মারুফ ইসলামের গল্প ‘এসি’

প্রতিদিনের মতো আজও ভোরবেলায় গঙ্গাস্নান সেরে দ্রুত হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন মথুরানাথ। খালি পা, পরনে ধুতি, গায়ে নামাবলি, কপালে তিলক, হাতে তামার পাত্রে গঙ্গাজল

আবছা আবছা বুঝতে পারছি। ওর ভেতর কোনো অন্তর্বাস নেই। সুঢৌল হয়ে ফুটে আসে স্তনযুগল। আমাদের চোখ আর চোখ নেই। হয়ে উঠেছে কোনো পেইন্টারের চোখ

পারভিন মেয়েটা মরে পড়ে আছে রাস্তায়। তার বৃদ্ধ বাবা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে

ধু ধু মরুপ্রান্তর। চচ্চড়ে রোদ ঝলছে দিচ্ছে তেতে ওঠা বালুর বুক। বিরান শূন্যতা ভর করে আছে প্রান্তরে। এই পথে চলেছে এক বণিক কাফেলা। হঠাৎ একদল মরুতস্কর হামলে পড়ল তাদের ওপর। এক বণিক উদ্ভ্রান্তের মতো দৌড়ে পালাতে লাগল

একজন নয়, দশজন, শয়ে শয়ে, হাজারে হাজারে, লাখে লাখে বরবাদ হয়ে গেছে। ভিক্ষের জন্য হাত বাড়িয়েছে, ফেন চেয়ে কাতরেছে, কিন্তু ছিনিয়ে নেবার জন্য, কেড়ে নেবার জন্য হাত বাড়ায়নি

একদিনের টুকটুকে মেয়ে শিশু। শুয়ে আছে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি রুমের সিটে। পিটপিট করে তাকাচ্ছে আর মৃদস্বরে কান্না করছে

পচা ডিমের মতো অণ্ডকোষ দুটো পুরোপুরি ফেটে গেছে। অগণন মাছি তার ওপর ভনভন করছে। তিন চার হাত জায়গাজুড়ে চলছে তাদের মচ্ছব। বাবার সম্মুখস্থলে মুখথুবড়ে পড়ে আছে নতুন পুরাতন টাকার স্তূপ

নয়টি বোন ছিলেন, তাঁহারা ছন্দের দেবী। গানের ছন্দ, কবিতার ছন্দ, নৃত্যের ছন্দ, সংগীতের ছন্দ—সকলরকম ছন্দকলায় তাঁহাদের সমান আর কেহই ছিল না। তাঁহাদেরই একজন, দেবরাজ জুপিটারের পুত্র আপোলোকে বিবাহ করেন