‘শিল্পের মাধ্যম অনেক, কাজ কিন্তু একটি’

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২০

তারেক মাহমুদ, নানা গুণে গুণান্বিত একজন মানুষ। কবি, কথাসাহিত্যিক, অভিনেতা, চিত্রপরিচালক— শিল্পের বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি কাজ করে চলেছেন। সম্প্রতি শেষ করলেন চটপটি নামের একটি সিনেমার কাজ। তরুণ কবি ও কার্টুনিস্ট রিফাত বিন সালাম নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে গপসপ করলেন।

রিফাত বিন সালাম: সম্প্রতি শেষ হলো আপনার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘চটপটি’র শ্যুটিং। এ ছবি নির্মাণের পেছনের গল্প বলুন।
তারেক মাহমুদ: হ্যাঁ, শেষ পর্যন্ত ৩০ জানুয়ারি চটপটি ছবির সকল পর্বের শুটিং শেষ হয়েছে। আর পেছনের গল্প পেছনেই পড়ে থাক। সামনের গল্পই আমাদের কাম্য। চটপটি সিনেমাটা দেখে দর্শকই সে-গল্প বলবেন।

রিফাত বিন সালাম: ছবির কুশীলব কে কে? তাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে কী রকম অভিজ্ঞতা হলো?
তারেক মাহমুদ: চটপটি ছবির প্রধান চরিত্র নীরব খান। নায়িকা চরিত্রে রূপদান করেছেন জারা ও চমক তারা। এছাড়া রয়েছেন, সিরাজ হায়দার, আমির সিরাজী ও কচি খন্দকারসহ প্রায় ৭০ শিল্পী এই ছবিতে কাজ করেছেন। তাদের সাথে কাজ করে আনন্দ পেয়েছি। সবাই তাদের সর্বোচ্চ মেধাটা আমাকে দিয়েছেন।

রিফাত বিন সালাম: জানি যে, আপনি একাধারে কবি, গল্পলেখক, অভিনেতা ও নির্মাতা। তো এতসব পরিচয়ে কোন মাধ্যমে কাজ করতে সবচে বেশি ভাল্লাগে আপনার?
তারেক মাহমুদ: আমি আসলে একটি কাজই করি। সেটা হলো শিল্পচর্চা। সেটার মাধ্যম হয়তো অনেকগুলো, কিন্ত কাজ একটিই।
 
রিফাত বিন সালাম: আগের মতো এখন আর নিয়মিত আপনাকে অভিনয়ে পাওয়া যায় না। কারণ কি?
তারেক মাহমুদ: করছি তো। আর, আগের মতো কি কোনও কিছুই পাওয়া যায়?

রিফাত বিন সালাম: এবার একুশে বইমেলায় কোনো বই বের হচ্ছে নাকি? কীসের বই, কোন প্রকাশনী?
তারেক মাহমুদ: কথা ছিল বের হবে। কিন্তু বের তো হলো না। যাই হোক, বিষয় না। তবে লিখছি কিন্তু নিয়মিত। আর লেখালেখি আমার কাছে খুবই ব্যক্তিগত একটা আনন্দের ব্যাপার। এই আনন্দ পেতেই লিখে যাই।

রিফাত বিন সালাম: আপনার শৈশবের গল্প বলুন, যখন চারপাশ থেকে নানা কিছু ভিড় করছে আপনার মানসজগতে।
তারেক মাহমুদ: দেখুন, আমি ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময়ই পাঠ করেছিলাম বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’। আর তখন থেকেই আমি হয়ে গিয়েছিলাম ‘অপু’। আমাদের দাদাবাড়ির গ্রামটি ছিল ছোট্ট একটা চিকন গাঙের পাড়ের উপর। দু’পাশে বিল। বর্ষায় যেন পুরো গ্রামটি ভাসতো। একটি উদার প্রাকৃতিক এবং সামাজিক পরিবেশে আমি বেড়ে উঠেছি। মানসপটে সেই চিত্রটিই রয়ে গেছে। সেটাই আমার সবসময়ের অনুপ্রেরণা।

রিফাত বিন সালাম: ধন্যবাদ আপনাকে ছাড়পত্রকে সময় দেয়ার জন্যে।
তারেক মাহমুদ: আপনাকেও ধন্যবাদ। আর, ছাড়পত্রের জন্যে রইল শুভকামনা।