রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গুরুত্বহীন সাক্ষাৎকার

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল

প্রকাশিত : মে ১০, ২০১৯

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল: প্রচলিত আছে, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল দুজনই ছিলেন বিএনপি পন্থী। নজরুল তো খোলাখুলি বলেছেন, আমরা শক্তি আমরা বল, আমরা ছাত্রদল। আর আপনি লিখেছেন উপন্যাস— নৌকাডুবি। আওয়ামী লীগের নৌকাকে আপনিই ডুবিয়েছেন!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: হা হা হা হা হা...

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল: শ্রী রবি ঠাকুর, গুরু দা; আপনি একজন মালাউন। আপনি বেঁচে থাকলে খবর ছিল! আপনার এই দাড়ি রাখার গুরুতর অপরাধে আপনাকে আইয়ুব খানদের মতো `তারা` নাস্তিক ফতোয়া দিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করতো। ডিবি ধরতো, র‌্যাব মারতো, আর্মি পেটাতো। কানাডায় পালালেও আরসিএমপি ধরে হাসিনার হাতে হস্তান্তর করতো। শেষে আপনাকে ৭ দিনের রিমাণ্ডে নিয়ে (হেফাজতে) মুসলমান বানানো হতো। মতি মিঞার মতো `তাওবা` পড়তে হতো। হয়তো হালাল খৎনাও করাতো। আপনি মরে গিয়ে বেঁচে গ্যাছেন, বস্‌!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: সে জন্যই তো খুলনার পিঠাভোগ আর দক্ষিণডিহি ছেড়ে চলে এসেছি।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল: সারা বিশ্বে বাঙালিরা আপনার জন্মদিন উদযাপন করছে। কেমন লাগছে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: ভালো তো বটেই। তবে জামাতের নেতা আর ফজলুল হক আমিনী নামের একজন আমার দাঁড়ি আর আদর্শ নিয়ে কটাক্ষ করেছে। খুব মজা পেয়েছি।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল: আপনার লেখালেখি নিয়ে তো হুমায়ূন আজাদও কটাক্ষ করেছে। দেখেছেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: দেখা হয়নি। শুনেছি। আচ্ছা, চঞ্চলটা কে?

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল: কেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: সে-ও না কি কি সব লিখছে? ভালো। এবার ‘রবীন্দ্রনাথের ৩টি জন্মদিন’ শীর্ষক এক লেখায় লিখেছে, ‘রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বাঙালি যা করছে, তা বুদ্ধি ও সংযমের সীমা ছাড়িয়ে চলেছে। শেক্সপিয়রকে নিয়েও ইংরেজরা এত দিশেহারা হয় না। রবীন্দ্রনাথের হস্তরেখা, থুতনি, বসার ভঙ্গি ইত্যাদি সম্পর্কেও গবেষণা হচ্ছে এবং প্রণীত হচ্ছে পুস্তক। ‘আমি এসব খুবই ইনজয় করি।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল: আপনি নাকি আব্দুল হাই সিকদারের মতো বিএনপি সমর্থক কবি? তাই নৌকার ভরাডুবিতে ‘নৌকা ডুবি’ লিখেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: কে বলছে এই এসব? আমি তো ‘সোনার তরী’ও লিখেছি।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল: আপনি ১৯২৯ সালে কানাডায় এসেছিলেন। তখন কি আরসিএমপি অর্থাৎ কানাডিয়ান পুলিশের সাথে আপনার ঝামেলা হয়েছিলো?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ আর বলো না। ক্যানাডিয়ান এক লোক দেখতে হুবহু আমার মতো। সে ছিলো পালাতক আসামী। তাই পুলিশ এসে আমাকে এরেস্ট করে। পরে ক্ষমা চায়!

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ তুষার দাশের মতো কি আপনার কোনো বিজ্ঞাপনী সংস্থা ছিলো? আপনি কি চুলের, তেলের, পাগলের অসুদের, মদের এড লিখতেন কেনো?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ কেনো? কেনো মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে! আমি তো সার্বজনীন। তাই সবার জন্য কাজ করতে চেয়েছি।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনি কি মাতাল অবস্থায় তালার বদলে- ‘ভেঙ্গে মোর ঘরে চাবি’ লিখেছেন? অথাব ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে/ তবে একলা চলো রে’... এখানে একই সাথে তুই, আবার তুমি’ করে লিখেছেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ মনে করতে পারছিনা। এসব বলতে পারবে রবীন্দ্র-গবেষকরা।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ সরকারের দৃষ্টিতে `দাগী` হিসেবে পুলিশের গোপন খাতায় আপনার নাম ছিল। ব্রিটিশরাজ গোপন সার্কুলার জারি করে ১৯১২ সালের জানুয়ারিতে আপনাকে নজরদারি রাখায় হয়। অসহযোগের সমর্থক হিসেবে ১৯২৫ সালের মার্চ মাস নাগাদ ইংরেজ সরকারের গোয়েন্দা নথিতে তাই আপনার কথা নাইটহুড ত্যাগের কারণ বর্ণনাও আছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ সত্যি। খালেদা জিয়া ‘সরকারের দৃষ্টিতে `দাগী` হিসেবে পুলিশের গোপন খাতায় তো তোমারও নাম ছিল। তাই বলে কি তুমি ‘দাগী’ আসামী?

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বেতারে রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৬৭ সালেই তথ্যমন্ত্রী ফরমান জারি করেন যে, `জাতীয় আদর্শ ও ভাবধারার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে বেতার ও টেলিভিশনে রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রচার করা হবে না। দৈনিক পাকিস্তানের ২৪ জুন সংবাদটি প্রকাশিত হয় এবং তাতে বলা হয় : `কেন্দ্রীয় তথ্য ও বেতার মন্ত্রী খাজা সাহাবুদ্দীন গতকাল জাতীয় পরিষদে বলেন যে ভবিষ্যতে রেডিও পাকিস্তান থেকে পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের পরিপন্থী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান প্রচার করা হবে না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ হুম। তা ঠিক। তাই তো ৪০ চোর বিবৃতি দিয়েছিলো। পরে তো আমার গানই বাংলাদেশের জাতীয় সজ্ঞীত হয়েছে। বিরোধিতা আছে বলেই বিজয় আসে।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনার `সোনারতরী` কবিতার বিরোধীরা করে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন; ...এই একটি কবিতা নিয়ে বাংলা সাময়িক সাহিত্যে যে পরিমাণ অমৃত ও গরল মথিত হয়ে উঠেছিল তা বোধ হয় রবীন্দ্রনাথের কোনো একটি রচনা সম্বদ্ধে কী পূর্বে কী পরে কখনো হয়নি। ...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ শুধু প্রভাত কুমারই নন; ডি. এল রায় আমার `বিজয়িনী` ও `উব্বর্শী`র বিরুদ্ধেও অশ্লীলতার অভিযোগ খাড়া করেছিলেন। প্রভাত কুমারই নন; ডি. এল রায় ছাড়াও কালী প্রসন্ন কাব্য বিশারদ, কবি বঙ্কিম মিত্র, বিপিনচন্দ্র পাল, দ্বিজেন্দ্রলাল, অরবিন্দ, যদুনাথ প্রমুখ আমার বিবোধী দলে যোগ দিয়েছিলেন। ইয়েটস এবং এজরা পাউন্ড প্রমুখ জীবনবাদী শিল্পীরাও এক সময় রবীন্দ্র বিরোধিতায় নেমেছিলেন। ভারতীয় পত্রিকাগুলোতে আমাকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেছে। স্টেটসম্যানও পিছিয়ে ছিল না।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ কন্ঠশিল্পী মাকসুদও তো আপনার গানের সুর বদলিয়ে নতুন করে সুর দিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলো। রবীন্দ্রসঙ্গীত মডার্ন জেনারেশনের কাছে বোরিং। একই সুর। কোনোরকম ফের নেই। বড্ড সস্নো। আধুনিক জীবনের গতির সঙ্গে যায় না। এ যুগের ছেলেমেয়েরা...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ তার প্রতিবাদ করেছিলো ওয়াহিদুল হকেরা ।তাই তোমরা তাঁকে ‘রবীন্দ্র রাজাকার’ বলে আখ্যায়িত করেছো।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ এটা তারুণ্যের আচরণ! এবার ঢাকার এক তরুণ আপনাকে নিয়ে ছবি বানাচ্ছে। শুনেছেন? নির্মলেন্দু গুণ নাকি রবি ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ তাঁকে খুব মানাবে। গুণের একটি লেখা পড়ে মজা পেয়েছি।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ কোন লেখাটি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ ভালো রবীন্দ্রনাথ, মন্দ রবীন্দ্রনাথ!

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনার পূর্বপুরুষ এবং শ্বশুর বাড়ি তো বাংলাদেশেই, তাই না?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ খুলনার দক্ষিণডিহি । তিতাশ চৌধুরী নামে একজন খুঁজে খুঁজে তা বের করেছে।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ বাংলাদেশে আপনার কোনো আত্মীয় স্বজন আছে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ না। তেমন কেউ নেই।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ রবীন্দ্র গোপ বা টোকন ঠাকুর?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ ওরা আমাকে ধারন করেছে, বাচিঁয়ে রেখেছে। নামের সূত্রে আত্মীয়তা তো বটেই।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ বাংলাদেশে তো আপনার অনেক স্মৃতি জড়িত। পতিসর, শাহজাদপুর, শিলাইদহে আপনাদের জমিদারী ছিলো। সেই সূত্রে...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ হ্যাঁ, আমার অনেক গান-গল্প-কবিতা এখানে বসেই রচিত।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ ওসামা বিন লাদেনের খবর জানেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ কে সে?

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনার মতো লম্বা লম্বা দাঁড়ি এবং...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ ওহ! ৯/১১- এর নায়ক! সাহিত্যের বাইরে যেতে চাইনা। এসব প্রশ্ন থাক।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনি ছাড়াও আরো দুজন বাঙালি নোবেল পেয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ অমর্ত্য আর ইউনুস! দু’জনেই সমস্যায় আছে। গত সপ্তাহে ড. ইউনুস এসেছিলো তাঁর সমস্যা নিয়ে।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ কী বললো?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ গ্রামীণ ব্যাংক সংক্রান্ত জটিলতা।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনি পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি যে, আপনার তিনটি গান তিনটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ হুম! সেজন্য তো অনেকেরই ঈর্ষা!

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তো অনেকেই অনেক কিছু বলে! জানেন ঠাকুর দা, আমার এক বন্ধবী আপনার প্রেমে পড়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ নারীদের নিয়া আমি খুবি নরকীয়াই আছি। আর পরকীয়া নয়; নজরুলের কাছে যাও। সে খুবি নিঃসঙ্গ।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনি রবি ঠাকুর না হলে কী হতেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ হোসাইন মূহম্মদ এরশাদ হতাম।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ পুরুষ না; নারী হলে...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা হয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতাম আর ভাসিয়ে দিতাম সব কিছু।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনি বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন, অথচ একবারও অষ্ট্রেলিয়া যাননি। খুব মন খারাপ করেছে অজয় দাশগুপ্ত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ ও কে টিকিট পাঠাতে বলো। এবার যাবো।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ ফেইস বুকে আপনার যে একাউন্ট আছে...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ আরে ওটা একাউন্ট না। কে যেন বিটলামী করেছে। ভূয়া একাউন্ট......

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ কাল সারা দিন নেশার মতো আপনার গান শুনছিঃ
* ভেঙ্গে মোর ঘরে চাবি (নাকি তালা)...
* যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে.... (প্রথমে ‘তুই’, পরে ‘তুমি’),
* ...তুমি আপনি না এলে/ কে পারে হ্রদয়ে রাখিতে...(পাশাপাশি ‘তুমি’ আর ‘আপনি’...)/... মাঝে মাঝে পাই দেখা/ চিরদিন কেনো পাই না
* ভালবেসে সখি নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দিরে/ আমারও পরাণে যে গান বাজিছে তাহার তালটি শিখো তোমার চরণ মঞ্জিরে... (‘লিখো,’ ‘বাজিছে’, আবার ‘তাহার’... সাধু-চলতির তালেগুলে)। তাই মনে হলো- নেশার ঘোরে এসব গান লিখেছে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ হা হা হা...। ‘তুমি’র পরে "আপনি" স্বেচ্ছায় অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনার প্রিয় কবি কে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ কী? ছি ছি ছি......... লজ্জা দিচ্ছেন কেনো !!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ হ্যাঁ; বেঙ্গলি টাইমস এ ‘ভ্যাঙ্কুভারে রবীন্দ্রনাথ’ দেখলাম। গত শুক্রবার ইত্তেফাকের সাহিত্য পাতায় ’২৫ বৈশাখ ২২ শ্রাবণ’ কবিতা পড়লাম। ২৫ বৈশাখ আমার জন্মদিন।
কিন্তু ২২ শ্রাবণ তো আমার মৃত্যু দিবস না! কারণ, রবি ঠাকুরের মৃত্যু নেই। তুমি তো আবার রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রুমা ঠাকুরের প্রাইভেসি’ নিয়ে মেতে উঠেছো!

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনি কি রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি রবিঠাকুরের বউ’, ‘কাদম্বরীদেবীর সুসাইড-নোট’ এবং ‘রবি ও রাণুর আদরের দাগ’ বইগুলোর কথা শোনেছেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ উফ, সে তো আমার অপ্রকাশিত জীবন নিয়ে নোংরামি করছে। তা পুঁজি করে ‘লেখক’ হতে চাচ্ছে। প্লিজ। এই বিষয়টা থাক। প্লিজ। তবে রঞ্জন বাবু রসিয়ে রসিয়ে অতি রঞ্জন করে লিখেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনাকে কানাডার পুলিশ (আরসিএমপি) গ্রেফতার করেছিলো কেনো?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ সেটা সাজানো ছবি। ফটোশপে কে বা কাহার সেই ছবিটা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ আপনি ত সৈয়দ হকের মতই সব্যসচী লেখক। সাহিত্যের কোন শাখায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ আমার আইনজীবী বলবে। আমি আমার ল ইয়ার ছাড়া আর কোনো কথা বলতে চাই না, দুলাল। সরি। কারণ, পড়ে তুমি আমার কাল্পনিক সাক্ষাৎকার ছেপে দিবে, সে কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালঃ ‘পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত কাজে বিশ্ব ব্যাংক নিয়োজিত কমিটির প্রধান লুই গেব্রিয়েল মরেনো ওকাম্পো বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার দাদীকে যৌন হয়রানী করেছিলেন? মিঃ ওয়েস্টিন হোটেলে নিজ কক্ষে মতিকণ্ঠের সংগে এক অন্তরংগ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ওকাম্পো।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান লুই ওকাম্পো বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার কারণে রবীন্দ্রনাথকে পুলিশে দেয়া যায়নি তাই রবীন্দ্র গবেষকদের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন- নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত দুই বাঙালি অমর্ত্য ও ইউনূস।
আর সুইডেনে নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরীন টুইটারে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, রবি ঠাকুর একশো বছর পর জন্ম নিলে আমি তার পেন্ট খুলে ছেড়ে দিতাম।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ ছিঃ ছিঃ তুমি এসব কি বলছো? আগে জানলে তোমাকে সাক্ষাৎকারই দিতাম না।