প্রশান্ত মহাসাগরে নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ২৩, ২০২৫

মাদক চোরাচালানের অভিযোগে প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌযানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে।

বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “নৌযানটি মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় রুট দিয়ে মাদক পাচার করতো। তবে, এই অভিযানে কোনো মার্কিন সেনা আহত হয়নি।”

সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয় সাগরে ৭টি নৌযান লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে।

ট্রাম্প দাবি করেন, “এসব নৌযান ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছে এবং দেশচির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি মাদক-সন্ত্রাসী হুমকির অংশ।”

এরই ধারাবাহিকতায় এবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে একটি নৌযানে অষ্টম হামলা চালালো মার্কিন বাহিনী।

এক্স পোস্টে হামলার একটি ভিডিও শেয়ার করে মার্কিন যুদ্ধমন্ত্রী হেগসেথ বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় একটি চিহ্ণিত সন্ত্রাসী সংগঠন পরিচালিত একটি জাহাজে আরও একটি মারাত্মক হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক পাচারের সাথে জড়িত ছিল।”

ভেনেজুয়েলার নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ক্যারিবীয় সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেনেজুয়েলার নৌযানগুলোর ওপর মার্কিন হামলাকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির বিপজ্জনক উসকানি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের নিযুক্ত স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের একটি দল।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগের পেছনে যুক্তি থাকলেও এসব হামলার আইনি ও নৈতিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, যদিও অভিযোগগুলো সত্য হয়, তবুও আন্তর্জাতিক জলসীমায় কোনো আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাণঘাতী শক্তির প্রয়োগ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং একে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে গণ্য করা যায়।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত এই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসব হামলা ভেনেজুয়েলার সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপর দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতির পরিপন্থী। পাশাপাশি, এটি যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতারও লঙ্ঘন। সূত্র: রয়টার্স