পদ্ম/আলোকচিত্রী: হাসীবা আলী বর্ণা

পদ্ম/আলোকচিত্রী: হাসীবা আলী বর্ণা

পদ্মর কয়েকটি কবিতা

প্রকাশিত : জুলাই ১৮, ২০২২

পৃথিবীর থেকে

১.
পৃথিবী ক্লান্তিহীন
দূরবিন দিয়েও যারে দেখা যায় না
তার থেকেও কাছে
প্রতিদিন আমরা এক বাসে চলাফেরা করি।

২.
পৃথিবী ধ্যানী
তার কথা কিছু কিছু জানি
আষাঢ় মাস হলে কত ঘরে এখনও ওঠে পানি
তবু সূর্যের থেকে দূরে বসতি গড়বে যারা
তারাও এসব কথা ভাববে যা
আমরা ভাবিনি।

হঠাৎ তুই

একটা রেস্টুরেন্টে কালো একটা প্রজাপতি
হঠাৎ মন ভালো করে দিল আমার।
তুই কে রে নীল? কালোর ভিতরে লাল চুম্বক!
আকাশ না মৃত্যুর, শেষ না সকালের গান?
দূরপাল্লার জাহাজের তীক্ষ্ণ হুইসেলের ফণা আমার
মনহারা অমানুষ, যন্ত্রাংশের কারাগার
ছড়ানো কাচের রক্তে রাঙানো আঁধারের দাগ।

গল্প ১

একটা বাঘ, ইন্দুর আর আমি একদিন চরম টাল হয়ে কেবল পিকক থেকে বের হইছি। হঠাৎ একটা কুত্তার বাচ্চা এসে আমার প্যান্ট কামড়ায়ে ধরে বলে, ‘আমার আব্বা কই?’ এ কথা শুনে ইন্দুর আগায়ে এসে কয়, ‘এই তো আমি তোদের আব্বা।’ এ নিয়ে তখন তুমুল গণ্ডগোল। এমন সময় শাহবাগ থানার এসআই হঠাৎ পিকআপ নিয়ে এসে হাজির। বিলাইরে দেখেই সে বলে ওঠে, ‘এই আপনে গাড়িতে ওঠেন।’

ক্ষণিকের দেশে

প্রতীক্ষার পা ধরে বসে আছে বুড়াবুড়ি গাছ
ওদের তলে বসে আবেগে চুমু খায় একজোড়া হাসি
কী এক তরঙ্গধ্বনি ছড়িয়ে পড়ে ঘাসে!
জুতা পায়ে আমি বুঝি না তার ভাব
হেঁটে যেতে যেতে মায়া লাগে ক্ষণিকের দেশে
পাতাঝরানিরা রোজ রোজ বেঁচে উঠতে চায় সঙ্গমের ঘামে
লাজলজ্জার পাশে বেহায়া কলম যা খুশি লিখে যায়
আমি শুধু বাধ্য হই আঙুল চালাতে