নীহার লিখন

নীহার লিখন

নীহার লিখনের ৩ কবিতা

প্রকাশিত : জুন ২১, ২০২৫

নিরর্থনগরে

বিষণ্ণতার নাগাল তুমি পাবে না, হারিয়ে যাবে প্রজাপতি, ফুলের ভিতরে, শব্দের ভেতরে হারিয়ে যাবে শব্দ

চেয়ে থাকো শূন্যতায়, সন্ধ্যা নামার পৃথিবীতে, নিরর্থনগরে, দেখবে পাখি ডুবে যাচ্ছে অসীম পাখায়, অন্ধকার ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারে

অর্থ খুঁজো না, সবকিছু অর্থ হয় না

যেমন তোমার ভেতরে তোমার অর্থ প্রতিদিন বদলে দিচ্ছে অন্য কেউ, যাকে তুমি চেনো না।

বর্ষার জলে

আরেকটা জগৎ আছে; প্রাচীন অর্কেস্ট্রার রাতের মতো যার বহু যোজনার থামা-থামা সুরের ডানারা বিলয়-বৃক্ষে নামা বর্ষার ডাল চুয়ে পৃথিবীতে নামে

সে জগতে অবিনশ্বর কোনো জন এক তুমিই চিরন্তন, বাদলের ধোয়া-ধরা মাঠের প্রান্তে, ভাঙা কলসের পিঠের মতো আকাশে যেন শুধু তোমারই নাম থেকে যায়

এসব মূরতি থেকে অবিরত টুকে যাই পরমের কোনো নিস্তার, অনিঃশেষ কোনো মোহের সে জলা; ডুবি আর ভাসি, আর শুনি,

যেন দূরে গান হচ্ছে, বানী আছে, সে সসব লিপির বৃন্তে আমিও ভিজছি, যেভাবে কদমগুলো অন্ধকার ছিদ্র করে আলোর স্বরূপ হয়ে ভিজে, বর্ষার জলে

অব্যক্ত হাওয়ার মাধুরী

জানি, অসহায়দের ঈশ্বর কী রান্নাবান্না করে, আর যে কোনো দূর্বিপাকে তাঁর হাতে কী জাদুর রঙতাসটি থাকে

মূলত শুন্যের অনুসারী হওয়ার আরও পরের মাঠে দাঁড়ালে ক্ষনজন্মা পোকাদের গীতিকায় আমি জল পেয়েছি; ক্রমেই উষ্ণ একটা পৃথিবীকে ডুবিয়ে রাখার সাধের সাথে যুক্ত করতে পেরেছি জলপরিদের জল্পনার মতো গহীনতর সু-অনুভবের মঞ্জরী, আলোর বুদবুদে মাছেদের ঝাপসা কথাকাকলির অব্যক্ত হাওয়ার মাধুরী, কোটি-কোটি কাল যারা কেবল তোমাকে-আমাকে হাসছে, মৃদু ভৎর্সনায়, তাদের পাশে মৃত্যু পেয়েছে তার আসল লাবণ্য ও মৌ

জানি, তোমরা আরও অনেকটা ঘুমাতে থাকবে, এবং তোমাদের সায়াহ্নকালের ওপরে ভোরের পর ভোর জমবে ধানের পাতায় শিশির, ডাকবে সান্ধ্যপাখিরা, তোমরা আরও অনেকটা ঘুম, ঘুমাতে থাকবে পৃথিবীর