বাংলাদেশ নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: শশী থারুর

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

বাংলাদেশের খবরাখবর নিয়ে আমি গভীরভাবে উগ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে কংগ্রেস-দলীয় লোকসভার সদস্য শশী থারুর। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

পোস্টে শশী থারুর লেখেন, “বাংলাদেশের খবরাখবর নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা ও অগ্নিসংযোগ শুধু দুটি গণমাধ্যমের ওপর আঘাত নয়; বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং বহুমাত্রিক সমাজের ভিত্তির ওপর চরম আঘাত। সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম ও অন্যান্য সাহসী সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শঙ্কিত।”

তিনি আরও লেখেন, “১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এ সংঘাত ও অসহিষ্ণুতার পরিবেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অশুভ সংকেত। একই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা-ঝুঁকির মুখে খুলনা ও রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করতে বাধ্য হওয়া বড় বিপত্তি।”

শশী থারুল লেখেন, “এ অচলাবস্থা সরাসরি শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ পরিবারগুলোকে চরম সংকটে ফেলেছে, যারা আন্তসীমান্ত যাতায়াত স্বাভাবিক হওয়ার আশা করছিল। স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অন্তর্বতী সরকারকে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই নিশ্চিত করা প্রয়োজন:

সাংবাদিকদের সুরক্ষা
সাংবাদিকদের এমন পরিস্থিতিতে রাখা উচিত নয়, যেখানে তাদের জীবন বাঁচাতে মরিয়া হয়ে বার্তা দিতে হয়, আর সেই সময় তাদের কার্যালয় জ্বলতে থাকে। সংঘবদ্ধ হামলাকারীদের কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।

কূটনৈতিক মিশনগুলোর নিরাপত্তা
জনগণের মধ্যকার পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে অবশ্যই নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে সুরক্ষা দিতে হবে। আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে অবশ্যই বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

শান্তি ফিরিয়ে আনা
ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রেখে এ উত্তরণকাল অতিক্রম করতে হলে নিয়ন্ত্রণহীন জনতার শাসনের বদলে গঠনমূলক সংলাপের পথ বেছে নিতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্ব দিতে হবে।

পোস্টে শশী থারুর আরও লেখেন, “বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রত্যাশা করি, শান্তি ফিরে আসুক ও এমন এক নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হোক, যেখানে জনগণের কণ্ঠস্বর কোনো সহিংসতা বা হুমকির মধ্য দিয়ে নয়; বরং ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে।”