প্রথম আলো–ডেইলি স্টারে হামলা, গ্রেফতার আরও ১০
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ভিডিওতে কুড়াল হাতে উল্লাস করা যুবকসহ ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দুই দিনে মোট ২৯ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করল।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার সময় জ্বলন্ত ভবনের সামনে কুড়াল হাতে উল্লাসরত যুবকের নাম মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম। তাকে ঢাকার উত্তরা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করেছে। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়, বর্তমানে তিনি উত্তরায় বসবাস করেন।
আরেকটি ভিডিওতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ‘গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে’ বলে ঘোষণা দিতে দেখা যায় কারি মুয়াজ বিন আবদুল রহমানকে। তাকেও ডিবি গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, তিনি যুব মজলিসের শরীয়তপুর জেলা শাখার নেতা। ভিডিওতে তিনি হামলার পেছনে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।
এছাড়া হামলার ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে অন্যদের হামলায় যোগ দিতে আহ্বান জানানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নিয়াজ মাহমুদ ফারহানকে। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলেন: আবদুর রহমান (নোয়াখালী), মো. জান্নাতুল নাঈম (রংপুর), মো. ফয়সাল আহমেদ (চাঁদপুর), জুবায়ের হোসাইন (নোয়াখালী), মো. আলমাস আলী (ময়মনসিংহ), জুলফিকার আলী ওরফে সৌরভ (ঢাকার শাহ আলী) এবং মো. জাকির হোসেন শান্ত (ময়মনসিংহ)।
জাকির হোসেন শান্তকে সিটিটিসি গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে লাইভ ভিডিও করে নিজের ফেসবুক আইডিতে তা প্রচার করেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিডিও ফুটেজ ও ছবি বিশ্লেষণ করে হামলায় জড়িত হিসেবে শতাধিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জনকে গ্রেফতার করে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলায় দায়ের করা দুই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া হামলার উসকানিদাতা হিসেবে ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে হেনস্তায় জড়িতদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানির মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়। হামলাকারীরা আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতেও বাধা দেয়। একই রাতে ছায়ানট ভবন এবং পরদিন উদীচী কার্যালয়েও হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রোববার রাতে প্রথম আলো এবং সোমবার সন্ধ্যায় ডেইলি স্টার তেজগাঁও থানায় পৃথক মামলা করে।
























