শাহরিয়ার নাজিম জয়কে শেলীর হুঁশিয়ারি

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ১২, ২০২০

চ্যানেল আইয়ের অনলাইন ভিডিও শো জীবনের গল্প। যার উপস্থাপক,শাহরিয়ার নাজিম জয়। তাকে এবার কঠোর হুশিয়ারি,জনসম্মুখে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন প্রয়াত জনপ্রিয় তারকা মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না। তিনি গতকাল তার ফেসবুকে লিখেছেন, জনাব জয়, সাম্প্রতিক কালে চ্যানেল আই -এর একটি লাইভ অনুষ্ঠানে (জীবনের গল্প) অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিমানের সাবেক ক্যাপ্টেন মোশতাক। আপনি সেই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছিলেন। আপনি এভিয়েশন নিয়ে অনেক প্রশ্ন করেছেন। একজন সম্মানীয় সজ্জন ব্যক্তিকে আমন্ত্রন করে, তাঁর জীবন বৃত্তান্ত, তাঁর পেশাগত দক্ষতা ও কর্মময় জীবন সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন স্বাভাবিক নিয়মেই। তারপর আপনি আপনার চিরাচরিত স্বভাব সিদ্ধ অভ্যাসের দরুন আবারো অপ্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ কেবিন ক্রদের সঙ্গে তাদের প্রনয়ঘটিত ব্যাপার থেকে শুরু করে, বিদেশ থেকে জিনিসপত্র এনে বিক্রি প্রসঙেও উত্থাপন করেছেন, যা অত্যন্ত আপত্তিকর..! ক্যাপ্টেন মোশতাক অত্যন্ত সজ্জন ও অমায়িক ব্যক্তিত্ব বিধায় তিনি এটির উত্তরে একটি ব্যাখা দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমি একটি কথাই বলতে চাই যে, "এ জগতে হায়,সেই বেশী চায় আছে যার ভুড়িভুড়ি" কেবিন ক্রু সম্প্রদায় তাদের বৈধ আয় দিয়ে সচ্ছলভাবে জীবন যাপন করে এসেছে। কিছুটা টানপোড়ন তো পৃথিবীর সমস্ত সেক্টরেই চলমান রয়েছে। কোন সেক্টরই এর উর্ধে নয়, নইলে তো পৃথিবী জান্নাতময় হতো। ভালো শব্দের পাশাপাশি মন্দ বলে কোন শব্দ থাকতো না। জনাব জয়, আমার মনে হয়, এভিয়েশন সম্পর্কে আপনি কোন ধারনা পোষন করেন না। নইলে এ ধরনের কোন অবান্তর প্রশ্ন করতে পারতেন না। কেবিন ক্রুদের একটা ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়। নইলে কঠিনতম ট্রেনিং গুলোতে তারা উর্ত্তীন হতে পারতো না। সেমি টেকনিক্যাল বিষয়ে টেনিং এ ৮৪ পারসেন্ট মার্ক নিয়ে তদের উর্ত্তীন হতে হয়, পাশাপাশি অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রচুর পড়াশুনা করতে হয়। সারা বছর পড়াশুনা, ট্রেনিং ও ব্রিফিং এর মধ্যে থাকতে হয়। পাশাপাশি সিএএবির এর নিয়মিত চেক, বিদেশেও প্রতিনিয়ত এসব চেক এর মধ্যে পরতে হয়। লাইসেন্সের ন্যায় সার্টিফিকেটে প্রতিবছর প্রচুর পড়াশুনা করে ট্রেনিং এ উর্ত্তীন হয়ে এর রিনিউ করতে হয়। না হলে কেউ ফ্লাইট অপারেট করতে পারবে না। অজানা বিষয়গুলো আপনার জ্ঞাত হবার জন্য পেশ করলাম। এয়ারলাইন্স একটি টিম ওয়ার্ক, এখানে প্রত্যেকটি ডিপার্টমেন্ট, এমনকি ক্লিনার সেকশন ও সমভাবে প্রয়োজনীয় ও জরুরী,না হলে কোন ফ্লাইট উড্ডয়ন করতে পারবে না। এভিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ি -হাইলি ট্রেইনড কেবিন ক্রু ছাড়া কোন ফ্লাইট উড্ডয়ন করতে পারবে না। তাই এখানে সুপিরিওর বলে কিছু নেই। কেবিন ক্রুদের প্রথম উদ্দেশ্য হলো একজন সম্মানীত যাত্রীকে সেফটি এবং সিকুউরিটির সঙ্গে তার ডেসটিনেশনে পৌঁছে দেয়া। পাশাপাশি সম্মানিত যাত্রীদের দায়িত্ব হাইলি ট্রেইন কেবিন ক্রুদের নির্দেশ মেনে নিরাপত্তার সাথে তার আকাশভ্রমণ ও গন্তব্যে পৌছানো। জনাব জয়, আপনি এদেশের শিল্পী সমাজকেও চরমভাবে হেয় করেছেন। যারা এদেশের সাংস্কৃতিক জগতকে সমৃদ্ধ করে এ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তাদেরকেও আপনার অনুষ্ঠানে অশালীন প্রশ্নে জর্জরিত করেছেন। মৌসুমী,শাবনূর থেকে শুরু করে শিল্পী সমিতিকেও ন্যূনতম সম্মান দেখাননি। অথচ আপনি একজন শিল্পী---!ভাবতেও অবাক লাগে। আমরা অত্যন্ত রক্ষনশীল সমাজে বাস করি।তাই এই ব্যাপারে আপনার প্রচন্ড সৌজন্যবোধ ও সীমারেখা থাকা উচিত ছিলো। পরিশেষে জনাব জয়, কেবিন ক্রুদের প্রচন্ড নিয়ম-নীতির মধ্যে চাকুরী করতে হয়।প্রচন্ড সীমাবদ্ধতা রয়েছে তাদের জীবন-যাপনে।আইনের বাইরে কাজ করার কোন বিধান এখানে নেই। কেবিন ক্রুরা পেশাগত কারনে নিদ্রাহীন ভাবে প্রতিনিয়ত রিস্কি জীবন নিয়ে জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সকে নিয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন,দেশের সেবা করছেন, তারাপারিবারিক ভাবে প্রতিটি মুহুর্ত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, এমনকি প্রিয়জনের অসুস্থতা ও মৃত্যুর সময়ে পাশে থাকতে পারে না। এমন একটা সম্মানজনক ও রিস্কি পেশার সম্প্রদায়কে আপনি কোন যুক্তিতে ও সাহসে অবমাননা করলেন? আপনার ধারনা থাকা উচিত যে মানুষের কথায়, প্রশ্নে, যুক্তিতে, আচার-ব্যবহারে চিন্তা ভাবনায় একটি শালীনতা ও সীমারেখা থাকা উচিত। কোন অবস্থাতেই সীমালংঘন কারীকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা ও এদেশের সুশীল সমাজ ও মিডিয়ার সম্মানিত সুধীবৃন্দের নিকট উক্ত সমস্ত বিষয়গুলো অবগত করা হলো। আপনাদের সদয় ও মানবিক দৃষ্টি আর্কষন করছি।