শিশুসাহিত্যিক লীলা মজুমদারের আজ জন্মদিন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২

শিশুসাহিত্যিক লীলা মজুমদারের আজ জন্মদিন। ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রায় পরিবারে গড়পাড় রোগের বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রমদারঞ্জন রায় ও সুরমাদেবী তার পিতা-মাতা।

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (যার পৈতৃক নাম কামদারঞ্জন রায়) ছিলেন প্রমদারঞ্জনের ভাই এবং লীলার কাকা। সেইসূত্রে লীলা হলেন সুকুমার রায়ের খুড়তুতো বোন এবং সত্যজিৎ রায়ের পিসি।

লীলার বাল্যজীবন কাটে শিলঙে, যেখানকার লরেটো কনভেন্টে তিনি পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পরীক্ষায় তিনি সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেন।

১৯৩৩ সালে লীলা বিবাহ করেন দন্ত চিকিৎসক ডা. সুধীর কুমার মজুমদারকে। এই বিবাহে তার পিতার প্রবল বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও তিনি তার স্বনির্বাচিত পাত্রকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেন।

পিতৃ পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকলেও পিতার সঙ্গে সম্পর্ক চিরকালের মতো ছিন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে লীলা-সুধীর খুব সুখি দম্পতি ছিলেন। স্বামী আজীবন লীলার সাহিত্য চর্চায় উৎসাহী ছিলেন। তাদের এক পুত্র ডা. রঞ্জন মজুমদার ও এক কন্যা কমলা চট্টোপাধ্যায়।

লীলার প্রথম গল্প ‘লক্ষ্মীছাড়া’ ১৯২২ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় সন্দেশ পত্রিকা পুনর্জীবিত করলে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৪ অবধি সাম্মানিক সহ-সম্পাদক হিসাবে পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

১৯৯৪ সালে তার স্বাস্থের অবনতির জন্য অবসর নেন। তার সাহিত্যিক জীবন প্রায় আট দশকের। তিনি অনেক বাংলা গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাসের রচনা করেন। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা।

তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হলো, হলদে পাখির পালক, টং লিং, পদি পিসীর বর্মী বাক্স, সব ভুতুড়ে। পাকদণ্ডী নামে তার লেখা আত্মজীবনীতে তার শিলঙে ছেলেবেলা, শান্তিনিকেতন ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর সঙ্গে তার কাজকর্ম, রায়চৌধুরী পরিবারের নানা মজার ঘটনাবলি ও বাংলা সাহিত্যের মালঞ্চে তার দীর্ঘ পরিভ্রমণের কথা বর্ণিত হয়েছে।

তার প্রথম আত্মজীবনী `আর কোনখানে`র জন্য ১৯৬৯ সালে তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার পান। ২০০৭ সালে ৫ এপ্রিল লীলা মজুমদার মৃত্যুবরণ করেন।