
শিশু-কিশোরদের টাইফয়েডের টিকাদান অক্টোবরে, লাগবে নিবন্ধন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ২৮, ২০২৫
ইপিআইয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে টাইফয়েডের প্রায় ৫ কোটি টিকা দেওয়া শুরু হবে ১২ অক্টোবর থেকে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোররা এ টিকা পাবে। স্কুলে প্রথম ১০ দিন ক্যাম্প করে আর যারা স্কুলে যায় না তাদের পরবর্তী ৮ দিন কেন্দ্রে দেওয়া হবে এসব টিকা।
শিশু-কিশোরদের মারাত্মক রোগ টাইফয়েড জ্বর থেকে রক্ষায় দেশব্যাপি শুরু হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি ইপিআইয়ের মাধ্যমে এ টিকা দেওয়া হবে। দরিদ্র দেশগুলোতে শিশুদের জীবন রক্ষাকারী টিকাদান কর্মসূচির আওতায়আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এ কার্যক্রম পরিচালনা করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর ডা.এস এম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, “১২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে কর্মসূচি। প্রায় ৫ কোটি বাচ্চাকে আমরা টিকা দিতে যাচ্ছি।”
স্কুলে ক্যাম্প করে ১২ অক্টোবর থেকে প্রথম ১০ দিন টিকা দেওয়া হবে। আর স্কুলে না যাওয়া শিশুদের পরবর্তী ৮ দিন টিকা দেওয়া হবে কাছাকাছি কেন্দ্রে। টিকা পেতে সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে। গ্যাভির অর্থায়নে বিশ্বের দশম দেশ হিসেবে এ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী বছর থেকে ইপিআইয়ের সিডিউলে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।
দেশে প্রতি লাখে ১৬১ শিশু টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর,ডায়রিয়া,মাথা ব্যথা এমনকি জটিলতা দেখা দিলে যকৃৎ ও প্লিহা বড় হয়ে জীবনহানিও হতে পারে। তাই সব শিশু-কিশোরকে টিকা নেওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
টিকা বিশেষজ্ঞ ডা.তাজুল ইসলাম এ বারী বলেন, “দামি দামি এন্টিবায়োটিক এই টাইফয়েডের বিরুদ্ধে কাজ করছে না। এটা বন্ধ করার উপায় টিকাদান। এটা নিরাপদ ও কার্যকরী রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে।”
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত ও ঝুঁকিহীন এক ডোজের ইনজেকটেবল এই টিকা শিশু কিশোরদের ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে।