অনিল ঘড়াইয়ের ‘পাতা ওড়ার দিন’ বইয়ের প্রচ্ছদ

অনিল ঘড়াইয়ের ‘পাতা ওড়ার দিন’ বইয়ের প্রচ্ছদ

রক্তমাখা চাঁদের আলো অথবা নিজের কথা

পর্ব ১১

জাকির তালুকদার

প্রকাশিত : মে ০৪, ২০১৯

অনিল ঘড়াই দাঁড়িয়ে ছিলেন চক্রধরপুর রেলস্টেশনে। আমি প্লাটফর্মে নেমে খুঁজছিলাম তাকে। দেখলাম তিনি দূর থেকে হাত নাড়ছেন আমাকে উদ্দেশ্য করে। তার মানে আমার আগেই উনি দেখতে পেয়েছেন আমাকে। কাছাকাছি হয়ে জিগ্যেস করলাম, এত দূর থেকে কীভাবে দেখতে পেলেন আমাকে? অনিলদা হেসে বললেন, আপনাকে দেখতে পাওয়া সহজ। এত লম্বা মানুষ তো বেশি হয় না।

স্টেশনের বাইরে সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে নিজের সাইকেল নিয়ে এলেন অনিলদা। আমার ট্রাভেল ব্যাগটা বেঁধে নিলেন সাইকেলের পেছনের ক্যারিয়ারে। জানালেন, রিকশা নিতে হবে না। হাঁটতে হাঁটতেই চলে যাওয়া যাবে।

ছবির মতো শহর চক্রধরপুর। পাহাড়ের গা ঘেঁষে গড়ে ওঠা রেলশহর। লোকজন কথা বলছে হিন্দিতে। আর আদিবাসীরা তাদের নিজের ভাষায়। আদিবাসীদের সংখ্যাই বেশি। অন্য সবাই এই শহরে চাকরি করতে আসা বিভিন্ন প্রদেশের মানুষ।

আমাকে অবাক করে দিয়ে হোটেলের বদলে অনিলদা নিয়ে এলেন তার কোয়ার্টারে। তার যুক্তি খুব সহজ। কথাবার্তা বলার জন্যই যখন আমার আসা তখন হোটেলে তার আসা-যাওয়াতে তো সময় নষ্ট হবে অনেক। তারচেয়ে বাসা বা কোয়ার্টারে চব্বিশ ঘণ্টা একসাথে থাকা যাবে, কথা বলা যাবে বিরামহীন।

অস্বস্তি হচ্ছিল আমার। দেশে অনেক হিন্দু-বাড়িতে থেকেছি-খেয়েছি। কিন্তু ভারতে যে তাদের পারিবারিক আচার-ব্যবহার কেমন হবে তা জানা নেই। পরিবারের অন্যরাই বা আমাকে কীভাবে নেবেন!

এক ফুঁয়ে অস্বস্তি উড়িয়ে দিলেন সর্বাণী বউদি। প্রতিমার মতো সুন্দর মানুষ। আর আছে দুই দেবকন্যাশিশু, সোনাই আর রূপাই। হাউজে পানি ধরে রাখা আছে। সেখানে স্নান করতে গিয়ে প্রায় সব পানি ফুরিয়ে ফেললাম। পরে জেনেছি, কাজটা খুব খারাপ করেছিলাম আমি। চক্রধরপুরে পানির অভাব। টিউবওয়েল বসানো যায় না। কারণ মাটির একটু নিচেই কঠিন পাথরের স্তর। পুকুর-দিঘির তো প্রশ্নই ওঠে না। রেলবিভাগের গাড়ি দুইবেলা পানি দিয়ে যায়। সেটুকুই রেশনিং করে চলতে হয় সারাটা দিন। আমার এই অপচয়ে বউদি বা অনিলদার মুখে কোনো ছায়ামাত্র দেখলাম না। আর অনিলদার ‘জলচুরনি’ গল্পের মর্মটাও সেদিন বুঝেছিলাম। গরিব আদিবাসী মেয়ে কোথায় পাবে বাড়তি জল? তাই বাধ্য হয়ে জল চুরি করতে যেতে হয়েছিল তাকে অন্য বাড়িতে।

খেতে বসে বউদিকে জিগ্যেস করলাম, আপনাদের বিয়ে হয়েছে কত সালে? বউদি উত্তর দিলেন, ওই যে বছর পরীযান বেরুল। ‘পরীযান’ অনিলদার দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ। সর্বাণী বউদি তার জীবনের সবকিছুর হিসাব রাখেন লেখক অনিল ঘড়াইয়ের লেখার সাথে মিলিয়ে। বউদির মনে হয়েছিল আমি ভাত খেয়েছি কম। জানতে চাইলেন, এত কম খান কেন? আমি ঠাট্টার সাথে উত্তর দিলাম, আসলে আমরা তো তিনবেলা খাই না। খাই পাঁচবার। বউদি সিরিয়াস, তাহলে বলবেন কখন কখন খাবেন আপনি।

অনিলদা আর আমি নিয়মিত রাত আড়াইটা-তিনটা পর্যন্ত গল্প করতাম। ঘুমানোর আগপর্যন্ত বউদি চা সরবরাহ করে যেতেন। আবার সকাল সাতটার সময় তার সুরেলা কণ্ঠ, চা রেডি।

আট ফুট বাই দশ ফুট সাইজের দুটি ঘর। সামনে-পেছনে অবশ্য বারান্দা আছে। আবার বারান্দার পরে অনেকখানি করে খোলা জায়গা। সেখানে ফুল-সবজির চাষ হচ্ছে। সামনের বারান্দায় বাম দেয়াল ঘেঁষে অনিলদার লেখার টেবিল পাতা। একটা পর্দা দেয়া আছে বাইরের দিকে। বারান্দায় দাঁড়ালে অন্য অফিসারদের কোয়ার্টার। আরো কয়েকজন বাঙালি আছেন। তাদের মধ্যে ‘কয়াল’ পদবিধারী একজনের কথা মনে আছে। মাঠ পেরিয়ে একটু এগুলে অসংখ্য গাছপালা শুরু। সেদিকে কয়েক মাইল দূরেই পাহাড়। লেখার টেবিলের পাশ দিয়ে ঢুকলে প্রথম ঘরটা। ঠিক হলো, সেই ঘরে থাকব অনিলদা আর আমি। ভাবলাম, একটা রাতের ব্যাপার। কেটে যাবে গল্পে গল্পে। গল্পেই রাত কেটেছে বটে। তবে একটা নয়, পুরো সাতটি দিন এবং রাত থেকেছি আমি অনিলদা ও তার পরিবারের সাথে। সে যে কী অসাধারণ সময় কেটেছে আমার! জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাতটি দিনরাত্রি।

লেখালেখির প্রতি নিবেদন কাকে বলে, অনিলদার সংস্পর্শে না এলে কোনোদিনই হয়তো জানা হতো না আমার। যেভাবে ভাত-রুটি খাওয়া জীবনধারণের রোজকার ব্যাপার, যেভাবে প্রার্থনা করা ধার্মিকের রোজকার অবশ্যপালনীয় কাজ, সেভাবে লিখতে বসাও লেখকের রোজকার অবশ্যকর্তব্য। আগেও শুনেছি এমন কথা। কিন্তু দেখলাম অনিলদাকে। নিজের লেখালেখি এবং খ্যাতিপ্রাপ্তি নিয়ে কোনো কথা বলেন না তিনি। সেই সময়েই অনেকগুলো প্রাদেশিক এবং সর্বভারতীয় পুরস্কার পেয়ে গিয়েছিলেন। তদুপরি লেখা হয়ে গিয়েছিল ‘নুনবাড়ি’র মতো অসাধারণ একটি উপন্যাস। গর্বে মাটিতে পা পড়ার কথা নয় ওই বয়সের একজন লেখকের। কিন্তু অনিলদা সেসব কথা মুখেই আনেন না। তবে লেখালেখির জগতে এসে বিভিন্ন জায়গাতে অপমানিত হবার কথা অক্লেশে বলে যান। নিজের ব্যর্থতার কথাও। প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা বা উত্তরআধুনিকতা নিয়ে মাথা ঘানান না। বলেন যে সৃজনশীল লেখক সেগুলো জেনে রাখবেন, তবে সেগুলো নিয়ে পড়ে থাকবেন না। সাহিত্য করার জন্য তত্ত্ব কোনো কাজে লাগে না। তত্ত্ব দরকার সাহিত্য সমালোচকের আর সাহিত্যের অধ্যাপকদের। কোনো লেখাকে একটা চৌখুপিতে বসাতে না পারলে তাদের পেটের ভাত জুটবে না।

কলকাতা থেকে অতটা দূরে অবস্থান, কাজেই লেখা পাঠাতে হয় ডাকযোগেই। ‘দেশ’ পত্রিকায় গল্প পাঠাতেন। হাসতে হাসতে জানালেন, পরপর আঠারোটা গল্প পাঠিয়েছিলেন। ছাপা হয়নি। উনিশ নম্বরটা ছাপা হয়েছিল। কেন আঠারোটি গল্প বাতিল করল দেশ? পরে আমি সেই গল্পগুলো পড়েছিলাম। না ছেপে ফেলে দেবার মতো গল্প নয় সেগুলো। তেমন হলে পরবর্তীকালে বইতে সেগুলোকে স্থান দিতেন না অনিলদা। তার অর্থ হচ্ছে, লেখার মান নয়, অনিলদার গল্প ‘দেশ’ পত্রিকা ছাপছিল না অন্য কোনো কারণে। কারণটা পরিষ্কার জানা যায়নি। তবে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় একটুখানি ক্লু দিয়েছিলেন অনিলদাকে। বলেছিলেন, লেখার প্রচার পেতে হলে তোমার পদবি পাল্টাতে হবে অনিল! অর্থাৎ সেই ব্রাক্ষ্মণ্যবাদ! এখনও!

ঘড়াই তো কুলিন পদবি নয়। সম্ভবত নমঃশূদ্রই। অথবা কাছাকাছি। তাদের জন্য কলকাতার গঙ্গোপাধ্যায়-চট্টোপাধ্যায়-ভট্টাচার্যদের সাহিত্য-শিল্পের জগৎ বেশি জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। এই বিষয়ে বেশি কথা আমিও বলতে চাইনি। স্পর্শকাতর বিষয়। অনিলদা একবার বলেছিলেন, আপনাদের দেশে তো হিন্দুদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বড় বড় লেখক-কবি আছেন। তাদের ভাগ্য ভালো। কুলিন পদবির লোক না হলে এখানে তাদের জায়গা হতো না। এখানে বড়জোর কায়স্থ পর্যন্ত কিছুটা দাম পায়। তার নিচে হলে কোটায় চলে যায়।

প্রবল উপেক্ষাকে প্রবলতর সাধনা দিয়ে এবং উন্নত সৃষ্টি দিয়ে পরাজিত করতে হবে— এই মন্ত্র আমার মগজে পাকাপাকিভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন অনিলদা। মুখ চেনাচিনি, অন্য কোনো সম্পর্ক দিয়ে লেখক-কবিকে কিছুদিন তোল্লাই দিতে পারে মিডিয়া। কিন্তু নিজের প্রতিভা আর সাধনা না থাকলে কতদিন উপরে ধরে রাখতে পারবে মিডিয়া? সচেতন মানুষ তো মিডিয়াকে থুতু দেবে। দেয়-ও। তাই রাজধানী থেকে অনেক দূরে বসবাস করেও সাহিত্যে নিজের অবস্থান তৈরি করে নেয়া সম্ভব। চোখের সামনে অনিল ঘড়াইকে উদাহরণ হিসাবে দেখার পরে আমার নিজের মফস্বলবাস নিয়ে একদিনের জন্যেও আর আফসোস হয়নি। কেউ কেউ বলতে পারেন, কেন রাজশাহীতে তো চোখের সামনে হাসান আজিজুল হককে সবসময়ই দেখেছেন। আমি বলি, অনিল ঘড়াইয়ের সাথে হাসান আজিজুল হকের তুলনা করা যায় না। সাহিত্যপ্রতিভার পাশাপাশি হাসান স্যার অবস্থানগতভাবে অনেকখানি সুবিধা ভোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। সারাদেশের সারস্বত মহলের সাথে স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ। তার অনেক গুণমুগ্ধ ছাত্র অনেক প্রকাশনী এবং পত্রিকার মালিক। বিভিন্ন পুরস্কার কমিটির হর্তাকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসের পর মাস ছুটি নিয়ে তিনি লিখতে পারেন। তাকে আতিথেয়তা দেবার জন্য সারাদেশের ভদ্রলোকশ্রেণি সদাপ্রস্তুত।
কলকাতাতেও তার গুণমুগ্ধ ছাত্র এবং সঙ্গীরা আছেন। এমনকী আশির দশকের শেষের দিকে বিজ্ঞাপন পর্ব-র মতো অভিজাত লিটল ম্যাগাজিন(!) তাকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা করেছে। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা তাকে টের পেতে হয়নি। হাসান আজিজুল হকের তুলনায় অনিল ঘড়াইয়ের কিছুই ছিল না। ছিল কেবল লেখার শক্তি। সেই শক্তি দিয়ে তিনি পাহাড় ঠেলে গেছেন আজীবন। নিশ্চয়ই পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতেন না অনিল ঘড়াই। সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টের চাকরি। বেতনকাঠামো নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবন কাটানোর মতো যথেষ্টই বলা চলে। কিন্তু বিলাসিতা করার কোনো সুযোগ নাই। নিজের প্রথম আটটি বই যে তাকে নিজের খরচেই করতে হয়েছে। পূজার বোনাসের টাকায় বই করা। প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ধার নিয়ে বই করা। কলকাতায় কোনো থাকার জায়গা নেই। কিন্তু বই ছাপার জন্য কলকাতাতেই যেতে হবে। বউদি এবং ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রেসের মেঝেতেই নিউজপ্রিন্ট বিছিয়ে রাত কাটিয়েছেন। বাড়তি টাকার পেছনে ছোটেননি। দেশের ভিটেতে তার অন্য ভাইবোনরা বাড়ি তুলতে চান। অনিলদা জানিয়ে দিয়েছেন, বাড়ি তোলার কথা ভাবতেই চান না তিনি। তা করতে গেলে লেখালেখির কাজ বা সাধনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এই শিক্ষাটাও অনিলদার জীবন দেখে পাওয়া। বাড়ি-গাড়ি-যশ জীবনের কথা মাথায় ঢুকলে লেখার গভীরতায় ঘাটতি পড়বে। টাকার পেছনে ছুটতে গেলে সাহিত্যের জন্য সময় কমে যাবে। অতএব সেসব চিন্তা বাদ দিয়ে বসতে হবে লেখার টেবিলে। বাঁচার মতো উপার্জন থাকলেই হলো। কারো কাছে হাত পাততে না হলেই হলো। মানুষকে মানুষ এমনভাবে ভালোবাসতে পারে! সেই সাতদিনে দেখেছি আদিবাসীরা, বিহারি মাংসবিক্রেতা, রিকশাচালক, অফিসের নিম্নপদস্থ কর্মচারিরা অনিলদাকে কীভাবে নিজেদের লোক বলে মেনে নিয়েছেন। অনিলদার মুখে একটু হাসি দেখলে তারা যে কতটা আনন্দিত হতেন তা ভাষা না বুঝলেও অনুভব করতে একটুও অসুবিধা হতো না আমার। তারা সবাই আছেন অনিলদা-র গল্পে-উপন্যাসে।

একদিন সঞ্জয়-বিঞ্জয় নদী পেরিয়ে অনিলদা আমাকে নিয়ে গেলেন আদিবাসীদের গ্রামে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে জঙ্গলের মধ্যে গ্রাম। সঞ্জয়-বিঞ্জয় পাহাড়ি নদী। খুব স্রোত। বেশি গভীর নয়। পার হতে হয় হেঁটে। পায়ের নিচের ঝকমকে পাথরগুলো পিছলে যেতে চায়। গ্রামে ঢোকার পরে আদিবাসী এক বৃদ্ধ অনিলদাকে কয়েকটি কথা বললেন। ভাষা আমি বুঝিনি। তবে শুনতে পেয়েছি ‘দিকু’ শব্দটি। দিকু মানে ডাকাত। তথাকথিত সভ্য মানুষ তাদের কাছে দিকু। আমাকে সভ্য-ডাকাত ভাবছেন ওরা। অনিলদা বোধহয় আমার পরিচয় জানালেন ওদের। এবার বদলে গেল আচরণ। আদর করে বসালেন তারা। মুড়ি খেতে দিলেন। তারপর বাটিতে করে দিলেন ঘন সাদা থকথকে একটা পানীয়। বললেন, পিও। সফেদ চায়ে। পিও। আমি মুখে ঠেকাতে যাচ্ছিলাম বাটি। অনিলদার দিকে তাকাতে দেখলাম উনি আমাকে প্রবল ইশারা করছেন না খেতে। বাটি নামিয়ে রাখলাম। অনিলদাও খেলেন না। একফোঁটা আঙুলে তুলে কপালে ঠেকালেন। বললেন, এটাই আমার খাওয়া হলো। পরে আমাকে বললেন, ওটা খুব কড়া পচুই। খেলে আজ আর আমরা বাড়ি ফিরতে পারতাম না।

প্রকৃতির সঙ্গে এবং প্রকৃতির সন্তানদের সাথে এমনভাবে মিশে যেতে আর কাউকে দেখিনি আমি। মাঝে মাঝে মনে হতো অনিল ঘড়াই নয়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখছি আমি। সাতদিনে আমি তাকে যতখানি ভালোবেসেছিলাম, তার চেয়ে তিনি আমাকে অনেক বেশি ভালোবেসেছিলেন। আমাকে কলকাতার ট্রেনে তুলে দিয়ে প্লাটফর্মে দাঁড়ানো অনিলদার চোখে পানি দেখেছি আমি। আমার সেই অগ্রজ, আমার সেই শিক্ষক আজ নেই। অকালমৃত্যু হয়েছে তার। অকালমৃত্যু সত্ত্বেও তার রচনার উৎকর্ষ এবং সংখ্যাও বিপুলই বলা চলে। কারণ জীবনের একমুহূর্ত সময়ও তিনি অপচয় করেননি। আমিও চাই না অপচয় করতে। এটাও তার কাছে পাওয়া অন্যতম শিক্ষা আমার।

লেখক: কথাসাহিত্যিক