সজীব দে

সজীব দে

সজীব দে’র কবিতা

প্রকাশিত : মার্চ ২৬, ২০২৩

তোমার বাড়ির কাছে

 

এই রকম একটা সড়ক ছিল
লাল ছিপছিপে ফড়িঙের মতো গা
কেউ হেঁটে গেল বা যারা হেঁটে গিয়েছিল
প্রতিদিন
তারা জানে যে, তারও আছে আবৃত পাখা।
আর
আমি সে সড়কের মাথায় দাঁড়িয়ে দেখেছি
এক অসীমতট তোমার বাড়ির কাছে গেছে।

 

মিলির হাতে স্টেনগান

 

সাঁওতাল পরগণায় শীতের কুয়াশায় মিলি ছিল।
লালমনিরহাটের হোটেল রুমে মিলি ছিল।
কুড়িগ্রামের পথে পথে মিলি কথা বলতো।
সূর্য অস্ত যাবার সময় মিলি আসতো স্মৃতিতে।
বান্দরবানের পাহাড় চূড়ায়, ঝর্ণাধারায়, শঙ্খ নদীর পাড়ে মিলি ছিল।
বৌদ্ধ পূর্ণিমা রাতে ফানুস ওড়ানোয় মিলি ছিল।
অথচ ইলিয়াস সেই কবে মিলির হাতে স্টেনগান দিয়ে গেছেন।

 

দোলক রাজ্য

 

তুমি বলো, আমরা এক সাথে ভাববো
বিকেলের সম্ভাব্য একটি বই
কথাগুলো ঠিক গান নয়।
বালিতে তুমি সন্ধ্যা নামাও
সুদূর থেকেও।
পাশাপাশি রাত আসে
চারটি পা মাছের লেজ হয়ে যায়
সমুদ্রের জল ছোঁয়।
ঠিক এটাই আমাদের মরফিন
ভাবনার গোলকত্ব,
কবে ফিরবো
সে কথা না জানাই!
অবিরাম হাওয়া দোলে চাঁদ মরে গেলে
আমরাও ঘুমিয়ে যাই দোলক রাজ্যে।
ওহ আমার অভিমান তুমি কার মুখোমুখি হও
বাতিঘর পুড়ে গেলে?

সন্ধ্যা ভেসে যায় শীতলক্ষ্যায়

 

বিচ্ছিন্নতার অবদান আছে নগ্ন গায়ে
অপরাপর আমরা যা জানি এইসব
গল্প কাকতালীয় বলে অপেক্ষা
খানিক দূরে সন্ধ্যা ভেসে যায় শীতলক্ষ্যায়।
আমার বাবার আছে ফেলে আসা
প্রেমিকার বেলপাতা মুখ
অবয়ব ছায়া আবৃত
আর মা গান গায় প্রেমিকের চোখজুড়ে
এইসব থাকে মাথাজুড়ে কোথাও চিহ্ন ঘরবাড়ির
ধ্বংসস্তূপে ফুল ফুটে থাকে নাম তার ঘাসফুল।

 

রহস্য

 

আজও আমি অনেক কিছু জানি না
তোমার চোখের রঙ যে
অনেকটা গোখরা সাপের মতো
ওই মাদুলিঅলা সাপিনী না এলে
আমি হয়তো দেখতে পেতাম না।
কখনও কি দেখেছি
হলুদ মেঘ ছিল তোমার চুল!
ওই লোকটি এসে একদিন বলে দিল,
তোমার নিচের ঠোঁটে ছোট্ট একটা লাল তিল আছে!
তোমার প্রান্তদেশে যে পদ্ম ফুল ফুটতে পারে
আমি তো জানতে পারলাম নেরুদার কবিতা পড়ে!
এত এত রহস্য নিয়ে ছুঁয়ে যাব তোমাকে কেমন করে?