নাহিদুল ইসলামের গল্প ‘উড়ো চিঠি’

রাজ্যভোগে লিপ্ত হয়ে ধীরে ধীরে তোমার আত্মা অতৃপ্ত হয়ে উঠবে। পৃথিবীতে যদি তুমি তৃপ্তি পেতে চাও, তবে পালাও। যে দেশে বুদ্ধ ও তার অনুসারীরা আছেন, সেখানে চলে যাও

অপলার একটু শীত শীত লাগছে। শীত আসতে যদিও মাসখানেক লাগবে। কিন্তু এই পরিবেশের জন্য কীনা বুঝতে পারছে না, বেশ ঠাণ্ডা লাগছে তার

রামায়ণের যুগে ধরণী একবার দ্বিধা হয়েছিল। সে-রামও নেই, সে-অযোধ্যাও নেই। কিন্তু কলিযুগে যদি দ্বিধা হতো ধরণী, তো আর কারো সুবিধে হোক আর না-হোক—ভারি সুবিধে হতো রমাপতিরা

প্রায় দিন-সাতেক পর নিজের আইডিতে লগইন করে রাইসা হতবাক। অজস্র নোটিফিকেশনস আর নতুন বন্ধুদের এডের জন্য নয়। সে নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারে না

কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ঘটেছিল এটা। হুট করে সকল শিক্ষকের নামে একযোগে কিছু ক্ষ্যাপাটে কথাবার্তাসম্বলিত একটি চিঠি এসে পৌঁছেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে

আজ বাদ-আছর খেজুর কাঁটা দিয়ে মতি মিয়ার চোখ তুলে ফেলা হবে। চোখ তুলবে নবীনগরের ইদরিস। এই কাজ সে আগেও একবার করেছে। মতি মিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে বরকতসাহেবের বাংলাঘরে। তার হাতপা বাঁধা

উকিলের চেম্বার থেকে বেরিয়েছে অর্ক। একটু খুশি খুশি লাগছে মনে হয়। রাস্তার চায়ের দোকানে গিয়ে একটা চায়ের অর্ডার করলো। ছোট ভাই অনুর সাথে বাবার তিন শতাংশ জমি নিয়ে মামলা

লম্বা একহারা চেহারা, খাঁড়ার মত নাক, প্রশস্ত; এমনকি টাক বার করাও বলা চলে, এমন উঁচু কপাল আর তার মধ্যে ছোট ছোট উজ্জ্বল চোখের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, সবটা জড়িয়ে বরদাচরণ জ্যোতির্বিনোদ মশাইয়ের চেহারাটা সুশ্রী না হলেও অসাধারণ