নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার যমুনায় নির্বাচনী প্রস্তুতি সংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের সভায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন বানচালের জন্য ভেতর থেকে, বাইরে থেকে অনেক শক্তি কাজ করবে। ছোটখাটো নয়, বড় শক্তি নিয়ে বানচালের চেষ্টা করবে। হঠাৎ করে আক্রমণ চলে আসতে পারে। এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। যত ঝড়-ঝঞ্ঝাই আসুক না কেন, আমাদের সেটা অতিক্রম করতে হবে।”

আজ বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে সভার আলোচ্য বিষয়গুলো জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আক্রমণ বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, “এই আক্রমণ বলতে শুধু শারীরিক আক্রমণ নয়, বরং সাইবার অ্যাটাক বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিজ-ইনফরমেশন (অপতথ্য) ছড়ানোকেও বোঝানো হচ্ছে। যারা পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসর, তারা চাইবে না দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ প্রায় ২ ঘণ্টা চলা বৈঠকে মূলত ৪টি বিষয় আলোচনা হয়েছে। সেগুলো হলো: মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের পদায়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য মোকাবিলার উপায়।”

শফিকুল বলেন, “মাঠ প্রশাসনে, বিশেষ করে ডিসি, এডিসি ও ইউএনওসহ বিচারিক দায়িত্বে এমন কাউকে পদায়ন করা হবে না; যিনি গত ৩টি নির্বাচনী কাজে যুক্ত ছিলেন। ন্যূনতম ভূমিকা থাকলেও তাকে এই নির্বাচনে দায়িত্বে রাখা হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও সভায় জানিয়েছেন, পুলিশের পদায়নের বিষয়েও একইভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬৪ জেলার এসপিদের তালিকা করা হয়েছে।”