মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল মুসলিম রাষ্ট্র চায় না: গুলতেকিন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ০২, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল মুসলিম রাষ্ট্র চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ লেভেন্ত গুলতেকিন। নিজের ইউটিউব পেজে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

গুলতেকিন বলেন, “দখলদার ইজরায়েল এই অঞ্চলে শক্তিশালী কোনো মুসলিম রাষ্ট্র চায় না। ইরাক ও সিরিয়ার মতো ইরান ও তুরস্ককেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে তারা। ইরান ইস্যু পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি। যার মধ্যে তুরস্কও রয়েছে।”

 

তিনি আরও বলেন, “ইজরায়েল ও তার মিত্ররা নতুন পরিকল্পনায় প্রথমে ইরাক ও পরে সিরিয়াকে ভেঙে দিয়েছে। এমনকি তারা বছরের পর বছর ধরে দাবি করে আসছে, ইরান ও তুরস্কের ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে। ইরান ও তুরস্ক এখন এই বাস্তবতার মুখোমুখি।”

 

ভিডিওতে গুলতেকিন বলেন, “মনে হচ্ছে, এ কারণেই সম্প্রতি সবাই গাজা শান্তি চু্ক্তিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু এরপরও ইজরায়েল তাদের মূল পরিকল্পনা অর্থাৎ এ অঞ্চলের শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে খণ্ড-বিখণ্ড করার অপচেষ্টা থেকে সরে আসেনি।”

 

তিনি আরও বলেন, “ইজরায়েল মনে করে, গাজা সমস্যা যেভাবেই হোক সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ইরাক ও সিরিয়ার পরে এখন এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো তাদের টার্গেটে রয়েছে। ইরানের প্রতি আমেরিকা ও ইজরায়েলের মধ্যে শত্রুতা আবার বেড়েছে। এ অবস্থায় তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসাসূচক বক্তব্য খুবই চিন্তার বিষয়।”

 

গুলতেকিন বলেন, “বর্তমানে এরদোগানের সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিটি বক্তৃতায় ট্রাম্প স্বীকার করেন, তুরস্কের অত্যন্ত শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে। তারা সিরিয়ার সমস্যা সমাধানসহ অবিশ্বাস্য বিজয় অর্জন করেছে। এ পরিস্থিতিতে ইজরায়েলিরা ‘নতুন মধ্যপ্রাচ্য’ নামক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসেনি। বরং গাজার পরই ইরান ও তুরস্ক এখন ইজরায়েলের পরিকল্পনায় রয়েছে।”

 

তিনি আরও বলেন, “ইরানে ইজরায়েলের মূল লক্ষ্য মোটেও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করা নয়। বরং ইরানকে কমপক্ষে ৩ বা ৪টি ভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা।” সূত্র: ইরনা