স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লে অভিবাসীকে ৩০০০ ডলার দেবে ট্রাম্প

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫

চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত যেসব অভিবাসী স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে, তাদের প্রত্যেককে ৩ হাজার ডলার করে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) এ তথ্য জানায়।

এর আগে এই সহায়তার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম ছিল। বর্তমান প্রশাসন তা ৩ গুণ বাড়িয়ে ৩ হাজার ডলার নির্ধারণ করেছে। নগদ সহায়তার পাশাপাশি অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরার জন্য বিনা মূল্যে বিমান টিকিটও দেওয়া হবে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোম বিবৃতিতে বলেন, “অবৈধ অভিবাসীদের উচিত এই উপহারটি গ্রহণ করে স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ করা। তারা যদি তা না-করে তাহলে আমরা তাদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করব। সেক্ষেত্রে তারা আর কখনোই যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সুযোগ পাবে না।”

ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছরের মার্চে ‘সিবিপি হোম’ নামের অ্যাপ চালু করে, যার মাধ্যমে অভিবাসীরা সহজেই স্বেচ্ছায় দেশত্যাগের আবেদন করতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় একই অ্যাপ ‘সিবিপি ওয়ান’ নামের পরিচিত ছিল এবং তখন এটি অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে আইনিভাবে প্রবেশের কাজে ব্যবহৃত হতো।

ডিএইচএসের হিসাব অনুযায়ী, একজন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার, আটক রাখা এবং জোরপূর্বক বহিষ্কার করতে সরকারের গড়ে প্রায় ১৭ হাজার ডলার ব্যয় হয়। সে তুলনায় ৩ হাজার ডলার দিয়ে স্বেচ্ছায় ফেরত পাঠানো সরকারের জন্য অনেক বেশি সাশ্রয়ী।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় ট্রাম্প প্রতি বছর ১০ লাখ অভিবাসীকে প্রত্যাবাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত তার প্রশাসন প্রায় ৬ লাখ ২২ হাজার অভিবাসীকে প্রত্যাবাসিত করেছে। ২০২৬ সাল থেকে এ অভিযান আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এই লক্ষ্যে হাজার হাজার নতুন এজেন্ট নিয়োগ, নতুন ডিটেনশন সেন্টার (আটক কেন্দ্র) নির্মাণ এবং অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিচ্ছে মার্কিন সরকার। সূত্র: রয়টার্স