মাও সেতুং

মাও সেতুং

মাও অনন্ত উপায়ে চিন্তা করেন: আলাঁ বাদিয়্যু

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৬, ২০২০

মাও সেতুং চীনের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের রুপকার। সাম্রাজ্যবাদী পৃথিবীতে কৃষিভিত্তিক পূর্ব এশিয়ার অনগ্রসর,অশিল্পায়িত কৃষিনির্ভর চীনে মাও সেতুং দীর্ঘ সসস্ত্র সংগ্রামের ভেতর দিয়ে সফলভাবে একটি সমাজতন্ত্র অভিমুখী বিপ্লব সংগঠিত করেন ১৯৪৯ সনে। চীনের প্রথাবদ্ধ কনফুশিয়ান সংস্কার, সামাজিক শ্রেণীভেদ এবং বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল ধারার যে নতুন বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন গড়ে উঠছিলো, প্রথম যৌবনে মাও সেই আন্দোলনের অন্যতম সারথী হয়ে ওঠেন।ভার্সাই চুক্তির ভিত্তিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে চীনের প্রশ্নে জাপানের সাম্রাজ্যবাদী দখলের অনুমোদন চীনের এই প্রগতিশীল চিন্তকদেরকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। এরপর ১৯১৯ সনে রাশিয়ায় পৃথিবীর প্রথম শ্রমিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে সেটি পৃথিবীর অন্য অনেক অঞ্চলের মত চীনের এই প্রগতিশীল তরুণদেরকেও আশান্বিত করে, মার্ক্স-লেনিনের চিন্তায় প্রভাবিত হতে শুরু করেন তাঁরা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯২৭ সালের হেমন্তে ফসল ঘরে তোলার কালে সামন্তপ্রভূদের বিরুদ্ধে কৃষকদের সসস্ত্র অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন মাও সেতুং সহ অন্যান্য সহযোদ্ধারা। রাশিয়ার সহায়তায় ১৯৩১ সনে কুমিন্টাং সরকারের সমান্তরালে প্রতিষ্ঠিত হয়  জিয়াংশি সোভিয়েত, এর পরিসমাপ্তি ঘটে বিখ্যাত লং মার্চের মধ্য দিয়ে।প্রতিস্পর্ধী দুই রাষ্ট্র একই ভূসীমানায় গড়ে উঠলে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ, মাও সেতুং সফলভাবে চায়নিজ রেড আর্মি প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য দ্বিতীয় চীন জাপান যুদ্ধের কালে এই কুমিন্টাং সরকারের সাথে মিলে সাম্রাজ্যবাদী জাপানকে প্রতিহত করার কৌশলেও সফল হয় চীনা কমুনিস্ট পার্টি। জাপান পরাজিত হলে পুনরায় গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয় কুমিন্টাং সরকার এবং চীনা কমুনিস্ট পার্টি। ১৯৪৯ সালে সফলভাবে যুদ্ধজয়ের ভেতর দিয়ে চীনা কমুনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে গঠিত হয় পিপলস রিপাব্লিক অব চায়না।

চেয়ারম্যান মাওয়ের বিপ্লবী তত্ত্বের সাথে মার্ক্সবাদের মৌলিক প্রভেদ থাকলেও, অনগ্রসর কৃষিনির্ভর সমাজে বিপ্লব সফলভাবে সম্পন্ন করার পেছনে মাওয়ের অনুশীলন সংক্রান্ত তত্ত্বগুলি সফল ভূমিকা পালন করে।কিন্তু পরবর্তী পুনর্গঠনমুলক পর্বে মাওয়ের ব্যর্থতা ও হঠকারী কিছু সিদ্ধান্ত মুলত মৌলিক মার্ক্সীয় তত্ত্ব থেকে আজীবন সরে থাকারই খেসারত। বিশেষত সাংস্কৃতিক বিপ্লবে মাও সেতুং কনফুশিয়ানিজমবিরোধী নয়াসাংস্কৃতিক আন্দোলনের তত্ত্ব দ্বারাই পরিচালিত হন, অন্যদিকে বিপ্লবের এজেন্সির প্রশ্নে কৃষকের দিকে ঝুকে থাকার দার্শনিক অবস্থানের কারণে (যেই অবস্থান এনার্কিপন্থী বাকুনিনের সাথে আবার মিলে) মাও শিল্পায়িত অর্থনীতি এবং কৃষির শিল্পায়নের অবধারিত ফলাফলগুলি অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন এবং এর ফলাফল হিসাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে গণচীনে।

এতদসত্ত্বেও, সাম্রাজ্যবাদের করায়ত্ব একটি অনগ্রসর কৃষিভিত্তিক সমাজকে আজকের বিশ্বনেতৃত্বের চীন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার যে মৌলিক ভিত্তি, সেটি চেয়ারম্যান মাও সেতুং এর রাজনৈতিক কর্মসূচীর একক সফলতা। একেকটি অনগ্রসর পশ্চাতপদ কৃষিনির্ভর অঞ্চল থেকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলিকে হঠিয়ে সেখানে জনগণের নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কমরেড চেয়ারম্যানের অসামান্য তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক সফলতা যূগ যূগ ধরে প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। সারা পৃথিবীর পশ্চাতপদ অঞ্চলগুলিতে এখনও চেয়ারম্যান মাওয়ের দেখানো পথে মুক্তির দিশা খুজছেন হাজার হাজার নারী-পুরুষ। মাও সেতুং এর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের উচ্ছ্বসিত সমর্থক ফরাসী মাওবাদী দার্শনিক আলেইঁ বাদিয়্যু একুশ শতকের প্রথম দশকের গোড়ার দিকে চীন সফরকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দার্শনিকের সাথে নিম্নোক্ত কথোপকথনটিতে অংশ নেন। ওই দার্শনিকের নাম পরিচয় উদ্ধার করতে পারা যায়নি। চেয়ারম্যান মাওয়ের  ১২৭তম  জন্মদিনের স্মরণে ছাড়পত্রের পাঠকদের জন্যে সেটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন কমরেড আব্দুল্লাহ হেল বুবুন

১. অসীম জননেতা

চীনা দার্শনিক: কখন এবং কোন পরিস্থিতিতে আপনি মাও সেতুং পড়া শুরু করেন? সত্যি কথা বলতে, একজন ফরাসি দার্শনিকের জন্য মাও সেতুং কিছুটা অস্বাভাবিক পাঠ্যবিষয়।
আলেইঁ বাদিয়্যু: বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমি ষাটের দশকের শুরু থেকে মাও সেতুং পড়তে শুরু করি। আমি কখনোই স্ট্যালিনিস্ট কমিউনিজম বা ক্রুশ্চেভের রিভিসনিজম দ্বারা আকৃষ্ট হইনি। আমি কখনোই ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলাম না। একেবারে শুরু থেকেই, সোভিয়েত সংশোধনবাদীদের বিরুদ্ধে চীনের পার্টির তর্কযুদ্ধের বিষয়বস্তু ও শৈলী সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টি সম্পর্কে আমার সন্দেহকে একটি যথার্থ রূপ দেয়। মাওয়ের সবচেয়ে বড় ক্ষোভ ছিল এরূপঃ স্ট্যালিনের দর্শন দ্বান্দ্বিক নয়, স্ট্যালিন নিশ্চল স্থির রাষ্ট্রীয় সমাজতন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করেন যেখানে মাও প্রায় অনন্ত উপায়ে চিন্তা করেন, মাওয়ের শ্রেষ্ঠ লেখনী গুলোতে এইটা স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

চীনা দার্শনিক: সম্ভবত, কিন্তু আপনি যে অসীমতার (অনন্ত উপায়) কথা বলছেন তা কোন সত্যিকারের রাজনৈতিক কর্মসূচীর বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই নয়। অধিকন্তু, আমার কাছেই এইটা বিস্ময়কর লাগতেছে যে মাও অসীম ডায়ালেক্টিক্সের পক্ষে ছিলেন। অসীমভাবে চিন্তা করা পৃথিবীর সাধারণ নারী ও পুরুষের ছোট জীবনে বিশাল ক্ষতি সাধন করতে পারে। সুতরাং আমি একটি প্রশ্ন করবঃ মাও কি তার রাজনৈতিক সংগ্রামে বিপথে যাওয়া অসীমতার দার্শনিক ছিলেন না?
আলেইঁ বাদিয়্যু: এটা একটি জটিল বিষয়। একদিকে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে মাওয়ের রাজনৈতিক সংগ্রামের দুই মৌলিক উপাখ্যান ছিল মারাত্মকভাবে ব্যর্থ, এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানব জীবন ধ্বংস হয়েছে।  দি গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড ও দি গ্রেট প্রলেতারিয়ান কালচারাল রেভ্যুলুশন। এবং আপনার এই দৃষ্টিটা ঠিক যে  উভয় উপাখ্যানেই প্রকৃত অসীম আন্দোলনের প্রেরণা ছিলো। অন্যদিকে মাওয়ের রাজনৈতিক জীবনের এই দুই উপাখ্যান তার কমিউনিজমকে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় সংকল্পের প্রমাণ বহণ করে। মাও একটা সমাজতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরে কমিউনিস্ট বিপ্লব চেয়েছিলেন। সুতরাং, তাকে নতুন কিছু তৈরি করে যেতে হয়েছে, দৃঢ় গতিতে এগিয়ে যেতে হয়েছে, চেষ্টা করে যেতে হয়েছে, কারণ কমিউনিজম একান্তরূপেই সেই অসীমতা যা রাষ্ট্র তার (নিষ্ঠুরতা সহ) সীমাবদ্ধতা দ্বারা অতিক্রম করতে পারে না।

২. সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভূত

চীনা দার্শনিক: পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দুনিয়ায় (যেখানে আপনি বাস করেন) আজকের দিনে আপনার মাওবাদ একেবারেই অবোধগম্য। ২০১৪ সালে কিভাবে একজন ব্যক্তি মাওবাদী হতে পারেন, “মাওবাদী” শব্দের স্ট্রিক্ট অর্থে? আজকের দিনে মাওবাদী হওয়া নিজেকে একজন জড়াগ্রস্ত বুড়ো অথবা একটা ভূত হিসেবে উপস্থাপন করা নয় কি?
আলেইঁ বাদিয়্যু: আপনি ঠিক বলেছেন। আজকের দিনে “মাওবাদী” শব্দটার অর্থ আসলে কিছুই না। ষাট ও সত্তরের দশকে যখন কেউ নিজেকে মাওবাদী বলতো (যেমন হাজার হাজার মিলিট্যান্ট ১৯৬৬-৭৬ এই দশ বছরে নিজেকে মাওবাদী বলেসে, এই সময়টাকে আমি ‘রেড ইয়ার্স’ বলি), তার স্পষ্ট অর্থ ছিলঃ আমরা মনে করি, কমিউনিস্ট রাজনীতি অনুসরণের মৌলিক অভিজ্ঞতা চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব, সোভিয়েত ইউনিয়ন নয়। বর্তমানে রাশিয়া ও চীন উভয়ই পুঁজিবাদী রাষ্ট্র, এই রূপে রাজনৈতিক চিন্তার জন্য আমার কাছে এ দুটো দেশের কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই। এই সময়ের জন্য মাও সর্বশেষ মহান ঐতিহাসিক আন্দোলনের সাথে জড়িত যথার্থ নাম, যে আন্দোলন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিতরেই গণ সংগ্রামের মাধ্যমে স্থির অবস্থাকে বৈপ্লবিক উপায়ে কমিউনিজমের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনিই প্রথম যিনি ভেবেছিলেন, রাষ্ট্র কমিউনিস্ট সমাধান নয়, বরং ঐ বিপ্লবের জন্য একটি নতুন পটভূমি।

চীনা দার্শনিক: সাংস্কৃতিক বিপ্লব (কালচারাল রেভ্যুলুশন) দ্বারা চীনে ঘটা ভয়াবহ ধ্বংসাযজ্ঞের পরও আপনি যখন এই বিপ্লবকে বিপর্যয়ের না, বরং চিন্তার উৎস হিসেবে বিবেচনা করার কথা বলেন, তখন আপনি কি এটা সত্যিকার অর্থেই বুঝাতে চান না  প্রভোকেটিভ হওয়ার জন্য বলেন?
আলেইঁ বাদিয়্যু: যে কেউই ১৮৭১ সালের প্যারি কমিউনকে সম্পূর্ণ বিপর্যয় বলে দাবি করতে পারে, যার অবসান ঘটে প্যারিসের রাস্তায় বিশ হাজার শ্রমিকের মৃত্যুর মাধ্যমে। কিন্তু, এই প্যারি কমিউনের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করেই লেনিন ১৯১৭ সালে সফল বিপ্লবের রূপরেখা তৈরি করেছিল। একইভাবে, শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে গভীরভাবে পর্যালোচনা করেই ভবিষ্যৎ কমিউনিস্ট রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা সম্ভব। কেন? কারণ রাষ্ট্রীয় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার আওতায় (চীনের) সাংস্কৃতিক বিপ্লবই ছিল কোন ধরণের বিপ্লবের একমাতে উদাহরণ। আর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টির ‘সাংহাই কমিউন’ নাম গ্রহণ করাও কোন কাকতালীয় ঘটনা না।

৩. ব্যর্থ শিল্পী হিসেবে বিপ্লবীরা

চীনা দার্শনিক: কমিউনিজম কখন বাস্তবতায় পরিণত হবে এই প্রশ্নে আপনার জবাব, “যখন প্রত্যেকে দার্শনিক হয়ে উঠবে।” শিল্পও দর্শনের একটি শর্ত। সুতরাং প্রত্যেক কমিউনিস্টকেই কি শিল্পী হতে হবে? অথবা সব বিপ্লবীই কি আদতে ব্যর্থ শিল্পী?
আলেইঁ বাদিয়্যু: সবকিছুই রাজনৈতিক- আমি এই ধারণার বিপক্ষে। কিছু মহান কবি কমিউনিস্ট ছিলেন- এখানে কোন দ্বন্দ্ব নেই। রাজনীতি চিন্তা ও কর্মের একটি স্বাধীন রূপ। প্রত্যেকেরই নিজের জীবনকে একটি আইডিয়ার ভিত্তিতে পরিচালনা করার সক্ষমতা আছে। ভাবাদর্শিক যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ। যার অর্থ এই সক্ষমতার উন্নয়নকে সমর্থন করা এবং দেখানো যে, এটা খুঁজে পায় সাম্যবাদী রাজনীতির সম্ভাবনাকে।

৪. অদৃশ্য অগ্রগতি

চীনা দার্শনিক: ফরাসি নির্বাচনে আপনার ভোট না দেয়া কি অবজ্ঞা প্রকাশ করে না এমন একটি সুযোগের প্রতি যে সুযোগ অনেকে হিংসা করে এবং পেতে চায়?
আলেইঁ বাদিয়্যু: আমরা যারা আমেরিকা ও ইউরোপে বাস করি তারা জানি, পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসি শুধু পুঁজিবাদের সম্পূর্ণ বিকাশের জন্যই উপযুক্ত, অন্য কিছুর জন্য নয়। ফ্রান্সের মতো দেশে, ভোট দেয়ার অর্থই হচ্ছে এই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে নেয়া। আদতে, আমি এই ব্যবস্থাকে অস্বীকার করি।

চীনা দার্শনিক: কিন্তু পুঁজিবাদ কি আমাদের জিনে নেই? আমাদের প্রত্যেক তাড়নায়? সুতরাং পুঁজিবাদকে মোকাবেলা করার দাবি কি স্ববিরোধী না?
আলেইঁ বাদিয়্যু: আমি প্রায়ই খেয়াল করি, পুঁজিবাদের সমর্থনে যৌক্তিকভাবে কিছু বলা একেবারেই অসম্ভব। আসলে, পুঁজিবাদকে যেহেতু আদর্শ বলা যায় না, কেননা পুঁজিবাদের একধরণের অসৎ ও নোংরা সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তাই এই ব্যবস্থার পার্টিজানরা পুঁজিবাদকে একমাত্র বাস্তবতা বলে ঘোষণা করেছে। আমি বলতে চাইঃ পুঁজিবাদ সম্পূর্ণরূপেই একটা কৃত্রিম সামাজিক ব্যবস্থা। আমরা এখনো মার্ক্স দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিকল্পের সম্মুখীনঃ কমিউনিজম অথবা বর্বরতা। বর্তমানে বর্বরতা প্রভাবশালী। যদিও এই বর্বরতার বিকারত্বের দিক সম্পর্কে সচেতনতাও অগ্রগতি লাভ করছে। এই অগ্রগতি ধীর ও অদৃশ্য, কিন্তু এর অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে সত্য। আমি এই প্রচ্ছন্ন অগ্রগতির একজন দার্শনিক।