বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর আজ মৃত্যুদিন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর আজ মৃত্যুদিন। ১৯৩৭ সালের ২৩ নভেম্বর বিহারের গিরিডিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৫৮ সালে ৩০ নভেম্বর ময়মনসিংহ শহরে মাতুলালয়ে তার জন্ম।
জগদীশ চন্দ্র বসুর বাবার নাম ভগবান চন্দ্র বসু। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। বাবার চাকরির সুবাদে জগদীশ ছেলেবেলার বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন ফরিদপুরে। ১১ বছর বয়সে ১৮৬৯ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভর্তি হন।
১৬ বছর বয়সে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন সর্বোচ্চ মেধা তালিকায় বৃত্তি নিয়ে। ১৮৭৭ সালে এফএ পাস করেন। ১৮৮০ সালে ডাক্তারি পড়ার জন্য জগদীশ চন্দ্র বসুকে বিদেশে পাঠান তার বাবা।
১৯৮৪ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৮৮৫ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভৌত বিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
জগদীশ চন্দ্র বসু বেতার যন্ত্রের আবিষ্কারক। ১৮৯৬-৯৭ সালে ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশন ও রয়্যাল ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দেয়ার জন্য জগদীশ চন্দ বসুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ব্রিটিশ সরকার ১৯১৬ সালে তাকে নাইট উপাধি দেয়।
১৯২৭ সালে বিজ্ঞানী বসুকে নির্বাচিত করা হয় ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম প্রমাণ করেন জীব ও প্রাণিজগতের মতো উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে। প্রমাণ করেন উষ্ণতা, আলো-বাতাস, শব্দ, ধ্বনি ও প্রতিধ্বনির সাথে উদ্ভিদ ও গুল্মরাজি উদ্দীপনা বা চেতনা অনুভব করে।
এমন একটি বাস্তবতাকে প্রমাণ করার লক্ষ্যে তিনি একটি সূক্ষ্ম যন্ত্রও আবিষ্কার করেন, যার নাম ক্রেসকোগ্রাফ।
























