নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’

এদিকের পাড়াগুলো এখনও সেই পুরনো ধাঁচের বাড়িঘরে ভরা। মন্ত্রীসাহেবের জন্মস্থান বলেই হয়তো রাস্তাগুলো কিছুটা উন্নতি হয়েছে

মুখ থেঁতলানো একটা লাশ। কোনো পরিচয়পত্র কিছুই পাওয়া গেল না লাশের থেকে। পাওয়া যাবেই বা কি করে? বিবস্ত্র, মুখ থেঁতলানো একটা লাশ তো

যে কথার মানে আছে, যে কথা রাগ, হিংসা ও মোহ নাশ করে সে কথাই আর্ষ বা বুদ্ধের বচন। আর্ষগ্রন্থ থেকে পণ্ডিতেরা যে জ্ঞান পেয়েছেন তা অর্থার্ষ

নীলাঞ্জন চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। ধীর পায়ে জানালার কাছে এসে দাঁড়াল। শতরূপা অনেকটা অলস পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে রাস্তার যে দিকটায় বাক, ওদিকেই যাবে সে। 

হীরাকে সি অফ করতে আমি আর অরা গিয়েছিলাম এয়ারপোর্টে। হীরার বাবা বা অরার মায়ের যাওয়া আটকেছে হীরা। আমারও সেদিন যাওয়া উচিত হয়নি। ওদের একলা ছাড়া দরকার ছিল

উৎসব বৈকি! এ বাড়ির একজন আজ অন্য দেশে যাচ্ছে। তার সাজ-সরঞ্জাম তদারকি, বিদায়ের সামাজিক নিয়ম-কানুন-যাত্রাপথের আনুসঙ্গিক এসব নিয়ে দারুণ ব্যস্ত বাড়ির লোকজন

হঠাৎ এক ঝটকায় প্রিয়া ফিরনের গ্রীবাটা শক্ত করে ধরে নিজের মুখের কাছে ওর কপোলটা নিয়ে দাঁত দিয়ে কষে আঁকড়ে ধরলো। এভাবে একই সময়ে দু’চোয়ালে। কোনো বিরতি না নিয়েই।

বাসে আমার সামনের সিটে যে মেয়েটা বসে আছে, হাত বাড়িয়ে তার পিঠ ছুঁয়ে দিতে খুব ইচ্ছে করছে। বেগুনি রঙের কামিজের উপর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে ফর্সা মসৃণ ত্বক!