মারিয়া সালামের অণুগল্প ‘ও বন্ধু লাল গোলাপি’

আমার যেন কী নাম! অনেক ভেবেচিন্তেও নাম বের করতে পারলাম না। আরে, এটা কী রূপকথার জগৎ নাকি! আমি আমার নাম মনে করতে পারছি না! কীরকম শিরশির করে উঠল আমার সারা দেহে

প্রতিদিনের মতো আজও ভোরবেলায় গঙ্গাস্নান সেরে দ্রুত হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন মথুরানাথ। খালি পা, পরনে ধুতি, গায়ে নামাবলি, কপালে তিলক, হাতে তামার পাত্রে গঙ্গাজল

বায়েজিদ কিছুই বুঝতে পারছে না। বোনের অস্বাভাবিক কান্না আর হঠাৎ খালামণির আগমনের কারণ ভেবে ভেবে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে সে

উঃ কী গরম! বৃষ্টি-বাদলার নাম-গন্ধ নেই, গরমে সিদ্ধ করে মারছে। তার উপর দু-দুটো উনুনে যেন রাবণের চিতে! সেই বেলা থাকতে রান্নাঘরে ঢুকেছি আর এখন বেরিয়ে আসা

অনেক বছর কেটে গিয়েছে। নোহের ছেলেদের অনেক সন্তান হয়েছে। আর তাদের সন্তানরা বড়ো হয়ে গিয়েছে এবং তাদেরও অনেক সন্তান হয়েছে। অল্পসময়ের মধ্যেই পৃথিবীতে অনেক লোক হয়ে যায়

রাজ্যভোগে লিপ্ত হয়ে ধীরে ধীরে তোমার আত্মা অতৃপ্ত হয়ে উঠবে। পৃথিবীতে যদি তুমি তৃপ্তি পেতে চাও, তবে পালাও। যে দেশে বুদ্ধ ও তার অনুসারীরা আছেন, সেখানে চলে যাও

অপলার একটু শীত শীত লাগছে। শীত আসতে যদিও মাসখানেক লাগবে। কিন্তু এই পরিবেশের জন্য কীনা বুঝতে পারছে না, বেশ ঠাণ্ডা লাগছে তার

রামায়ণের যুগে ধরণী একবার দ্বিধা হয়েছিল। সে-রামও নেই, সে-অযোধ্যাও নেই। কিন্তু কলিযুগে যদি দ্বিধা হতো ধরণী, তো আর কারো সুবিধে হোক আর না-হোক—ভারি সুবিধে হতো রমাপতিরা