নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’

মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা আর একবুক তেষ্টা নিয়ে চোখ খুলল রুবি। কখন যে জ্ঞান চলে গেছিল, বোঝেনি। সেই সন্ধে থেকে চলছে মারধোর

পুরো শহরটা ঘুমিয়ে গেছে। বাতাসে পাতার খসখসে শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নেই। আকাশে নিভু নিভু তারাগুলো রাত প্রহরী হয়ে শহরটাকে পাহারা দিচ্ছে। রাতের এই নিকষ আঁধারে এক ধরনের মাদকতা আছে

ঝুপড়ির দরজায় বসে দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে দাঁত খোঁচাচ্ছে কনু। অনেকদিন পরে দুপুরের খাওয়াটা বেশ ভালো হয়েছে। আয়েশে চোখ বুজে আসছে বারবার। কিন্তু ভ্যাপসা গরমটা খুব অস্বস্তিকর লাগছে

রাতের নীরবতা ভেঙে একটানা গোঙানির আওয়াজ বাইরের অসহ্য রকম অন্ধকারকে একটা আকার দিতে চেষ্টা করছে। ভিতরে আলো বলতে হলদে সোডিয়াম বাতির টিমটিম জ্বলতে থাকা

ফ্ল্যাটের নীচে মোটর সাইকেলটা স্ট্যান্ড করে, সুবীর অনিতার বাজারের ব্যাগ দুটো আর নিজের ব্যাগটা নিজের হাতে নিয়ে বলল, চলুন, আমি আপনার ফ্ল্যাটে ব্যাগ দুটো ছেড়ে দিয়ে আসি আর সেই সুযোগে আমার ছাত্রীর সাথেও দেখা হবে

বিয়ের এক বছর সাত মাস চলছে। নীলা আর নীলের সংসার। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না আর সীমাহীন ভালো লাগা নিয়ে তাদের এই বন্ধন

উফ, প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে আমার। এত সুন্দর একটা কবিতা লিখলাম সারাটা সকাল ধরে। একটিবার বললোও না, কেমন হয়েছে। এমন বেরসিক শুভ বিয়ের আগে ছিল না

কাদা মাখা পিচ ঢালা রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আমি। প্রচণ্ড বৃষ্টি। বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে এবং হয়তো আমার ভেতরেও। শরীরের সাথে সাথে তাতে ভিজছে আমার ভেতরটাও। রাস্তায় একটা কুকুরও দেখা যাচ্ছে না