হায়াৎ মামুদ: কাব্যময় জীবনের আখ্যান

সরকার আবদুল মান্নান

প্রকাশিত : জুলাই ০৩, ২০২০

গ্রামের ছেলে। স্কুলের পড়াশুনাও গ্রামের স্কুলেই। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কোনো কবি-সাহিত্যিককে চিনতাম না। আর জীবন্ত কবি-সাহিত্যিক সশরীরে আমার সামনে চলবে-ফিরবে, কথা বলবে— তা ছিল কল্পনারও অতীত। এমন কি ১৯৮১ সালে যখন নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তি হলাম তখনও কোনো কবি-সাহিত্যিকে দেখিনি। দেখা বা কথা বলার তো প্রশ্নই ওঠে না। পাঠ্যপুস্তকে কবি-সাহিত্যিকদের জন্ম-মৃত্যুর তারিখ দেওয়া থাকত। সুতরাং কবি-সাহিত্যিকগণ জীবিত থাকেন— এটা আমাদের ভাবনায় ছিল না।

কিন্তু ১৯৮৩ সালে যখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হলাম তখনই শুনলাম আমাদের বিভাগের দুইজন শিক্ষক সাহিত্যচর্চায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এঁদের একজন হায়াৎ মামুদ এবং অন্যজন সেলিম-আল-দীন। সেলিম-আল-দীন স্যার ভর্তি পরীক্ষায় আমার ভাইভা বোর্ডে ছিলেন। গ্রাম থেকে আসা একজন গ্রাম্য, সহজ-সরল, বোকা ও হতদরিদ্র শিক্ষার্থীর প্রতি তিনি যে মমত্ব প্রদর্শন করেছেন তা ভুলবার নয়। সুতরাং তাঁকে চিনতে আমার ভুল হয়নি। সেই আমার প্রথম একজন জীবন্ত লেখককে দেখা। এবং ইতোমধ্যে আমি জেনেছি যে, বাংলা নাট্য-সাহিত্যে অসাধারণ এক ঘরানার উদ্ভব ঘটিয়েছেন তিনি। সুতরাং গোপন এক শ্রদ্ধার অর্ঘ্য আমি তাঁর জন্য সাজিয়ে রেখেছিলাম।

কিন্তু হায়াৎ মামুদ স্যারকে আমি তখনও চিনতাম না। তাঁর অসাধারণ জীবনাচরণের কিংবদন্তিতুল্য কাহিনি আমি শুনেছি। তারপর একদিন তিনি ক্লাসে ঢুকলেন। আমরা সবাই তাজ্জব হয়ে স্যারকে দেখতে লাগলাম। পরনে জিন্স প্যান্ট, ফতুয়া, চাদর আর পায়ে চটি, হাতে কী একটি গ্রন্থ আর পাইপ। তিনি এমনভাবে আমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন যেন আমরা কত কাল থেকে তাঁর পরিচিত। আর দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে পাইপে আগুন ধরাতে চেষ্টা করছিলেন।

দুই মাত্রায় দুইজন লেখককে দেখার সেই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। ১৯ জন সহপাঠীর সেদিন কার কী মনে হয়েছিল জানি না। কিন্তু আমার চেতনে-অবচেতনে শিক্ষক সম্পর্কে যে আর্কেটাইপ তৈরি ছিল তা যেন মুহূর্তে ভেঙে গেল, নতুন এক শিক্ষক-প্রতিমার উদ্ভব ঘটল। তারপর গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে আমি স্যারকে চিনি। তাঁর সেই কিংবদন্তিতুল্য জীবনালেখ্যের দৃশ্যগ্রাহ্য অংশের অনেকটুকু দেখবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এখন যদি কেউ প্রশ্ন করেন, হায়াৎ মামুদ শিক্ষক হিসেবে কেমন ছিলেন? তা হলে বলতে হবে, একদম ভালো নয়। শিক্ষক শিক্ষা দান করবেন, শিক্ষার্থীদের শেখাবেন— প্রথাগত এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে হায়াৎ মামুদ স্যারকে ভালো শিক্ষক বলা যাবে না কিছুতেই। তিনি আমাদের শেখানোর চেষ্টা করেছেন, এমন কোনো স্মৃতি তাঁর কোনো ছাত্র স্মরণ করতে পারবেন না। ফলে এই বদনাম তাঁর ছিল যে, তিনি ভালো পড়ান না। শিক্ষক উত্তমর্ণ (Superior) আর শিক্ষার্থী অধমর্ণ (Inferior), তাই আধিপত্য বিস্তার করে শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে-পিটিয়ে মানুষ করতে হবে— এই বোধ স্যারের মধ্যে কখনই ছিল না। তিনি শিক্ষাদানের প্রথাগত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের এতটাই সম্মান করতেন যে, তাঁর কখনই মনে হয়নি আমরা তাঁর চেয়ে কম মর্যাদার মানুষ। ফলে তিনি আমাদের শেখাতেন না— শেখার পথগুলো ধরিয়ে দিতেন, চিন্তা করার দরজা-জানালাগুলো খুলে দিতেন।

পাণ্ডিত্যের কণ্টকাকীর্ণ উপস্থাপন তাঁর চরিত্রের মধ্যে কখনই ছিল না। আড্ডার পরিবেশ তৈরি করে তিনি গল্প করতেন, যে গল্পের মধ্যে তাঁর বিপুল পঠন-অভিজ্ঞতা ও পাণ্ডিত্বের পরিচয় আপনা থেকে বিকশিত হয়ে উঠত। তিনি প্রায়শ বলতেন, চিন্তা একটি নিরন্তর চর্চার বিষয়। চিন্তায় দক্ষতা লাভ করার জন্য অনুধ্যান প্রয়োজন। সুতরাং এহেন একজন শিক্ষককে প্রথাগত দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো শিক্ষক বলার সুযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ দলীয় রাজনীতি করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের এই দলীয় রাজনীতি কোন পর্যায়ে আছে, তা সবারই জানা। হায়াৎ মামুদ স্যারকে কোনো রকম রাজনীতির সঙ্গে কখনই জড়াতে দেখিনি। জ্ঞানচর্চা আর প্রাণবন্ত আড্ডা দিয়ে তিনি অসাধারণ সময় তৈরি করতেন। তাঁর সান্নিধ্য তাই সর্বদাই উপভোগ্য। মানুষকে শুধু মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে সম্মান করার কথা বলা খুবই সহজ। আমরা অনেকে এসব কথা বলেও থাকি। কিন্তু আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি, হায়াৎ মামুদ স্যারের অস্তিত্বের গড়নটাই এমন যে, তিনি মানুষকে সম্মান করেন মানুষ হিসেবেই- আর কোনো পরিচয় সেখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে বিশাল বিশাল শিক্ষকদের মূর্খতা ও অহমিকা দেখে তাঁকে মর্মাহত হতে দেখেছি বহুবার। সেই সব স্বার্থান্ধ কূটকৌশলী কাউকেই তাঁর বন্ধুদের সারিতে, আড্ডার মজলিশে দেখিনি কখনই। এদের নমস্কার জানিয়ে দূরে থাকেন তিনি চিরকাল।

বঙ্গসন্তানরা বাজারে গিয়ে মাছ, তরিতরকারি, চাল-ডাল-নুন-তেল কিনেন না এমন খুঁজে পাওয়া যাবে না। হায়াৎ মামুদ স্যার এ ক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম। একাশি বছর বয়সে তিনি কখনই এই সব গার্হস্থ্য কর্ম করেননি। গ্রন্থ পাঠ, লেখালেখি, আড্ডা আর ভ্রমণ - এই সব করে তিনি দীর্ঘ এক জীবন অতিবাহিত করেছেন।

আর সেই বিচিত্র জীবনে অপরিসীম ভালোবাসার আশ্রয় হয়ে আছেন খুকু ভাবী- হায়াৎ মামুদ স্যারের সহধর্মিনী। সাহিত্যের আড্ডা হোক, সঙ্গীতের আসর হোক কিংবা মদ্যপানের আড্ডা হোক - সর্বত্রই আছেন তিনি। বিস্ময়কর সহিষ্ণুতা আর গভীর ভালোবাসার বন্ধনে ফুল্ল এক জীবন অতিবাহিত করছেন এই দম্পতি। তাঁদের সন্তান সৌম্য ও লোপা সেই জীবনেরই অন্য এক উত্তর সাধনায় সমাবৃত।

কার লেখা এখন আর মনে নেই। পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক সাংবাদিক হবেন। “পূর্ব জন্মের পথ ধরে” নামে একটি বই লিখেছেন। সেই গ্রন্থের একটি অধ্যায় লেখা হয়েছে হায়াৎ মামুদ স্যারের গেন্ডারিয়ার বাড়িটি নিয়ে। যতটুকু মনে পড়ে, তিনি লিখেছেন, হায়াৎ মামুদের পিতা মুহম্মদ শমসের আলী কবি ছিলেন না। কিন্তু ভেতরে কাব্যভাবনা না-থাকলে এমন বাড়ি বানাতেন না কখনই, যে বাড়ির বাসস্থান থেকে বারান্দা অনেক বড়।

১৯৮৪ সালের দিকে আমি ওই বাড়িটিতে প্রবেশ করে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম- এটা কি বাড়ি, নাকি বারান্দা? আর অভূতপূর্ব সেই বারান্দা ওয়ালা বাড়ির নিচতলা থেকে তিন তলা পর্যন্ত এহেন কোনো স্থান নেই যেখানে বই নেই। বই, বই, বই। এমন কি রান্নাঘর ও ওয়াশ রুমের দরজায়ও বই সংরক্ষণের ব্যবস্থা। আলাদা দুটি লাইব্রেরি তো আছেই।

হায়াৎ মামুদ স্যার তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির পয়সায় বই, কিছু শুকনো খাবার আর সরাব কেনা ছাড়া আর কিছু করেছেন বলে মনে হয় না। হয়ত কেউ বলবেন, বই না-হয় বুঝলাম। কিন্তু সরাব কেন? তিনি কি মদ্যপ, মাতাল?
হায়াৎ মামুদ স্যারের কোনো শত্রু নেই। থাকলেও তাঁকে মদ্যপ বা মাতাল বলতেন না। কেননা অসাধারণ মর্যাদাবোধসম্পন্ন এই মানুষটি মদ্যপান করতে গিয়ে তাঁর আভিজাত্যের বোধ কিছুমাত্র হারাননি কখনই। এবং এক জীবনে তিনি যত না নিজে পান করেছেন, বন্ধুদের পান করিয়েছেন সহ¯স্রগুণ। আর সেই আয়োজনে শিল্প-সাহিত্য ও সৌন্দর্যের চর্চা, মনন ও বুদ্ধিবৃত্তির চর্চা অসাধারণ রূপ পরিগ্রহ করত।

পিতার গোপন এক কাব্যপ্রতিভা ও সৌন্দর্যভাবনার প্রেরণায় নির্মিত এই বিস্ময়কর বাড়িটি দেশি-বিদেশি কত কবি-সাহিত্যিকদের স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে তার ইয়ত্তা নেই। আর সেই স্মৃতির সিংহভাগ জুড়ে থাকবে আড্ডা, খুকু ভাবির নিবিড় আতিথ্য আর পরিবারের অন্য সদস্যদের আন্তরিকতা। আর হায়াৎ মামুদের প্রাণখোলা হাসি। গভীর বিশ্বাস আর মমত্ববোধ থেকে উৎসারিত কথামালা।

গ্রাম বাংলায় আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে এসে দিনের পর দিন অতিবাহিত করার রেওয়াজ নিঃশেষ হয়ে আসছে এখন। কিন্তু হায়াৎ মামুদ স্যারের এই বাড়িটিতে তাঁর বন্ধুরা যে কত দিন অতিবাহিত করেছেন তার কোনো হিসাব নেই। বন্ধুদের এই দিন যাপনে একান্নবর্তী পরিবারটি উৎসবের মেজাজে আনন্দময় হয়ে উঠতে দেখেছি সর্বদাই।

হায়াৎ মামুদ স্যারের ৮১ বছরের এই জীবনকে যদি পরিচয় করিয়ে দিতে হয় তা হলো কী বলব- শিক্ষক, কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, শিশু-সাহিত্যিক, অনুবাদক নাকি গবেষক, নাকি আড্ডাপ্রিয় একজন মানুষ? এ সবই তো করেছেন তিনি।

শিক্ষকতারও আগে শুরু করেছিলেন কবিতা লেখা। ১৯৬৭ সালে কবিতার বই বেরিয়েছে স্্বগত সংলাপ নামে। তার পরও মাঝে-মধ্যে কবিতা লিখেছেন। দুই দশক পরে আবার কবিতার বই বেরোয় ১৯৮৭ সালে। নাম প্রেম অপ্রেম নিয়ে বেঁচে আছি। এরপর আর কোনো কবিতার বই বেরোয়নি। সুতরাং স্পষ্টতই অনুভব করা যায় যে, কাব্যচর্চা নিয়ে তিনি কখনই তৃপ্ত হতে পারেননি। অনিশ্চয়তার অনুভব তাঁর মধ্যে সর্বদাই ছিল।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, যে-সব পাঠক কখনই তাঁর একটি কবিতার বই চোখে দেখেননি, তারাও হায়াৎ মামুদকে কবি হিসেবেই চিনেন। এর কারণ কী? আমি বহু বার ভেবেছি- হায়াৎ মামুদ স্যারকে কেন লোকজন কবি হিসেবে চিনেন? কিন্তু এর কোনো উত্তর পাইনি।

খাদক, অয়ময় ইত্যাদি নাটকে অভিনয় করে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন মোজাম্মেল হক স্যার। আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে তিনি আমার সহকর্মী ছিলেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি একদিন বললেন, ‘কবি হায়াৎ মামুদের কথা বলছেন?’ আমি বললাম ‘হ্যা। কিন্তু স্যার আপনি হায়াৎ মামুদকে কবি বলছেন কেন? আপনি কি তাঁর কোনো কবিতা বা কাব্যগ্রন্থ পড়েছেন?’
তিনি বললেন, ‘না, পড়িনি। তবে তিনি তো কবিই, নাকি?’

খুবই অদ্ভুত যুক্তি। অদ্ভুত বিশ্বাস। হায়াৎ মামুদ কবি ছাড়া আর কিছুই হতে পারেন না- এই বিশ্বাস তাঁর সব পাঠকের মধ্যে কিংবা যারা তাঁর কোনো লেখাই পড়েননি তাদের মধ্যেও তৈরি হয়ে আছে।

প্রশ্ন হলো, কেন? উত্তরটা আমি পেয়ে গেছি মোজাম্মেল স্যারের কাছে। কবি হওয়ার জন্য কবিতা লিখতে হবে তার কোনো বাধ্যবাদকতা নেই। যিনি লেখেন তিনিই কবি। কাব্য প্রতিভা ছাড়া গল্প উপন্যাস নাটক প্রবন্ধ - কিছুই লেখা সম্ভব নয়।

কিন্তু হায়াৎ মামুদের কবি হওয়ার যুক্তিটা শুধু এর মধ্যে নয়। বরং যে জীবন তিনি যাপন করছেন এবং সেই জীবনের যে-সব গল্পগাথা লোকসমাজে প্রচলিত আছে, সেই জীবন কবি বই আর কারো নয়। সুতরাং হায়াৎ মামুদের একমাত্র পরিচয় তিনি কবি।

শুধুই কি জীবনাচরণ? নাকি তাঁর কবি হয়ে ওঠার জন্য কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে তাঁর বিপুল রচনার মধ্যে? আমার মনে হয় এটিও একটি কারণ। তাঁর প্রবন্ধ, অনুবাদ কিংবা জীবনী সাহিত্য- কোনোটাই পাণ্ডিত্বের ভারে নূব্জ হয়ে যায় না, বরং জীবন সম্পর্কে গভীর মমত্ববোধের তাড়নায় তাঁর রচনা এমন এক সৌন্দর্য লাভ করে যাকে কবিতা লেখার প্রেরণার সঙ্গে তুলনা করা যায়। শব্দ নির্বাচনে, ধ্বনিময়তা সৃষ্টিতে, বাক্যের গড়ন-সৌষ্ঠবে তিনি যতটা কাব্যানুভূতির নিকটবর্তী ততটা পাণ্ডিত্বের কাছে নন। জীবন তৃষ্ণার গভীর এই মমত্ববোধের জন্য হায়াৎ মামুদকে কবি অভিধায় স্মরণ করা স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। তাঁর এই কাব্যময় জীবনের সান্নিধ্যে যে জীবনাকাঙ্ক্ষা ও জীবনতৃষ্ণা তৈরি হয়েছে আমার মধ্যে তার কিছু কিছু আস্বাদ আমি পাই আর প্রত্যাশা করি তাঁর সান্নিধ্যের অফুরন্ততা। তাঁকে কখনই মন খারাপ করে থাকতে দেখিনি। আনন্দিত যে জীবন তিনি যাপন করে এসেছেন গত ৮১ বছর ধরে, তাঁর সেই জীবনের কাছে এই অতি সামান্য এক ছাত্রের শ্রদ্ধাঞ্জলি পাতা থাকল।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ