপীর অনুশোচনা এবং সত্যপথের নির্দেশ। নাটকে ধর্মের ব্যাপার থাকলেও নাটকে আরো বিভিন্ন উপাদান ঢুকে পড়তো। যেমন সন্ত নিকোলাসের জীবন নিয়ে রচিত নাটকে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের পাশাপাশি বহু মানবচরিত্র, রাস্তা-ঘাট, সরাইখানা, ঝগড়া-ঝাঁটি সবই রয়েছে। নাটকগুলোর মধ্যে খুবই উল্লেখযোগ্য হচ্ছে দ্য রুটেবাফ রচিত দ্য মিরাকল অব থিওফিলাস। নাটকটি রচিত হয়েছে এমন একজন মানুষকে ঘিরে যে পার্থিব সুখ শান্তির আশায় তার আত্মা শয়তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। লক্ষণীয় যে পরবর্তীকালে মার্লো ও গ্যাটের ডক্টর ফস্টাস নাটকের মূল চরিত্রের এখানে সূচনা। মধ্যযুগীয় নাট্যচর্চার অনেক কিছু নবজাগরণ বা রেনেসাঁর নাট্যকলা গ্রহণ করেছে, সেগুলির উন্নতি ঘটিয়েছে। মধ্যযুগীয় গির্জার ধর্মের পটভূমিতে রচিত নাটকগুলোতেই ধর্মের পাশাপাশি এসেছে মানুষের জীবন।

গির্জা প্রভাবিত ধমীয় নৈতিকতামূলক নাটকগুলোকে এক ধরনের রূপক নাটকও বলা যায়। নাটকের চরিত্রগুলি হতো মানুষের নানান দোষ-গুণের ব্যক্তিরূপ। নাটকীয় উপাদান বিশেষ কিছু থাকতো না, থাকতো মানুষের মধ্যকার ভালো ও মন্দের দ্বন্দ্ব। নাটকের মূল প্রেরণাই ছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে জনসাধারণকে জীবন সম্পর্কে সৎ উপদেশ দেওয়া। সেই জন্যই নাটকগুলিতে রূপকের সাহায্য নেয়া হতো। মানবীয় গুণাবলীর ধারণাগুলি ব্যক্তির চরিত্রকে পরিগ্রহ করে আসতো। নাটকের মধ্যে যখন পাপের পরাজয় এবং পূণ্যের জয় দেখানো হতো কিংবা জ্ঞান, বিনয়, নম্রতা, সততার জয় হতো; তখন গর্ব, অহংকার, কামুকতা ও অন্যায় আচরণের পরাজয় হতো। কেবলমাত্র দোষগুলোর নিরাকার ধারণাই যে রূপ পেতো তা নয়; তার সঙ্গে খারাপ অভ্যাস, মন্দ অদৃষ্ট, খানাপিনার উৎসব স্থান পেতো। মায়া নাটকের ধারা থেকে দুটো চরিত্র সার্বজনীনভাবে এসে গিয়েছিল, তার একটি হলো শয়তানের চরিত্র ও অন্যটি পাপ বা মানবিক দোষের চরিত্র। ধর্মীয় নৈতিকতার নাটকগুলো আসলে ধর্মের জগৎ ছেড়ে খারাপ আর সততাকেই নাটকের বিষয়বস্তু করে ফেললো; মানুষের দৈনন্দিন জীবন কাহিনী বলতে শুরু করলো।

মধ্যযুগীয় নাটক কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা শ্রেণির উদ্দেশ্যে ছিল না, ছিল সমগ্র খ্রীস্ট সমাজের উদ্দেশ্যে। বলতে গেলে এগুলি এক ধরনের ধর্মীয় প্রচারণা, ফলে ধর্মীয় এসব প্রচারণার মধ্যে নাটকীয় কিছু গুণাবলি থাকলেও এগুলিকে নাটক বলা চলে না। নাট্যালয় আর ধর্মীয় উপাসনালয় এক কথা নয়। মধ্যযুগীয় নাটকের উৎপত্তি গ্রীক নাটকের মতোই ধর্মকে কেন্দ্র করে। তা সত্ত্বেও মধ্যযুগীয় নাটকে গ্রীক নাটকের সেই ধ্রুপদী চেতনার অভাব পরিলক্ষিত হয় যা কোনো শিল্পকর্মকে কালোত্তীর্ণ করে তোলে। একটি ক্ষেত্রে প্রাচীন মিশর, প্রাচীন গ্রীস ও মধ্যযুগীয় নাটকের মিল লক্ষ্য করা যায়; তা হলো, নাটক কারো না কারো জয় গান করতে চেয়েছে। হয় দেবতা, নয় ইশ্বর কিংবা মানুষ। কখনো বীর পূজা, কখনো জ্ঞানের পূজা, কখনো সৎ মানুষের পূজা, কখনও সরল জীবন যাপনকারী মানুষের পূজা। নাটকের এই বিষয়টির ভিতর দিয়ে তার প্রচারণার স্বভাবটি বের হয়ে আসে। কারো না কারো পক্ষে সে প্রচার করছেই। প্রচার করা তাই নাটকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মধ্যযুগীয় নাট্যের কাল ষোড়শ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত যদিও ততোদিনে ইউরোপে রেনেসাঁর কাল প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। টলস্টয় লিখেছেন, উচ্চতর সমাজের মধ্যে রেনেসাঁস বা নবজাগরণের নামে বিজ্ঞান ও শিল্পের পুনরুত্থান ঘটলো। এই নবজাগরণ বা পুনর্জাগৃতি প্রত্যেক ধর্মের শুধু অস্বীকৃতি নয়, বরং ধর্ম যে অপ্রয়োজনীয় তারই দৃপ্ত ঘোষণা। চলবে